আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউনুস চাচার দেশ চালাইবার খায়েশ

ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মদানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে রাজাকারের কোনো স্থান নাই

দেশে ইসলামী জাতীয়তাবাদী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তির লড়াই চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জঙ্গিবাদের উত্থানে যুক্তরাষ্ট্র উদ্্বিগ্ন। তারা চাইছে বাংলাদেশে তাদের পছন্দমতো একটি জাতীয় সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করুক। যারা কিনা এই মুসলিমপ্রধান দেশে মোটামুটি স্থিতিশীলতা আনবে এবং আর যাই হোক জঙ্গিবাদ এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে আনবে। জাতীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে যায় এমন কিছু করতে যাবে না।

এই লক্ষ্যে ইউনুস চাচার ইমেজ বাড়ানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশে যখন দুই জোটের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে আমাদের ইউনুস চাচা তখন ইউরোপের দেশগুলোতে ভাবমূর্তি উজ্জল করছেন এবং মাঝে মাঝে বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। দেশে ফিরে আবার শিশুসুলভ চপলতায় আবোল তাবোল বকছেন। আমি গুছিয়ে লিখতে পারছি না বন্ধুরা। আশা করব এই ব্লগে যারা উন্নতমানের ব্লগার আছেন তারা এ বিষয়টি আরো খোলাসা করবেন।

যাই হোক, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের সম্পদ নয়। যুক্তরাষ্ট্র চাইলেই আমাদের দেশে আমরা তাদের ফর্মুলায় বানানো কোনো জাতীয় সরকার এদেশে মেনে নেবো না। একথা ঠিক যে বাংলাদেশ বর্তমানে অস্থিতিশীল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এখানে অগণতান্ত্রিক কোনো সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। আর যেসব সমস্যা রয়েছে সেসবের সমাধান তো দেশের জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে নিজেই সুরাহা করবে।

এখন নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তা নিয়ে চিন্তা করাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু ইউনুস চাচা তা চান না। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় সরকারের কতিপয় রূপরেখা দিলেন। বললেন, একজন নাগরিক হিসেবে তিনি দেশের বর্তমান সংকট যে চিন্তা করেছেন তাতে তিনি এই সমাধান বের করেছেন। ভালো কথা।

কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত ভাবে প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহন কে আগাগোড়া ব্যাখ্যা প্রদান না করেই এক কথায় বলে দেন যে আপনি ঠিক কাজটি করেছেন তার কাছে আবার সংকট কী? উনি নিজেই তো সংকটের সাপোর্টার। ইউনুস চাচা সেনা মোতায়েন নিয়ে কোনো কথা বলেন না। ভোটার তালিকা নিয়ে কোনো কথা বলেন না। নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো কথা বলেন না। উনার যত কথা সব ওই নির্বাচন নিয়ে।

উনার ভাষায় নির্বাচন হতে হবে কারন এছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমস্যা কোথায় এর সমাধান কী তা নিয়ে তার কোনো মতামত নেই। তিনি সমাধান নিয়ে কোনো কথা উঠলেই তিনি বিএনপি বা আওয়ামী লীগ বা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কোনো সমাধান না দিয়ে তিনি লং জাম্প মারেন জাতীয় সরকারে। কেন যুক্তরাষ্ট্রে কি গণতন্ত্র নেই? ইউরোপে কি গণতন্ত্র নেই? পৃথিবীর বড় বড় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে শুরুর দিকে কি কোনো সমস্যা ছিল না? নাকি সবাই তারা জাতীয় সরকারে লং জাম্প মেরেছিলো। একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবর্তিত জাতীয় সরকারে প্রধানমন্ত্রী (বা রাষ্ট্রপতি) পদের জন্য ইউনুস চাচাই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের লিস্টে প্রথম নাম হিসেবে রয়েছে।

(এটা শুধু আমার না বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকদের ও অভিমত)। আমি তার নোবেল বিজয় বা তার কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলতে চাই না। শুধু যদি উনি এই রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন তাই চাই। তিনি বাংলাদেশে নোবেল বিজয় কে পুঁজি করে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ব্যবসা করবেন তা চাই না। উনি রাজনীতিতে আসলে বাকি সবার ভাত শিকেয় উঠবে তা বলছি না।

উনার এই অপকৌশলে পা দিয়ে দেশের মানুষ আবার তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করুক তা চাই না। এখনতো উনার এইসব অকাজের কথা বললে তিনি আবার তাঁর নোবেল বিজয়ের মেডেলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবেন। আমি আসলে জাতীয় সরকারের বিরুদ্ধে সবগুলি পয়েন্ট তুলে ধরতে পারিনি। দুঃখিত। অন্য যেসব সম্মাণিত ব্লগার গণ এই ব্লগে আছেন ( যারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন করার অধিকারকে সমর্থন করেন) তারা যদি এব্যাপারে ভালো করে একটা পোস্ট দেন তাহলে পাঠকগণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ধন্যবাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.