প্রকৃতিপ্রেমিকের ব্লগ
শীত প্রায় যায় যায়। বাইরে এখন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টি নেমেছিল। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশে আছি। দুই তিন মিনিট-- তার পরেই সব আগের মত।
সন্ধ্যায় তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্যের কাছে। যাহোক বরফ তো গলছে!
কদিন আগে ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে হেঁটে পার্কিং লটের দিকে যাচ্ছিলাম। সন্ধ্যা হয়েছে অনেক আগে। রাত ৮-৯ টা হবে হয়তো। ওয়াকওয়ে থেকে ইউনিভার্সিটি এভিনিউ কয়েক ফুট দূরে।
দুই পাশে বরফের সাদা চাঁই, প্রায় ৩ ফুট উঁচু হয়ে আছে। হঠাৎই পাশের নাম না জানা একটি গাছ থেকে ডানা ঝাপটানির শব্দে দাঁড়িয়ে যাই। একটি পেঁচা। মাঝারি আকার, বাংলাদেশের কোটরে পেঁচার মতই। শালিক পাখির চেয়ে হয়তো একটু বড়ই হবে।
কয়েক সেকেন্ড হবে হয়ত। আমার সামনে দিয়ে উড়ে এসে ওয়াকওয়ের পাশে স্তুপিকৃত বরফের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমি ভীষণ অবাক হলাম পেঁচার কান্ড দেখে। পরক্ষণেই উড়ে এসে গাছের ডালে আগের জায়গায় বসল। মুখে টিকটিকির মত একটি সরিসৃপ, ঠোঁট দিয়ে গভীর ভাবে ধরে রেখেছে।
এবার আমার নতুন করে বিস্মিত হওয়ার পালা।
বরফের উপর যে জায়গায় পেঁচাটি শিকার ধরল সেখানে ফিরে গিয়ে ভাল করে লক্ষ্য করি। মনে হয় লিজার্ডটি ওই দিক দিয়ে পার হচ্ছিল। আক্রান্ত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে তা বরফের ভেতরে লুকানোর চেষ্টা করে। নরম বরফে সেই চিহ্নই পড়ে রয়েছে।
প্রকৃতিতে যে কত বিস্ময় রয়েছে তার অন্ত নেই। এই শীতের রাতে খাদ্যান্বেষণে নেমেছে পেঁচাটি। হয়তো তার নিজের জন্য অথবা বাসায় তার বাচ্চার জন্য। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যাওয়া ব্যাপারটি প্রকৃতির সৌন্দর্যেরই একটি রূপ মাত্র। কী আসাধারণ অভিযোজন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।