স্মৃতিচারণ ও এলোমেলো ভাবনা। বেশিরভাগই জগাখিচুড়ি।
একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে সমপ্রতি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পত্রিকাটি সম্পাদকের মুক্তির দাবি জানিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট প্রকাশ করে যাচ্ছে। আমি মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষপাতী।
কিন্তু প্রতিবাদের নামে পত্রিকাটি যা করে যাচ্ছে তা সত্যিই দুঃখজনক। একটু মনযোগ দিয়ে রিপোর্টগুলো পড়লে দেখবেন বিষয়বস্তু অনেকটা "রাজবন্দীদের মুক্তি চাই" টাইপের এবং লেখার ধরণ অনেকটা রাজনৈতিক শ্বেতপত্রের মত।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সম্পাদকের মুক্তি চেয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে তাতে মূলঅস্ত্র হিসাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্বকেই উল্লেখ করা হয়েছে। খুব কম সময়েই বলা হয়েছে যে কোন অভিযোগ ছাড়া ভদ্্রলোককে আটক করা হয়েছে। পত্রিকাটির এহেন বক্তব্যে আমি মোটেও হতবাক নই।
জন্মলগ্ন থেকেই ভাষাগত সমস্যায় ভুগছে এই পত্রিকাটি। এক সময়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় এই পত্রিকাটি আমার পিতৃদেব বাসায় রাখা বন্ধ করেছিলেন তার উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে। আমার ধারণা কিছু নিষিদ্ধ বিষয়ের উপর রিপোর্টপ্রকাশের সীমারেখা লঙ্ঘনই ছিল এর মূল কারণ। সংবাদপত্রে ভাষার ব্যবহারে পত্রিকাটি একটি মাইলস্টোন বৈকি।
সংবাদপত্র একটি জাতির বিবেক।
জাতি হিসাবে নিজেদের স্বকীয়তা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। তাই ভাষার ব্যবহার এখানে সংযত হওয়া উচিত বলেই আমার ধারণা। একই সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও মৌলিক তথ্যের উপসহাপন জাতি হিসাবে আমরা যদি সংবাদ মাধ্যমগুলোর কাছ থেকে আশা করে থাকি, তবে আমাদের চাওয়াটা কি খুব বেশি কিছু?
(দয়া করে লেখাটিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন না। কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে লেখা হয় নি)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।