ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।
খুব ছোটবেলার স্মৃতিগুলো খুব ছাড়া ছাড়া। মাঝে মাঝে মনে হয় স্মৃতিটা কি সত্যিই স্মৃতি নাকি স্বপ্ন, নাকি মায়ের কাছে শোনা গল্প নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছি আমি! কি জানি!
একটা ছোট স্মৃতি বা বিস্মৃতি খুব নাড়া দেয়। আমি তখন খুব ছোট। রংপুরের একটা বাড়িতে থাকতাম আমরা। শীতকালের ঠান্ডা নিশ্চুপ দুপুর।
আমি হাটিহাটি পায়ে বাসার পাশের একটা ছোট মাঠের মতো জংলা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। সামনে দেখলাম একটা ফড়িং। দৌড়ে ধরতে গেলাম। উড়ে গেল। আবার সামনে গিয়ে বসল।
আবার তাড়া করলাম। হঠাৎ কেমন জানি ভয় লাগল। দৌড়ে ফিরে আসলাম ঘরে। ফিরে দেখি আমার মাকে চেয়ারের সাথে কারা যেন বেঁধে রেখেছে। আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম, 'আম্মু তোমাকে বেন্ধে রাখছে কেন? ভ্যাঁ...'।
আম্মা বললেন, 'আমার হাতে পায়ে ঝিঝি ধরেছেতো এইজন্য বেঁধে রেখেছে, আব্বু ...'
এই ঘটনা যখন মাকে বলেছি মা তখন হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে, সব নাকি আমার কল্পনা। হতে পারে। কিন্তু ধাক্কা খেয়েছি যখন রংপুরে গিয়ে সেই মাঠটা (আসলে ছোট্ট একটা প্রাইভেট কবরস্থান) খুঁজে পেয়েছি, আমরা যে বাসায় থাকতাম তার কাছেই। আবার বয়স হিসেব করে দেখেছি তখন আমার বয়স দুই বছরের মতো হবার কথা।
কিছু মনে থাকার প্রশ্নই আসে না।
নিঝুম দুপুরের কোন কবিতা বা গল্প পড়লেই আমার মনে সেই দুপুর চোখের সামনে ভেসে উঠে। কোথাও কেউ নেই। কেবল আমি আর ঘাসের ডগায় বসা কয়েকটি রঙীন ফড়িং, যাদের পাখার রঙ আমার চোখের মনিতে ঝলমল করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।