সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাংসদ হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার ভক্ত হয়ে পড়েছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা আব্বাস।
গত শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাজাহানপুরের নিজ বাসভবনে বার্তা সংস্থা আইএনবিসহ অপর দু’টি মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে একান্ত আলাপে গল্প-ছলেই বিদিশার প্রসঙ্গ তোলেন আব্বাস। এ সময় বিদিশা রচিত “শত্রুর সাথে বসবাস” বইটির ভূয়সী প্রশংসা করেন বিএনপি’র এই প্রভাবশালী নেতা।
মির্জা আব্বাস জানান, প্রায় ২০ বছর পর তিনি যে বইটি পড়ছেন, সেটি হল “শত্রুর সাথে বসবাস”। তখনও বইটির পুরোটা পড়া শেষ হয়নি তার।
তবু বইটির লেখিকা হিসেবে বিদিশা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তারই প্রসংশা করে তিনি বলেন, এই বইটিতে এ দেশের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, রাষ্ট্রদূত, এমনকি সাংবাদিকদেরও অনেক অজানা কাহীনি প্রকাশিত হয়েছে। যা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বিদিশার পর্যবেণ ও লেখনী শক্তিও অসাধারন।
এই বইটিকে ‘ইউরোপীয় কায়দায় বেড়ে ওঠা এক বাঙালি নারীর আত্মকথন’ অভিহিত করে আব্বাস আরো বলেন, তিনি (বিদিশা) নিজের ভুল-ত্রুটিও লুকানোর চেষ্টা করেননি। বিদিশার ‘দেশী-বিদেশী কানেকশন’ ও রাজনৈতিক দতাকে কাজে লাগিয়ে এরশাদ আরো উপকৃত হতে পারতেন।
অবশ্য এরশাদের সাথে না জড়ালে বিদিশা নিজেও এদেশীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে যেতে পারতেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকটা উল্কার মতই আবির্ভূত হয়েছিলেন এই বিদিশা। হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদকে ব্যবহার করে স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জন করার পরও পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক নানাবিধ কারনে তার ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। পরবর্তীতে পেশায় ব্যবসায়ী এই নারীর রাজনৈতিক অবস্থান নড়বরে হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ব্যর্থ হওয়ার পর নারী অধিকারের নাম নিয়ে তিনি নতুনভাবে উপস্থাপন করে নিজেকে।
“শত্রুর সঙ্গে বসবাস” বইটির ভূমিকাতে বারবারই এটিকে আত্মজীবনী বলে অভিহিত করেছেন বিদিশা। এতে তিনি তার বাল্যকাল থেকে শুরু করে তারুণ্য ও যৌবনের দুই স্বামীর সংসার এবং সেই সাথে কিছু সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির বর্ণনা করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।