হার-জিত খেলার অংশ। এক দল হারবে, আরেক দল জিতবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হারের মধ্যে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভাব থাকলে সেটাও মানা যায় অনেক সময়। পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন একপেশে হার কোনোভাবেই আমি মেনে নিতে পারছি না। ক্রিকেটারদের মধ্যে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো মানসিকতাই খুঁজে পাইনি।
পুরো ম্যাচ দেখে আমার মনে হয়েছে ক্রিকেট দলের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কৌশলে ভুল ছিল।
কোনো সন্দেহ নেই দেশের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। তাকে প্রথম ১২ ওভার বোলিং না করানোর কোনো কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না। ক্রিস গেইল থাকায় কী তাকে বোলিংয়ে আনা হয়নি? সেটাও কিন্তু পরিষ্কার নয় আমার কাছে।
ডুয়াইন স্মিথ আক্রমণাত্দক ব্যাটিং করছিলেন, তখন কিন্তু অফ স্পিনাররা বোলিং করেছেন। অকেশনাল স্পিনার সাবি্বর রহমান রুম্মনকেও বোলিং করানো হয়েছে। কিন্তু সাকিবকে আনা হয়েছে ১৩ নম্বর ওভারে। প্রথম বলেই তিনি আউট করেন লেন্ডল সিমন্সকে। তাই আমি মনে করি সাকিবকে অবশ্যই আরও আগে বোলিংয়ে আনা উচিত ছিল।
এছাড়া তাকে পুরো স্পেল বোলিং না করানোর কারণও আমি খুঁজে পাচ্ছি না। সাকিবকে পরে বোলিং করানোয় যেমন আমি বিস্মিত হয়েছি, তেমনি অবাক হয়েছি ম্যাচ চলাকালীন টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো মেসেজ না পাঠাতে দেখে। অবাক হয়েছি জিয়াউর রহমানকে ১৯ নম্বর ওভারের সময় বোলিংয়ে আনায়। তাকেও আগে আনতে পারতেন অধিনায়ক। এনামুল হক বিজয়দের মিস ফিল্ডিং দেখে আমি বিস্মিত।
এরা সবাই তরুণ ক্রিকেটার। কিভাবে বাজে ফিল্ডিং করে, সেটা আমার বোধগম্য হয়নি। ক্যাচ মিস খেলার অংশ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যাচ মিস করা উচিত হয়নি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। ওই ক্যাচ মিসের খেসারতে বাড়তি রান গুনতে হয়েছে দলকে।
মুশফিক দুই দুটি বাই চার দিয়েছে। সেটাও ভালো লাগেনি। সব মিলিয়ে দিনটি আসলেই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিংও ছিল যাচ্ছে তাই। ব্যাটিং অর্ডার সাজানো নিয়েও আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি নই।
হার্ড হিটিংয়ের জন্য জিয়াকে ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ে পাঠানো উচিত ছিল। মুমিনুল হার্ডহিটার নয়। তাকে পরে পাঠালেই ভালো হতো।
যাহোক টিম ম্যানেজমেন্টের নতুন করে ভাবা উচিত। আমি আশা করছি পরের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলবে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। অতীতে কিন্তু দেখা গেছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর বহু রেকর্ডস আছে বাংলাদেশের। আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিঃসন্দেহে ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে প্রোটিয়াসরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমার বাজি শ্রীলঙ্কা।
এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।