বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility
আমি কিন্তু কৌশলে ইরানের পরাজয় দেখতে পাচ্ছি । (যদিও আমার ভবিষ্যত দেখার কোন চশমা নাই )
বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানরা যথেষ্ট দুবর্ল । আমেরিকা যদি চায়, ইচ্ছে করলেই ইরানকে মাটির নিছে পিষে ফেলতে পারে । আর ইরান যদি চায় তাহলে আমেরিকার যুদ্ধ জাহাজ সহ যা কিছু আছে, পারস্যের মধ্যেই সমাধিতে রূপান্তর কিংবা আরবের মধ্যে জিন্দা ধরতে পারবে ।
যদি ....
যদি আমরা মুসলমানরা এক হই ।
কারণ অস্ট্রিয়ায় ইরান আক্রমণ এর উপর যে পর্যালোচনা করা হয়েছে, সেখানে আমেরিকা কয়েকগুণ এগিয়ে আছে ।
আমি মানি ইরান এরই মধ্যে অনেক উন্নতি করেছে । অস্ত্রশস্তে কিন্তু ..............
1)>>>>কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতা আছে, যা আমেরিকার নাই । ইরান এখনও আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র অজর্ন করতে পারে নি । যদি কোন ভাবে অজর্নও করে কিন্তু তা সুক্ষণভাবে আমেরিকা আক্রমণ করতে ব্যর্থ হবে ।
কিন্তু আমেরিকা অবশ্যই না । অথর্াৎ আমেরিকা চাইলেই ইরানকে খেলার লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করতে পারে ।
2)>>>>ইরানের প্রায় চারদিক দিয়েই আমেরিকার ঘাটিঁ রয়েছে । আমেরিকার চারদিকে ইরানের কি আছে ?
3)>>>>আমেরিকায় মিত্র ইসরাইল সে তো এক পাঁ দিয়ে দাড়িয়ে আছে । যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ।
ইরানের সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত, জেহাদের যাবার জন্য তৈরী রাষ্ট্র আছে ???? হয়ত আছে সারা পৃথিবীর মুসলমান জাতি । কিন্তু এক বর্ণও মিথ্যো বলছি না, হাজারো ইরানী তাদের দেশ ছেড়ে পাশ্চাত্যে পারি দিচ্ছে । কারণ কি? রিফুইজি হিসেবে অস্ট্রিয়ায়ও অনেকে পা দিয়েছে । অনেকে তো নিজের ধর্ম পর্যন্ত পালেট ফেলেছে । এমন কি চলা ফেরাও ভিন্ন হয়ে গিয়েছে ।
4)>>>>ইরান রপ্তানী করুক আর যাই করুক । তাদের টাকা পৃথিবী জুড়ে চলে না, চলে ডলার । সুতরাং ... কি দাড়াঁয় ।
5)>>>>আমি চিন্তায় করতে পারি নি, কোন এক সময় ইরানের সাথে আমেরিকায় তুলনা দিতে হতে পারে । বিশেষ করে যুদ্ধের ব্যাপারে, কারণ এরা বন্ধু প্রকৃতির ।
মুসলমান Vs খৃস্টাও ও ইয়াহূদীর মধ্যে যুদ্ধ হবে জানতাম, তবে একা একটি দেশের উপর চাপ যাবে ধারণার বাইরে ছিল । আমাকে যদি আমেরিকার সাথে তুলনা দিতে বলা হয়, কোন দেশকে তাহলে আমি বলব, রাশিয়াকে । এই একটি মাত্র দেশ যেখানে এক সব সম্পদ থাকা সত্ত্বে ও শুধু মাত্র অব্যবস্থাপনার কারণে পৃথিবীর শীর্ষে উঠতে পারে নি । একমাত্র রাশিয়াই শুধু মাত্র একা আমেরিকায় সাথে টক্কর দিতে সক্ষম । আমি এর উপর একটি আর্টিকেল পড়েছি ।
এতে প্রমাণ স্বরূপ, সর্ব সালের ঘটনাও বিস্তৃত ছিল । তাই আমি সব সময়ই রাশিয়াকে পক্ষ টানতাম, কিন্তু কিন্তু সমাজ তন্ত্রের ব্যর্থতার দরুণ তাদের এই অবস্থা । সেখানে ইরানকে অবশ্যই তুলনায় আনা যায় না ।
আমার যদি অন্য কোন সময় মনে থাকে, তাহলে অবশ্যই রাশিয়ার সাথে পাথর্ক্যটা তুলে ধরব । সবচেয়ে বড় পাথর্ক্য হচ্ছে সেনাবাহিনী সংখ্যা, কারিগরী দক্ষতা, আথির্ক, অন্য দেশের সহযোগীতা ।
এই কারণেই ঠান্ডা যুদ্ধের পর আমেরিকা প্রথম স্থান দখল করে ফেলে । কিন্তু তারপরেও সেনাবাহিনী সংখ্যাতে আমেরিকা অনেক অনেক পিছিয়ে আছে । যে ভুল হিটলার সাহেব একবারই করেছিলেন, আর ভুলটার মাশুল পেতে বছর খানেক এর বেশী যায় নি । কিন্তু আমেরিকা ঐ ভুলটা এখন পর্যন্ত করবে না, যতক্ষণ তাদের ঘাটিঁপৃথিবীর কোণায় কোণায় না থাকবে । সেই সাহসের জোড়েই কিন্তু আমেরিকা ইরান আক্রমণ করছে 50বার না ভেবেই ।
'''''''''এইটাই নো চিন্তা নো ফূর্তি আক্রমণ এর বড় কারণ''''''''''
কিন্তু ইরানকে অনেক প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে ।
6)>>>>কিন্তু আমেরিকাও একটি দেশ, তারা নিজের দেশ থেকে হাজারো মাইল দূরে এসেছে দখল করার জন্য, এদের খরচের প্রয়োজন আছে, আর এদের নিদির্ষ্ট বাজেট আছে যুদ্ধের জন্য । কিন্তু ইরান যদি ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব নয় বরং টিকিয়ে রাখতে পারে । তাহলে অবশ্যই আমেরিকা ইসরাইল উভয়ই পিছন ফিরতে বাধ্যহবে । যেরকম ইসরাইল লেবাননের যুদ্ধে পিছু হঠতে যাচ্ছিল ।
আর ইরাকে এখন পিছু হঠছে । জামার্ন দখল করে রেখেও একসময় ছাড়তে বাধ্য হল । ইংরেজ শত বছরের শাসনের পরও ভারত উপমহাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে । তেমনি আমেরিকাও একসময় ব্যর্থ হয়ে পিছু হঠে যাবে । কারণ...........................>>>>>>>>>>>>>>>>
>>>>>>>>>
>>>>>>>>>
>>>>>>>>>কোন দেশ দখল করতে যেরকম বিরত্ব লাগে, তার থেকে কম বিরত্ব লাগে নিজের দেশ বাচাতেঁ ।
কিন্তু কেউ যদি আক্রমণ করতে গিয়ে আঘাত বার বার খায়, তার কঠিন হয়ে পড়ে সেই দেশ জয় করা, কিন্তু যে দেশ নিজের দেশকে বাচানোঁর জন্য আঘাত সয় এবং পালটা আক্রমণ করে, তার জন্য দুইটি পথ খোলা থাকে একটি হল হয় মর, না হয় মার । সেই যুক্তিতে সে যতই আঘাত খায় না কেন, তার থেকে দ্্বিগুণ তেজে আক্রমণ করে । আর তাতেই রাশিয়া/আমেরিকার/পাকিস্তান/জামার্ন/জাপান/ইতালি এর মত দেশ লেজ গুটিয়ে পালায় । (কথাটা আমার নিজের)
আমি কিন্তু আমি চাইব যুদ্ধ যদি হয়েই থাকে, তাহলে ইরান যেন, সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে । আর কাফেরদের(আমেরিকানদের সহ তাদের সহযোগীদের) পাথরের উপর আঘেতের ন্যায় চূর্ণ করে ধ্বংস করে ।
চিত্র:চিত্রটি পুরাণ, নতুন চিত্র টি আমার কাছে নাই, তবে বইয়ে আছে, কিন্তু স্ক্যানারটি না থাকার কারণে, দিতে পারলাম না । সামনের পর্বে ইনশাল্লাহ একটা জুৎসই ছবি প্রকাশ করব । সুতরাং পূর্বের থেকি বেশী এবং ইরাকে আর্মি অবস্থান করছে ।
আলোচনা পর্ব:
আশরাফ রহমান সাহেব আমি শুনেছিলাম মরুভূমিতে অলৌকিকভাবে মাকির্ন বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তবে বিশ্বাস করতে পারি নাই । হয়ত তা প্রাকৃতিক কিংবা মানুষ সৃষ্ট ঘটনা হবে ।
--------------------
যত দেশই ইরানের পক্ষে থাকুক না কেন !
কোন দেশই আমেরিকার বিপক্ষে যেতে চাইবে না, যোগ্য সামরিক সামথর্্যতা না থাকা পর্যন্ত ।
যেরকম কাশ্মীর এর ব্যাপারে ভারত-পাক এর মাঝে নাক গলাতে আমেরিকা চেয়েছিল কিন্তু তারা তাদের ব্যাপার নিজে সমঝতা করবে বলে, জানিয়ে দিলে আমেরিকা তাদের থেকে দূরে থাকে । যেহেতু দুইটি দেশই ক্ষমতাধর রূপ নিচ্ছে । বিশেষ করে ভারত ।
-------------
তবে এটা ভাবা ভুল হবে যে, আমেরিকা তাদের দেশথেকে তেল উড়িয়ে নিয়ে আসবে ।
কোন দেশ অবশ্যই বিনা নকশাতে আক্রমণের পরিকল্পনা করে না । সুতরাং কতদিন ধরে যুদ্ধ স্থায়ী হতে পারে, আর কতটুকু রসদ তাদের প্রয়োজন তার অংক না কষেই ইয়াহিয়ার মত, ভিয়েতনাম/ইরাক যুদ্ধের মত আবার ভুল অবশ্যই করবে না । নাকি আপনার মনে হয়, জেনে শুনে আরেক বার একই ভুল করতে যাবে ????
আর অবশ্যই প্রয়োজনীয় রসদ তাদের ঘাটিঁ গুলো থেকে সরবারহ করতে সক্ষম (সীমিত কালের জন্য)
----------------
আর ল্যাটিন আমেরিকার দেশ কি করল না করল তাতে সম্ভবত আমেরিকার কিছু যায় আসে না । যদিও কোন সমস্যা হয় তা আর্জেন্টিনাকে যেবার ঠান্ডা করেছিল, ঠিক সেই উপায়েই তাদের ঠান্ডা রাখা হবে !
---------------------
হ্যাঁ এখন ইউরো যা ডলারকে ঢাক্কা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে ।
শুনেছি দক্ষিণ এশিয়া -জাপান-চীন ঘিরে নতুন মুদ্রা 'রূপি' আসবে ।
এই ব্যাপারে আমি ঠিক সঠিক না । যাই হোক । ডলার কিন্তু এখনও মান দন্ডে ইউরোর বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে । হয়ত অচিরেই তার জায়গা ইউরো নিবে কিন্তু চেরোনোবিল কিংবা হিরোসিমা কিংবা নাগাসাকির মত প্রভাব রেখেই যাবে ।
2=হ্যাঁ পড়েছি ।
আপনার লেখা আমি পড়েছি ।
আমি জনৈক ইরানীর সাথে আলাপও করেছি তাদের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে । 2006 প্রথম দিকেই । কিন্তু তখনও ভাবতে পারি নি । ইরানের সাথে আমেরিকার কিছু একটা হতে পারে ।
তা হলে আরও ভাল করে জানার চেষ্টা করতাম । আমি মূলত তাদের অর্থনীতি আর ধমর্ীয় বা্যপারে জানার চেষ্টা করেছিলাম ।
3=আমি এক বইয়ে পড়েছি, সেখানে লুকানো ছবি অনুযায়ী, প্রচুর জাতি বিধ্বংসী যুদ্ধ জাহাজ আমেরিকার আছে । আমি যদি বইটি আবার যোগার করতে পারি তাহলে, আমি ব্লগে ছাপাবঁ ।
4=ইরান আমিরাকান ঘাটিঁ উরাবে কি দিয়ে ?
হাসালেন, আমি চাই, আল্লাহর রহমতে যেন এসব অস্ত্রই যেন যুদ্ধের সময় আলীর (রা রূপ নেয় ।
কিন্তু বর্তমান বিশ্বে বার বার অলৌকিকতার হাত ছানি পাওয়া যায় ??
না যায় না ।
সুতরাং ............ সুতরাং
আপনি বলছিলেন, কোথা থেকে তারা আক্রমণ করবে, ?
তারই জবাব,
#########
''সবাধুনিক প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা''
########
যা তারা বছরখানেক আগে ইসরাইলের কাছে বিক্রী করেছে । আর পুরনো মডেলও ভারতএর কাছে বিক্রী করেছে ।
আপনার অবশ্যই ধারণা আছে প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থাটি কি ?
5=আশরাফ রহমান সাহেব আমি সত্যি বলছি, আপনার লেখাটি আমি ব্লগে এসেই প্রথমেই মনযোগ দিয়ে পড়েছি । কি ? এবার বিশ্বাস হল তো ।
আমি জানি ইরানের শাহাব -3 আছে, কিন্তু পেট্রিয়ট মিসাইল এর কাছে প্রতিরোধ কতটুকু এখনও টেস্ট করা হয়েছি কি ?? মনে হয় না । করা হয়ে থাকলেও ইরানের কাছে পুরনো মডেলের পেট্রিয়ট থাকতে পারে ।
পৃথিবীর হাতে গণা দেশের কাছে আমেরিকা তাদের প্যাট্রিয়ট বিক্রী করেছে । আর তার চেয়ে বড় কথা তারা সবচেয়ে বড় কথা তাদের নতুন মডেল তারা আবিষ্কার করেছে ।
আর তার দ্্বারা খুব সহজেই তারা আকাশে আরেকটি মিসাইল এর সংঘর্ষের বিনিময়ে উড়ন্ত মিসাইলকে তারা আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম হবে ।
তবে হ্যাঁ তাদের টপোডের্া সম্পর্কে আমাকে আরও গভীরভাবে জানতে হবে । কোন ওয়েব সাইট এর ঠিকানা থাকলে দিবেন এই টপেডের্া সম্পকের্ ।
6=মূর্খতা সাহেব এটা ঠিক একটা পয়েন্ট ধরেছেন । বর্তমান আধুনিক যুগে মাটিতে যুদ্ধ কেমন জানি, সমান সমান লাগে । যতক্ষনণা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হাতে না থাকে ।
কিন্তু
''''''''''''''''''''
''''''''''''''''''''
>>>> কুত্তার কিলাকিলি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।