চিহ্নহীন পথের কথা
ছোটবেলায় বাবা একবার সূতোয় বাধা একজোড়া বেলুন কিনে এনেছিল - টুকটুকে লাল একটার রঙ , আর একটা সাদা। ওদের খালি ফন্দি কখন উড়ে যাবে। ছোট ভাইয়া সাদা আর আমি লাল বেলুনটা হাতে নিয়ে দৌড়ে বেড়াই ঘরময় -ঘর পার হয়ে সামনের উঠোন ,দুভাইবোন সেখানে এস দাড়িয়ে আকাশের নিচে বেলুন দুটোকে দেখি। আকাশী আকাশের নিচে দুটো বেলুন বাতাসে কেমন দোল খায় - ছোটভাইয়া বলে
- জানিস বেলুনটা ছেড়ে দিলে চাদের দেশে চলে যাবে।
- এহ বাজে কথা
- সত্যি
দস্যি ছোট ভাইয়া এটা বলেই কোথায় দৌড়ে চলে গেল।
ও এক মূহূর্ত যদি একজায়গায় থাকতে পারে। আর আমার এ ছোট্ট বাসাটার বাইরে বের হতে ইচ্ছে করতো না আর বাইরের পৃথিবীর টো টো ছেলে ছিল ছোটভাইয়া। ও যা বলতো আমি সব বিশ্বাস করি। আমি লাল টুকটুকে বেলুনটার দিকে তাকিয়ে ওর কথা কানে বেজে ওঠে। সত্যিই বেলুন টা চাদের দেশে যাবে- আমি সূতোটা ছেড়ে দেই।
বেলুনটা উড়তে নীল আকাশে উড়ে চলে যায়।
আজো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে ঐ বেলুনটা চাদে দেশে চলে গেয়েছিল।
আমার হটাৎ ঘুম ভেঙে গেলে চাদের দিকে তাকিয়ে মনে হয় এই চাদটা আমার ছোট ভাইয়া, আমার মা, আমার বাবা দেখছে। হাজার মাইলের দূরত্ব এক মূহূর্তে ঘুচে যায়। আমি ফোন করি - ছোট ভাইয়া চাদের দিকে তাকাও - আমি এই চাদের দিকে তাকিয়ে আছি -ভাইয়া হো হো হেসে ওঠে - ধুরো - এখনতো এখানে খটখটে রোদ।
আমার চাদটা আর ভালো লাগে না। চাদের আলোয় তখন হাজার মাইলের দূরত্ব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।