ধর্ষণ কথাটা শুনলে গা গুলিয়ে ওঠে। যেটার সাথে জড়িত থাকে একটি মেয়ের সতীত্ব। আর সতী নারী সকলেই চায়। কিন্তু বর্তমানে সমাজের কিছু জন্ম পরিচয়হীন কুকুরের কারনে নারীদের ইজ্জত টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পরেছে। জন্ম পরিচয়হীন কুকুর বললাম এই কারণে যে, যারা নারীদেরকে সম্মান দিতে জানে না, নারীদের ধর্ষণ করে তাদের বংশ পরিচয় সম্পর্কে আমি সন্দেহ প্রকাশ করি।
আশা করি এতে আপনারাও একমত হবেন। বর্তমানে ধর্ষণের ঘটনা আহরহ ঘটছে এবং আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে কিন্তু তারা বেরিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল-তাহলে এই সমাজে নারীদের নিরাপত্তাটা কোথায়? তারা কি আজীবন কিছু মানুষরূপী জানোয়ারদের দ্বারা ধর্ষিত হতেই থাকবে? আসলে দোষটা শুধু রাষ্ট্রকে দিলে হবে না, দোষের ভাগীদার আমরাও তার কারণ হল-আমার সন্তানটা ছোটবেলা থেকে কোথায় যাচ্ছে? কার সাথে মিশছে? কি করছে? ও কি আজেবাজে জায়গায় যাচ্ছে এসব কিন্তু অনেক বাবা-মায়েরাই খোঁজ নেয় না যার কারণে ছেলেমেয়েরা বকে যায়।
আসলে ধর্ষণটা কি?
জোরপূর্বক কিংবা অনিচ্ছার বিরুদ্ধে যদি এক বা একাধিক ছেলে একটি মেয়ের সাথে যৌন সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় তাকে ধর্ষণ বলে।
ধর্ষণের শাস্তি-
আমাদের দেশের আইনে ধর্ষণের সর্বচ্চ শাস্তি জাবৎজীবন কারাদণ্ড।
এতেই কি শেষ? তার উপর আবার আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে অনেকেই বেরিয়ে আসছে আর তারা যে পরবর্তীতে আবারও ধর্ষণের মত ওই সব নোংরা কাজ করবে না তার কি গ্যারান্টি আছে?
আমি বা আপনি যদি এই নোংরা কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হই তাহলে এই সমস্যাটা কোনদিনই সমাধান হবে না। আমরা জানি যে, আমাদের সমাজের কোন কোন মানুষ এই জঘন্য কাজে লিপ্ত তাদের যদি আমরা এমন শাস্তি দেই যা দেখে পরবর্তীতে আর কোন ছেলে ওই কাজ করা কেন, তা ভাবতেই যেন না পারে। সমাজকে শুধু আপনি আমি একাই বদলাতে পারব না, সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। গড়ে তুলতে হবে আন্দোলন। আমার মা-বোনের সম্মান আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।
এখন থেকেই আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, সমাজের আর কোন নারী যাতে ওই সব নরপিচাসের বলির স্বীকার হয়।
আসুন আমরা সবাই ধর্ষণকারীদের ঘৃণা করি... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।