নির্বাচন সামনে রেখে দুই দিনের প্রচারাভিযানের দ্বিতীয় দিনে টাঙ্গাইলের মধুপুরের রানী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জয় বলেন, “তরুণরা আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছি। ”
জয়ের গাড়িবহর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা সোয়া ১১টায় মধুপুরের রানী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছালে খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তাকে স্বাগত জানান।
এরপর সাঁওতালী নৃত্যের মধ্যে দিয়ে জয়কে নিয়ে যাওয়া হয় জনসভামঞ্চে।
জয় বলেন, “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, তাদের সাজা দিয়েছি। এখন বাকি সাজা বাস্তবায়ন করা।
সমবেতদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, “বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেছেন, সাজাপ্রাপ্তদের মুক্ত করে দেবেন। এটা কি বাংলার মানুষ চায়?”
স্কুলের মাঠে সমবেত কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ সময় হাত তুলে বলেন- ‘না চায় না’।
পরে জয় বলেন, “এটা আমরা হতে দেব না। ”
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র বলেন, একাত্তরেরযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি, কারণ স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়।
“তাই সামনের নির্বাচন শুধুই একটি সাধারণ নির্বাচন নয়। একাত্তরের বিপ্লব শেষ করার নির্বাচন এটি। আওয়ামী লীগ জয়ী হলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আমরা মুছে ফেলতে পারব।
”
এই ‘অসমাপ্ত বিপ্লব’ শেষ করার জন্য আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যদি বিজয়ী না হয়, তাহলে দেশে আবার সন্ত্রাস ফিরে আসবে, বোমা হামলা ফিরে আসবে। ”
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আসুন আমরা একসঙ্গে অসমাপ্ত বিপ্লব সম্পন্ন করি। রাজাকারদের ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আসুন আমরা বিজয়ী হই। ”
স্বল্প সময়ের বক্তৃতায় জয় কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। বিএনপির সময়ে যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৩ হাজার মেগাওয়াট, সেখানে আওয়ামী লীগ সরকার তা সাড়ে ৬ হাজারে উন্নীত করেছে।
ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইল আসার পথে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মধুপুর বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে কিছুক্ষণ যাত্রাবিরতি করেন জয়।
মধুপুরে আসার পথে সড়কের দুই পাশে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থক ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে জয়কে স্বাগত জানান।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ভোটের আগে তাদের চাঙ্গা করতেই জয়ের এই সফর বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এর আংশ হিসাবে রোববার ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার পর টঙ্গীর টেলিফোন শিল্প সংস্থা কলোনি মাঠ ও গাজীপুরের চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে দুটি পথ সভা করেন জয়।
দুপুরে ময়মনসিংহ পৌঁছে বিকালে মুক্তাগাছা পৌর শহরের আর কে উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এক পথসভা এবং ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে এক কর্মীসভায় অংশ নেবেন জয়।
ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজে রাত কাটিয়ে সোমবার সকালে তিনি টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হন।
মধুপুর রানী ভবানী স্কুল মাঠের জনসভা শেষে টাঙ্গাইল ভাসানী হলে আরেকটি সভায় জয় অংশ নেন।
এরপর বিকালে মির্জাপুর আবদুল গণি স্কুল মাঠ ও চন্দ্রায় দুটি পথসভায় অংশে নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।