কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...
দেশের রাজনীতিরে হেইট করি! পলিটিশিয়ানস আর হিপোক্রিটস! দে জাস্ট ফাক আস!(প্রয়োজনে একটা ইংরেজী অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করলাম কেউ মাইন্ড খাইয়েন না) এইরম কিছু কথার প্রচলন হইছে আমাগো বাঙালী অধুনা আধা নাগরিক মধ্যবিত্ত সমাজে। রাজনীতিবিদেরা দুর্নীতিবাজ...রাজনীতি হইলো দুর্নীতির একটা পন্থা...এইসব আসলে পরিত্যাজ্য ফেনোমেনা। কোন মতাদর্শ নিয়া যদি কেউ দুই কলম কিছু কয় সে জ্ঞানী হয়, পন্ডিত হয়, আঁতেল হয়...আর সবশেষে তারে এড়াইয়া চলা বুদ্ধিমানের কাজ বইলা সিদ্ধান্তও নিয়া নেয় কেউ কেউ। আর যারা রাজনৈতিক কথাবার্তা কইয়াও জনপ্রিয় তাগো হইতে হয় পেসিমিস্টিক...কিম্বা ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেইকা রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষার ব্যঙ্গ বিশারদ। আর অনেক ক্ষেত্রেই এই সব ব্যঙ্গ সিদ্ধান্ত মূলক অবস্থান হয় অরাজনৈতিক আর বাস্তবতা বিবর্জিত।
সাধারণ মানুষ বইলা দাবীদার এই জনগোষ্ঠী স্বপ্নের বিশ্লেষণ করতে জানে যা!তা! টাইপ; কিন্তু তাগো মধ্যে স্বপ্ন দেখনের কেরম টানাপোড়েন আছে। আর তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন ভূমিকা নিয়া আলোচনা করতে পছন্দ করে। (অবশ্যই এই ভূমিকা খালি জনপ্রিয়তার নিরীখে তৈরী হয়। ) তারা দেশের প্রমিন্যান্ট মুখরোচক সংবাদ বিশ্লেষণ কইরা তার বিবিধ: হাইপোথিসিস দাঁড় করানের চেষ্টা করে। দেশরে এক্কেরে প্রথাগত দুই শিবিরে বিভক্ত কইরা, একদল ভালো আর জ্ঞানী আর সম্ভাব্য সৎ (যারা বামপন্থী) মানুষের গোষ্ঠীরে জনবিচ্ছিন্ন বইলা চিহ্নিত করতে তারা ভালোবাসে।
এতো কথা কইয়া এতো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীরে আমি আসলে একটা বিশেষ উদ্দেশ্য রাইখাই সামনে আনতে চাইতেছি। সম্প্রতি এই ব্লগে একজন ব্লগার সমানে ধর্মঘটের বিরোধীতা কইরা সমানে ব্লগাইতেছেন...আমি যখন প্রথম এই ব্লগে মন্তব্য করতে শুরু করছিলাম, আজ থেইকা প্রায় 5 মাস আগে, তখনও এই বিষয় নিয়া আমার লগে ত্রিভুজ সাহেবের সাথে একটু বাকবিতন্ডা হইছিলো। শেখ হাসিনার কোন এক হরতাল ঘোষণা নিয়া উনি হরতালের ক্ষতিকর সকল দিক নিয়া বলতেছিলেন...আমি তার হরতাল বিরোধী অবস্থান নিয়া প্রশ্ন তুলছিলাম। আমারে তিনি তখন কনভিনস করতে পারেন নাই। আর তাই আমি এখনো আন্দোলনের একটা প্রক্রিয়া হিসাবে এখনো হরতাল, অবরোধ, অসহযোগের পক্ষের মানুষ।
আমার কওয়া উল্লেখিত অংশ যেহেতু রাজনীতি আর রাজনীতিবিদ বিরোধী, সেহেতু তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ণের অনেক কথা কয়। তারা যেহেতু রাজনীতিরে কোন মতাদর্শিক কিম্বা সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের উপলক্ষ্য হিসাবে ভাবে না, তাই তাগো কাছে রাজনীতি আবাহনী মোহামেডানের মতো দুই দলের কোন একরম খেলা। এই খেলায় আবাহনী সমর্থন না করলেই মোহামেডান টাইপ ধারণার জন্ম হয়। আবার এইবার আলফাজ আবাহনীতে খেললে ভালো খেলোয়ার আর মোহামেডানে গেলে ক্যাৎরা উপাধী পায়। কিন্তু রাজনীতিতে তৃতীয় মত বইলা কিছু থাকতে পারে এই ভাবনা তারা কখনোই ভাবে না।
দেশের রাজনৈতিক অবস্থা আসলেই খুব খারাপ। ইয়াজউদ্দিন সাহেব অনেক খেইলের পর তার হাতে ক্ষমতা নিতে পারছিলেন। তিনি একটা বিশেষ দলের সমর্থক হিসাবে চিরকাল পরিচিত থাকার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কখনো দুর্নীতি করবোনা এই টাইপ ভাবনার সুযোগ নিয়া কিছু মানুষের করুণাও পাইছিলেন। কিন্তু সেই করুনার মর্যাদা উনি রাখতে পারতেছেন না তার পরিচয় প্রতিনিয়তঃ উনি দিয়া চলতাছেন। সর্বশেষ উনি যা করলেন...উনি যেই দল সমর্থন করেন সেই দলের আরো দুইজন সমর্থকরে নির্বাচন কমিশনে বসাইলেন।
যারা দুইজনই কিছুদিন আগেই নিজেরা নির্বচনী কর্মকান্ডে প্রকাশ্যে একটা দলের পক্ষে কাজ করনের অঙ্গীকার করছেন। এদের একজন আবার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করনের সাহস না পাইয়া আত্মসমর্পণ করছিলেন (আত্মসমর্পণ করতে উনি ভালোই পারবেন)।
এই পরিস্থিতিতে যদি আমারে বলেন কোনটা সঠিক পদক্ষেপ হইবো? আমি কমু এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকনটাই জায়েজ। যদি সেইটা কোন দলের অবস্থানের পক্ষে যায়...তাও আমি তার পক্ষেই যামু...অনৈতিক এইসব পদক্ষেপের পক্ষে থাকাটা কোন বুদ্ধির পরিচায়ক না। এখন কেউ যদি নির্দিস্ট কোন দলের সমর্থক সাধারণ (?) হন তাইলে আমার অবশ্য কিছু বলার নাই।
তারা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলবেন। কিন্তু আমি অসহযোগের পক্ষেই থাকুম। কারণ আমি মনে করি প্রতিবাদের ভাষা জোড়ালো হইতে হয়, দেশের এমন কোন পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়ণ চলতাছে না, যেইটা এই অসহযোগের কারণে উলটাইয়া যাইবো। কিছু মানুষের কষ্ট এই অবরোধ না থাকলেও ভালো থাকেনা, তারাই খারাপ থাকবো। আর কিছু মানুষ যেহেতু আন্দোলনের কি সুবিধা তাতে সন্দিহান তাগো সন্দেহ আরো প্রগাঢ় হইবো।
কিন্তু এইসব জায়গা থেইকাই অন্যায়ের প্রতিবাদ কালে কালে যুগে যুগে এই দেশে না খালি সারা পৃথিবীতেই হইছে...অন্যায়ের প্রতিবাদ করনটাও একটা অভ্যাস, যেইটা এই জাতি প্রায় ভুইলা যাইতে বসছে। অবরোধ, হরতাল, অসহযোগ হয়তো ভবিষ্যতেও মানুষের অনেক আকাঙ্খার মূর্ত রূপায়ন করতে পারে এই বিশ্বাস আমি করি। আর ক্ষমতাশালী বর্তমান রাজনৈতিক ধারার বিরোধীতার নামে যেই নিরাজনৈতিক-বিরাজনৈতিক ধারার শুরু হইছে তার কোন সুফল আমি দেখি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।