আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ষিতাদের জন্য একফোটা অশ্রু



বহুদিন এই মুখো হওয়া হয়না। কিন্তু আজ খুব লিখতে ইচ্ছা করছে। তাই ফিরে এলাম। আজ একটা গল্প পড়লাম। এক ধর্ষিতার কাহিনী।

হানিমুনে গিয়েছে নতুন স্বামী স্ত্রী। সেখান থেকে মেয়েটাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় কয়েক গুন্ডা, স্বামী বেচারা প্রানপনে চেষ্টা করেও বাচাতে পারেনা। থানায় যায়, কিন্তু কিছুই হয়না। পরেরদিন গুন্ডা গুলো যখন মেয়েটাকে ফেরৎ দিয়েছে, মেয়েটার তখন বিদ্ধস্ত অবস্থা। ওরা আর দেরী না করে পালিয়ে যায়।

স্বামী সব কিছু মেনে নিলেও স্ত্রীটা মানতে পারেনা। সে আস্তে আস্তে এবনরমাল হয়ে যায়। নিজেকে গুটিয়ে নেয়, আর সব সময় কেমন ভয় পায়। আস্তে আস্তে তার অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। শশুর বাড়ির লোক খুব আপসেট হয়ে পড়ে।

নতুন বউ কিনা পাগল? এই ভাবে কিছু সময় গড়িয়ে যায়। একসময় ধরা পড়ে মেয়েটা প্রেগন্যন্ট। সেটা শুনে তো মেয়েটা কিছুতেই সেটা মেনে নিতে পারেনা। বলে, না, এটা আমার সন্তান না, এটা ওদের সন্তান। সে মানসিক ভাবে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।

সারাক্ষন স্বামীকে দোষারোপ করে, পশুগুলোর কিছুই হোলনা? তারা এত সহজে ছাড়া পেয়ে গেল? সময় মত বাচ্চা হয়। কিন্তু মেয়েটা ফিরেও বাচ্চার দিকে তাকায় না। বাচ্চা থাকে দাদীর কাছে। সারারাত কাদে। একসময় স্বামীটা এসে বাচ্চাকে তাদের ঘরে নিয়ে যায়।

বাচ্চার মুখ দেখে যদি মায়ের মন গলে। কিন্তু মা টা বাচ্চাকে একদম সহ্যই করতে পারেনা। সেই সময় বাবাটা প্রতিগ্গা নেয়, যে করেই হোক, তার স্ত্রীকে স্বাভাবিক করতেই হবে। সে আবার কক্সবাজারে ফিরে যায়। একজন প্রসটিটুট কে ভাড়া করে শেষ রাতে বীচে নিয়ে যায়।

কিন্তু গুন্ডারা আসেনা। পরের দিনে তাকে আরো সুন্দর করে সাজতে বলে। সেইদিন গুন্ডারা আসে। যেই মেয়েটাকে নিতে যাবে, গুলি করে সব কয়টাকে। তারপর ঢাকায় পালিয়ে আসে।

কিন্তু বাসায় এসে দেখে বাসায় অনেক পুলিশ। তার স্ত্রীর হাত পা বাধা। এবং বাচ্চাটা আর নেই। স্ত্রীটা বলে তুমি তাদের উপর প্রতিসোধ নিতে পারোনি। তাই আমি নিয়েছে।

লোকটা তখন কাদতে কাদতে সব খুলে বলে। মেয়েটা যখন বুঝতে পারে, বাচ্চার জন্য কাদতে শুরু করে। তারপরি অট্যহাসি। আমার চোখ দিয়ে একফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো। মনটা সেই থেকে খুব খারাপ।

জানি এটা একটা গল্প। কিন্তু এটাতো কত মেয়ের জীবনেই ঘটেছে। কত মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে ওই রকম পশুরা। সেই মেয়েগুলোর তো কোন দোষ ছিলোনা। কত মেয়ের পরিনতি গল্পের থেকেও ভয়াবহ হয়েছে।

সমাজের চোখে সব দোষ তাদের উপর পড়েছে। কতজন অপমান সহ্য না করতে পেরে আত্যহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। খুব কষ্ট হয় তাদের জন্য। জানি আজকাল অনেকেই আর সতীত্বের তেমন মুল্য দেয়না। তবু যারা দেয়, তাদের এই সর্বনাশ করে কেমন করে ওই পশুগুলো।

জানি তাদের জন্য ভয়াবহ আজাব আছে আল্লার কাছে। কিন্তু তবু আল্লার কাছে দোয়া না করে পারিনা "হে আল্লাহ, আমার বোনদের জীবন যারা এই ভাবে জীবন নষ্ট করেছে, তাদের তুমি শাস্তি দাও। "

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।