আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেবার ওদের সঙ্গে যেতে হলো বেড়াতে পশ্চিমে - মানুষ বেড়ায়! (পর্ব - 2)

i'm lost and alone and i'm fair and i'm free you am what you is and i are who i be what i'm lacking in strength i make up for in smarts you keep your stability i'll keep my heart

প্রথমে পাহাড় দেখলাম গাড়ী থেকে। গাছের ফাঁকে ফাঁকে, বিভিন্ন ঘর বাড়ির কোণায় কোণায় দেখা যাচ্ছিল। দেখতে ভাল। গরমের মধ্যেও পাহাড়টা সাদা। কিছু তুষার এখনও জমে আছে।

মাঝে মাঝে পাহাড় আর মেঘ মিলেমিশে যাচ্ছিল, আলাদা করে চিনতে পারছিলাম না। ফয়সাল সামনের সীটের থেকে অনেকন ক্যামেরা তাক করে রেখেও শাটার টিপছিল না, গাড়ী যেহেতু অনেক জোরে যাচ্ছিল, ওর ক্যামেরার ছবি বদলাচ্ছিল সমানে। পথে একটা ডিটুর নিতে হলো। কোন এক্সিডেন্ট হয়েছিল বোধহয়। একজন মহিলা পুলিশ রাস্তা বলে দিল।

সাধারণত পুলিশদের চেহারা কেমন একটু গম্ভীর হয়, আর মেয়ে হলে একটু রুক্ষ ধরণের। আমি এর আগে যাদের দেখেছি, সবাই কম বয়সী, 25 থেকে 30 এর মধ্যে। এই পুলিশ বেশ বয়স্কা, আর খুব হাসি খুশী, অনেক ঘরোয়া চেহারা। ভালই লাগলো। আমরা একটা রিসর্ট সেন্টারে দুইটা ঘর ভাড়া করেছিলাম।

সেন্টারটাই পার্কের মতোন। আবার ব্যাক প্যাকারও আছে। ফয়সালের আবার ব্যাকপ্যাকার দেখলেই চিত্ত চাঞ্চল্য শুরু হয়। তার মধ্যে আমরা যখন রিসেপশানে গেলাম, তখন বেশ সুন্দরী একটা চাইনিজ মেয়ে পাশেই কমন রান্নাঘরে কি যেন করছিল। ও প্রায় ওইখানেই আস্তানা গাড়তে যাচ্ছিল, আমরা কোন মতে টেনে টুনে নিয়ে আসলাম।

আদিবের নামের শেষে আবার 'মোহাম্মদ' আছে। নাম সাইন করার সময় রিসেপশানিস্ট জিজ্ঞেস করলো যে এই পদবী নিয়ে চলতে ফিরতে কেমন লাগে। আদিব বললো নিউজিল্যান্ডে কোন সমস্যায় পরে নাই। হয়তো অ্যামেরিকা হলে আলাদা ব্যাপার হতো। রিসেপশানিস্ট (রিচ) তখন তার এক বোন জামাইয়ের কথা বললো।

সে নাকি সাদ্দাম হোসেনের বেশ দুর সম্পর্কের আত্মীয়। প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে এই দেশে ছিল এবং ভাল চাকরিও করছিল। তাকে নাকি কিছুদিন আগে দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। মনে হলো সাধারণ ভাবে সেরকম কিছু বোঝা না গেলেও সবসময়ই ভিতরে ভিতরে একটা কেমন গা বাঁচানো, একটা দুরত্বের ভাব থাকে অনেকেরই, আমরা মুসলিম এইটা শুনলেই। অনেকে আবার 'উদার' মনা যারা আছে, নানান কিছু জানতে চায় ধর্ম বিষয়ে।

অন্তত পলিটিক্যালি কারেক্ট একটা জায়গায় থাকতে চায় যে কোন আলাপে, তারপরেও বিভিন্ন মন্তব্য, কথোপকথন ইত্যাদিতে তাদের আড়ষ্টতা/ভীতি/বিদ্বেষ ধরা পরে। এই নিয়ে আরেকদিনের ঘটনা লিখবো পরে। যাই হোক ঘরে যাওয়ার পথে একটা ডোরা কাটা ট্যাবি টরটইসশেলের দেখা পাওয়া গেল। আদিব তো বিড়াল দেখলেই একবার কোলে নেয়ার চেষ্টা করে। এটাকেও তাই করলো, তবে এর তেমন কোলে আসার ইচ্ছা ছিল না।

আর কিছুদুর যাওয়ার পরে বেশ কিছু মুরগী দেখলাম, কয়েকটা একদম সাদা ধবধব আর কয়েকটা কালো কুচকুচ। আর সাধারণ মুরগীর মতন না দেখতে। ওদের পা দেখা যাচ্ছিল না। নীচের অংশটা কেমন ভঙ্ওয়াগন গাড়ীর মতন। (বাকীটা কালকে ইনশাল্লাহ!)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।