আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষন্ন কাকতাড়ুয়া

সম্পর্কের পূরত্ব কতটুকু হলে রয়ে যায় মানুষ কতটা দ্ব্যর্থহীন হলে নিজেকে নিংড়ে দেয়া যায় নিশ্চিন্তে? জানো কি, কতটা টান থাকলে “আমি-তুমি’র কাব্য” পায় পূর্নতা? আমিও তো হেটেছিলাম সে পথ প্রেমের নকশীকাঁথায় জুড়েছিলাম উষ্ণতার গল্প বেশ হিসেব কষেই উড়িয়ে দিয়েছি ভবিষ্যতের ফানুস তবু কোথায় যেন ভুল হয়ে গেলো বিশ্বাসের দেয়ালে জমলো আদি শ্যাওলাগুলো প্লাস্টার খসে বেরিয়ে এলো বীভৎসতা। জানো, সেদিনের সেই অগাছালো তুমি, ফোলা দুটি চোখ সাথে হৃদয়ের আহ্বান উদ্বাহু বাহুতে আমার বুকে যেন গোটা ধরনীর প্রস্থান জানোনা, আমায় করেছে কতটা সিক্ত, জমিয়েছে কত হাজার মাইলের দুর্ভেদ্য পিছুটান আমি আপ্লুত হই, কৃতজ্ঞ রই, যদি হয় তাতে প্রতিদান! আমি স্বীকারোক্তি দেই, সেই আদ্যন্ত ভালোবাসার, আঁখি পল্লবে জমা সেই অশ্রুধারা, জড়িয়ে ধরে অস্ফুটে দেয়া সেই অলিখিত চুক্তির। আমি আরও স্বীকারোক্তি দেই, আমার হৃদস্পন্দনের অচেনা হয়ে যাবার রঙচঙে খোলসের বাইরে সে মূর্ত বিবর্ণতার। জানো কি, অনুভুতির বর্ষা কত ভোঁতা হলে, কতটা বিস্ময় ছড়িয়ে দিলে আমি সয়ে নিতে পারি শতসহস্র ক্লান্ত অভিশাপ? আজ ঘুনেধরা পায়ে পুরনো পথে পুরনো নকশীকাঁথায় শীত তাড়ানো ওমের খোঁজ করি। বিস্তীর্ন মাঠে কাকতাড়ুয়া দেখি, খুব একা হয়ে যাওয়া বিরান মাঠের বটবৃক্ষ দেখি, ওগুলো আজও বেঁচে আছে বিষণ্ণতার ইতিহাস নিয়ে। আমিও তেপান্তরের একজন হবো, মরুর পথের বেদুঈন হবো প্রায়শ্চিত্তের শেষ বিন্দুতে তবু লেখা থাকুক তোমার নাম...  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।