আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেবার ওদের সঙ্গে যেতে হলো বেড়াতে পশ্চিমে - মানুষ বেড়ায়! (পর্ব 1)

i'm lost and alone and i'm fair and i'm free you am what you is and i are who i be what i'm lacking in strength i make up for in smarts you keep your stability i'll keep my heart

আমি অবশ্য পশ্চিমে যাই নাই। নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে সবচেয়ে পূবের শহরে গেছিলাম। আমার কোন ঘোড়া নাই শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতোন। একটা বিড়াল আছে, তবে তার নাম প্লাতেরো না। অনেক নাম বদলের পরে এখন তার নাম মিষ্টার প্রেসিডেন্ট।

প্রথমে ছিল বিলাই (ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফেনিজ এর স্টাইলে, ওইখানে মেয়েটার বিড়ালের নাম থাকে - ক্যাট)। তো যাই হোক বিলাই থেকে হলো বিল, তারপরে বিল কিনটন, তারপরে মিষ্টার প্রেসিডেন্ট। আমি অবশ্য ডাকার সময় এতোবড় নামে ডাকতে পারি না। মিয়াও বললেই কাজ হয়। তো মিয়াও কে রেখে যেতে হলো আমাদের পাশের বাসার বুড়ির কাছে।

আদিব আমাকে ভয় দেখালো যে এই দুইদিনে বিড়াল আমাকে ভুলে যাবে, এবং ফ্রানসিসের বাসায় থাকা শুরু করবে। ভয় সাথে নিয়েই রওনা হলাম। শুধু এই ভয় না, আরো অনেক ভয় আছে রাস্তায় রাস্তায়। যদি আমরা বিচে যাই, আর সেখানে যদি কুকুর থাকে তাইলে আমার কি হবে! অথবা ফয়সাল (আদিবের বন্ধু) যে আমারে বললো 10 কিলোমিটার হাাঁটাবে পাহাড়ের উপরে, এইটা যদি জোক না হয়ে সিরিয়াস হয় তাইলে কি হবে? যদি হোটেলের বাথরুম নোংরা হয়? যদি রাস্তায় বাথরুম আসে আর ভালো কোন জায়গা না থাকে? এসসেটরা এসসেটরা। জায়গাটার নাম নিউ প্লিমিথ (New Plymouth)সেখানে একটা পাহাড় আছে, মাউন্ট তারানাকি (Mount Taranaki)।

টম ক্রুজের সিনামা 'দ্যা লাস্ট সামুরাই' এর শুট্যিং নাকি এখানে হয়েছিল। জায়গাটার সাথে জাপানের মাউন্ট ফুজিয়ামার মিল আছে সবাই বলে। আমি তো আর জাপান দেখি নাই। যাওয়ার পথে ফরগটেন হাইওয়ে নামে একটা রাস্তা ধরে গেলাম। 151 কিলোমিটার ধরে রাস্তা শুধু গোল গোল ঘুরতেছেই।

এক পাহাড় থেকে নামে আবার আরেকটায় উঠে, এইরকম। পেছনের সিটের অন্যাান্য মালপত্রের সাথে সাথে আমিও একবার এইদিকে গড়ালাম আরেকবার ওইদিকে। ঝাঁকি খেতে খেতে হাড্ডিটাড্ডি নরম হয়ে গেছে। আমি মহা রাগত হয়ে আদিবকে ধমকালাম ু 'তুমি ইচ্ছা করেই আমাকে ব্যাথা দেওয়ার জন্য জোরে জোরে চালাইতেছ!' ভাগ্যিস আমাকে ওই পাহাড়ের উপরে নামায়ে রেখে চলে যায় নাই। ওর আবার এই রকম রেকর্ড আছে।

আমি তেমন প্রকৃতি প্রেমিক বোধহয় না। যেমন বন্য পশুপাখির মধ্যে আমাকে ছেড়ে দিলে আমি ভয়েই মারা যাবো। পাখি অবশ্য ভালো লাগে। আমি হাফ ভেজিটেরিয়ান হওয়াতে এই ভালো লাগাটা অনেক নিষ্পাপ। আমার এক বন্ধু আছে, সে যে কোন পাখি দেখলেই বলে যে 'ওহ! এই পাখি তো আমি খাইছি! রোস্ট খুবই মজার।

' যাই হোক, সবুজের মধ্যে সবুজ হতে বা উইপোকার সাথে উইপোকা হয়ে হাঁটতে ইচ্ছা না হলেও অনেক খোলা মেলা মাঠ, পাহাড়, সমুদ্র এইসব দেখতে আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে গাড়ীতে যেতে যেতে জানালা দিয়ে বাইরে একটার পরে একটা দৃশ্য বদল দেখা এবং কিছুই না ভাবা, অনেক আরামের। (বাকি টা পরে লিখবো)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।