মহান ভাষা আন্দোলনের মাস উপলক্ষে ামার পত্রিকার এ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী আমি ভাষা আন্দোলনে রাজশাহীর ভুমিকা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। এটা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। কারণ রাজশাহীর ভাষা আন্দোলনে তখন অগ্রনী ভুমিকা পালন কারীদের সাথে কথা বলে অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছি। রাজশাহীতে এখন মাত্র কয়েকজন ভাষাসৈনিক বেঁচে আছেন। এঁরা হলেন, ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু, সাঈদউদ্দিন আহমেদ, অঅবুল হোসেন, মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, প্রয়াত জননেতা আতাউর রহমানের স্ত্রী মনোয়ারা রহমান এবং আব্দুর রাজ্জাক।
এঁদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি ভাষা াান্দোলনের জন্য সর্বপ্রথম রক্ত ঝরে রাজশাহীতেই। সেটা ছিল 1948 সালের মার্চ মাসে। সে সময় আন্দোলনকারীরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে রাজশাহী মহানগরীর ফায়ার ব্রিগেটের মোড়ে পেঁৗছলে আন্দোলনে বিরোধীতাকরীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। 1952 সালের 21 শে ফেব্রুয়ারী ঢাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি বর্ষনের ঘটনা ওই দিনই সন্ধ্যায় শুনতে পেয়ে গর্জে উঠেছিলেন এখানকার আন্দোলনকারীরা। ওইরাতেই তারা রাজশাহী কলেজে সমবেত হয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন।
পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই রাতেই ঢাকায় নিহতদের স্মরণে রাজশাহী কলেজ হোষ্টেলের এফ ব্ললকের পাশে একটি শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মানের সিদ্ধান্ত নেন। এর প্রেক্ষিতেই তারা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ইট ও কাঁদা সংগ্রহ করে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন। এই স্তম্ভের গায়ে কাগজের ওপর লিখে দিয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত চরণ উদয়ের পথে শুনি কার বানী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তাঁর ক্ষয় নাই। ' পরে আন্দোলনকারীরা আন্দোলনে উদ্্বদ্ধ করতে তাঁরা যখন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যান তখন পুলিশ চুপিসারে এসে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। ভাষাসৈনিক এবং রাজশাহীর বিভিন্নভাষা আন্দোলন সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় সেটা হলো এটাই দেশের প্রথম শহীদ মিনার।
কিন্তু আজও সেটা র মূল্যায়ন হয়নি। এছাড়াও রাজশাহীতে যাঁরা ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন তাঁদেরও মূল্যায়ন করা হয়নি। তাঁরা ক্ষোভের সাথে বলেছেন তাঁরা আর মূল্যায়িত হতে চান না। তাঁদরে যথাযথ সম্মান এবং দেশের প্রথম এই শহীদ মিনারটিকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত বলে আমাদের মনে হয়। কারণ ভাষাসৈনিকদের মূল্যায়ন না করলে আমরা বাঙালী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো বলে মনে হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।