ইসু্যভিত্তিক আন্দোলন
বিদিশা বললেন,'আমার রাজনীতিরই তো জয় হলো। ' এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার গুলশানের বাসায় টেলিভিশনের পর্দায় পল্টন ময়দানে 14 দলের মহাসমাবেশের মঞ্চে নেতাদের সারিতে এরশাদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন বিদিশা। কেঁদে ফেললেন তিনি। আবেগজড়িত কণ্ঠে বললেন, 'আমার রাজনীতি ভুল ছিল না। এরশাদকে বলেছিলাম রাজনীতি করতে হলে জনগণের কাতারেই থাকতে হবে।
দুর্নীতিবাজ লুটেরা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে গেলে জনগণের সমর্থন হারাতে হবে। শেষ পর্যন্ত এরশাদ সেই জনগণের কাতারেই এলো, কিন্তু মাঝখানে বলি হতে হলো আমাকে। ' আর এজন্য তিনি দায়ী করলেন জাপার বিএনপিপন্থি এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদকে। বললেন, 'তাদের কারণে আমাকে কী অমানবিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, ঘর ছাড়তে হয়েছে। '
বিদিশা টিভি পর্দায় চোখ রেখেই বলছিলেন, 'স্ব্বামী হিসেবে এরশাদ আমার ওপর যে অবিচার ও অন্যায় করেছে, তা কোনো স্ত্রী মেনে নিতে পারে না।
এরশাদের ওপর যে ঘৃণা তা আমার আজীবনের। তবে আজ আমার জয়ের দিন। আমি জিতে গেছি। এত দিনে এরশাদ তার ভুল বুঝতে পেরেছে। বুঝতে পেরেছে, রওশনরা তাকে ভুল রাজনীতির দিকে ধাবিত করেছে।
এরশাদের প্রতি পুঞ্জীভূত ঘৃণা আমার কিছুটা প্রশমিত হলো। বিদিশা বললেন, 'কী বিকৃত ও জঘন্যভাবে রওশন এরশাদ গং এরশাদকে ভুল রাজনীতির দিকে পরিচালিত করেছে। শেষে আমি যখন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের মিটিংয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কথা বলেছি তখন বিএনপির দালালরূপী এই গং এরশাদকে বলেছে, আমি আওয়ামী লীগের দালাল। তারা ষড়যন্ত্র করে আমার সংসার ভেঙে দিয়েছে। বলেছে আমি নাকি দলের কো-চেয়ারম্যান হতে চাই।
এখন তো স্পস্ট কে চেয়ারম্যান বা কো-চেয়ারম্যান হতে চান। '
এরশাদ যদি তার কৃতকর্মের জন্য মা চান, বিদিশাকে ঘরে ও দলে ফিরিয়ে নিতে চান তাহলে তিনি সাড়া দেবেন কিনা_ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ঘরে ফিরব না আগেই বলেছি। আর দলের বিষয়টি জানি না। কারণ রাজনীতি ভিন্ন বিষয়। জনগণের ওপরই তা বেশি নির্ভর করে।
আমি এরশাদের মা চাওয়া না চাওয়ার কোনোটাতেই নেই। শুধু কষ্ট হচ্ছে, আমি যা বলেছি এরশাদ তাই করেছে আমাকে শেষ করে, বিপর্যস্ত করে দিয়ে। এটাই আমার বড় জয়। আমি এরশাদকে সঠিক পথেই টানতে চেয়েছি। দেরিতে হলেও এরশাদ তা বুঝল।
'
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।