মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী...
সারা দেশে চলছে থমথমে পরিস্থিতি। এবার মনে হচ্ছে ঠিক ঠিকই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করিয়েই ছাড়বে সেনাসদস্যসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তবে দেশের এই পরিস্থিতিতে কেমন আছে সাধারণ মানুষ? আসুন জানা যাক।
প্রথমেই মানুষের সুখের কথা। রাস্তাঘাটে দেড় দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে দশ বারো জন লোকের সঙ্গে কথা বললাম।
তাঁরা সবাই খুশি দেশের উন্নতি দেখে। সবাই আশা করছেন পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দেশে এমনই সুখময় পরিস্থিতি বজায় রাখবে। আওয়ামীলীগ বিএনপি নয়, তাঁরা চায় এমন কোন সরকার, যে দেশকে ভালোবাসবে, ক্ষমতাকে নয়। এমন কোন দল আছে যে দেশকে সত্যিকারর্থেই ভালোবাসে? যে দেশের উন্নতির জন্য সদা ব্যাকুল থাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে একেকজনের উত্তর ছিল একেকরকম।
তবে সাধারণ মানুষ একটি কথা বলেছেন তা হলো, সেনাসদস্যের বাড়াবাড়ি।
তাঁদের ভাষায়, সেনাবাহিনী লাইসেন্সবিহীন টিভি নিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। মিরপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে বলা হয় এমন কোন অভিযোগ এখনও আসেনি। পত্রপত্রিকায় ও বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হচ্ছে এই প্রতারণার খবর "গুজব" নামে। বস্তুত: তা গুজব নয়।
টিভি আসলেই হারিয়েছেন অনেক মানুষ। কিন্তু পত্রপত্রিকা ঘাঁটেন কয়জন মানুষ? তাঁরা তো আর জানতেন না যে, মন্ত্রণালয় থেকে এমন কোন নির্দেশ আসেনি। কিংবা, সেনাসদস্যরা টিভির লাইসেন্সও চেক করতে আসেনি। আসে এক প্রতারক দল। ঠিক আছে গেল এই ব্যাপার।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সেনাসদস্যরা চালাচ্ছে দেশ পরিচ্ছন্নতার অভিযান! প্রথমে ফুটপাথ থেকে সকল হকারদেরকে তুলে দেওয়া হলো। রাস্তা হয়ে গেল ফকফকা, পরিষ্কার, অনেক বড়। না, রাস্তা বড় হয়ে যায়নি। রাস্তা সবসময়ই বড় ছিল। কিন্তু হকাররা তা দখল করে ছিল।
তখনকার প্রতিক্রিয়ায় মানুষ খুবই খুশি ছিল। কিন্তু এখন? মিরপুর-১ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের সাথে রয়েছে স্থায়ী ফলের বাজার। সেনাসদস্যরা তা কিভাবে উপড়ে দিয়েছে তা না দেখলে বলা অসম্ভব। দেখে আসুন না। এই ধরণের ঘটনায় অবশ্য কেউ কেউ ক্ষুব্ধ।
তবে তবুও মানুষ খুশী। দেশে এখন বিরাজ করছে এক শান্তিময় পরিস্থিতি। যা সচরাচর দেখা যায় না। আমাদের আশা, আগামীতে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দ্বারা দেশে আসবে এক সত্যিকারের দেশপ্রেমী সরকার। যেই সরকার দেশে শান্তি বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
কিন্তু আসলেই কি এমন কোন দল বাংলাদেশে আছে? যে সত্যি সত্যিই দেশকে ভালোবাসে? ভালোবাসে দেশের মাটিকে? দেশের মানুষকে। এখানেও সেই সিইসি বিচারপতি মাহবুবুর রহমানের কথা, [গাঢ়] দেখা যাক কি হয়। [/গাঢ়]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।