সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার
আমেরিকা, ইরান - জলাতঙ্ক সাবধান!
দুই কুকুর যদি কামড়াকামড়ি করে, আর কেউ যদি জানে যে, দু্থটি কুকুরই জলাতঙ্করোগে আক্রান্ত, তখন স্বাভাবিক সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, দুটি কুকুর থেকেই সাবধান থাকার চেষ্টা করে। যদি কেউ তা না করে, তাহলে তার বেশ কয়েকটি কারণের মাঝে আমার যেগুলো মনে পড়ছে,
- কোন উদ্দেশ্যপ্রনোদিত চিন্তা, হয়তো একটি কুকুর তার নিজেরই।
- ভাল মন্দ বিচারের ক্ষমতা নেই। (এক কথায় বলা যেতে পারে রামছাগল)
- নিজেরই জলাতঙ্ক রয়েছে, অর্থাৎ পাগল।
আমাদের সারা পৃথিবীর দুই উল্লেখযোগ্য জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর হচ্ছে আমেরিকার বুশ সম্রাজ্য আর ইরান।
তবে দুই জনের মাঝে এই রোগের মোটামুটি ভাবে আলাদা আলাদা চেহারা। আমেরিকা তার সম্পসারণবাদী যুদ্ধাংদেহী আন্তর্জাতিক রাজনীতির জন্যে আর ইরান তার নিজের দেশের আভ্যন্তরিন শাসণ ব্যাবস্থার কারণে বিতর্কিত। তাদের উগ্র মৌলবাদী শাসন সে দেশের নারীদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরের নাগরিকে পরিণত করেছে। সে দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। নাগরিক অধিকার বলতে সুশীল রাজনীতির যেসব ধারাগুলো রয়েছে, তার প্রতিটিই সে দেশে পদদলিত।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও তাদের কদাকার চেহারা। নয় বছর যুদ্ধ চালিয়েছে ইরাকের সাথে। তখন তাদের অস্ত্রের প্রধান জোগানদার ছিল মুসলিম বিশ্বের প্রধান শত্রু ইসরায়েল।
আমেরিকা তথা বুশের কাহিনী বলার প্রয়োজন রাখে না। তাদের কর্মকান্ড শুধুমাত্র মুসলিম বিশ্বে নয়, সারা পৃথিবীব্যাপীই নিন্দিত।
শুধুমাত্র সামরিক শক্তির ভারসাম্যহীনতার কারনে তারা তাদের অপকান্ড আজ অবধি চালিয়ে যেতে পারছে।
এই দুই কুকুরের কোন কুকুরই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু কিছু কিছু সাদা কালো চশমা পড়া জীবের তা চোখে পড়ছে না। এরা যে কোন একটিকে উন্মাদের মতো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আমি আমেরিকা তথা বুশের সমর্থকদের কথা এখানে টানতে চাইছি না।
আমার মনে হয়না ব্লগে সেরকম কোন জীবের অস্তিত্ব রয়েছে।
কিন্তু এই ব্লগে কিছু কিছু অস্তিত্বের উপস্থিতি টের পাচ্ছি, যারা উগ্রভাবে ইরাণের পদলেহী। পদলেহন করতে করতে ইরানের জালাতঙ্ক রোগও যে তাদের শরীরে সংক্রামিত হচ্ছে, সে খেয়াল তাদের নেই। তাদের একটি রোগ ছিল ধর্মান্ধতা, তার প্রভাবে ইসলামী জিহাদের নাম শুনেই ন্যয় অন্যায় বিচার না করেই উন্মাদনা আসে এদের ভেতরে। আর সে উন্মাদনায় ইরানের মতো একটি মানবিকতা বিদ্বেষী শক্তির শক্তির পদলেহন করতে তাদের কোন লজ্জা হয়না।
এখন হয়েছে তাদের আরেকটি ভয়ানক রোগ, 'জলাতঙ্ক কামড়'।
কিন্তু মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, এরা শিকার না শিকারী। তবে আমার মনে হয়, এদের মাঝে শিকার শিকারী, দুটো দলই রয়েছে। শিকারীদের কাছ থেকে সাবধান থাকার সমুহ প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এরা বেশ সচেতন ভাবেই জলাতঙ্ক ছড়াচ্ছে চারিদিকে।
তাদের চালাকি ও সাফল্যও চোখে পড়ছে বেশ। আর যারা শিকার, তারাও কম বিপদজনক নয়। এরা এদের নিজেদের বিভ্রান্তির দিকে সামন্যতম চোখ না ফেলেও অন্ধের মতো যা পায়, তাই কামড়াতে দাঁত বের করে। আসলে এরা হচ্ছে সত্যিকারের রামছাগল। ভুল বুঝবেন না, আমার দেয়া এ রামছাগল উপাধি কোন ব্যাক্তি বিশেষকে নয়, কোন এক সমষ্টিকে লক্ষ্য করেই।
সাধারণ ধর্মবোধ ধারণকারী ও পালনকারী মানবিক চিন্তার অধিকারী মননদের প্রতি আমার ডাক, এদের কারো কথাতেই প্ররোচিত হবেন না। এই শিকারী,শিকার ও এদের উন্মাদনা প্রতিটি মানব সত্বার জন্যেই ক্ষতিকর। এরা যে ধর্মেরই হোক না কেন, এদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব মানবতা বিরোধী। এমনকি স্বধর্মের মানুষদের প্রতিও এরা এদের মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের সমর্থন না পেয়ে খড়গহস্ত হয়। এদেরকে প্রতিহত করা দরকার।
এদের চরিত্রের কারণেই এরা একাধারে ইরান, ইরাক, আমেরিকা ও বুশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।