আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাৎনা করা কৌতুক

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

গত কাল ইচ্ছা ছিলো শাকিরার কোমড় দুলুনি দেখবো, বেশ নাম শুনলাম মানুষজনের কাছে, তাই গুগল ভিডিওতে অপেক্ষা করছিলাম কখন আসবে শাকিরা, মেদহীন কোমড়দুলুনিতে কাঁপিয়ে দিবে। কোনো এক কারনে ভুল বোতামে চাপ পড়লো, অবশ্য ক্ষতি হয় নি তাতে, দেখলাম বেশ বড় একটা ডকুমেন্টারি, বেন কিংসলের ভাষ্যে। ইসলাম নিয়া কিছু একটা হবে, অবশ্য তেমন মনোরঞ্জক কিছু না ওটা, এর পর দেখলাম জাকির নায়েক বলে এক পাবলিকের ভিডিও, শুধু একটা না বেশ কয়েক ঘন্টার ভিডিও, তাই প্রথম পর্ব দেখলাম, দেখে আমি মুগ্ধ, এমন ইসলামি কমিক চরিত্র খুব কম দেখা যায়, কিছু আছে যাদের দেখলে করুনা হয়, কিছু আছে যাদের দেখলে সম্ভ্রমবোধ জাগে তবে এই মানুষটাকে দেখে কৌতুক বোধ হলো বলেই তাকে নিয়ে একটা ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখবো ভাবছি, জিকির নায়েকি-ভাঁড় ওফ ইসলাম নামের। দেখতে হবে সেই লোকের হাস্যরস, ক্ষতি নেই, যতটা সময় দেখি ততই আনন্দ পাই। এবং একটা বিষয় উপলব্ধি করলাম এখানের অনেক মানুষই এই জাকের নায়েকের ভিডিওর নিয়মিত দর্শক, তাদের যুক্তি, তাদের শব্দ এবং উদাহরন সবই ভিডিও থেকে নিয়ে নেওয়া।

হালকা রসের জিনিষ সব সময়ই ভালো চলে, সবাই বুঝতে পারে এমন ইজি ডাইজেস্টেবল জিনিষ বিক্রি করতে পারাটাও একটা বড় শিল্প, ইসলামি সমাজে স্ট্যান্ড আপ কমিক চরিত্র খুব কম, জাকের নায়েকি সেই অভাব দুর করতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তবে আরও মজা লেগেছে ইউসুফ ইসলাম দেখে- তার একটা ভিডিও পাওয়া গেলো, হয়তো ইউ টিউব বা অন্য কোথাও। দেখে মজা পেলাম। বেচারা ধর্ম বদল করেছে তবে তার সংস্কৃতি বদল করে নি। তার সংস্কৃতি অক্ষুন্ন রেখেই সে ধর্ম পালন করছে।

পশ্চিমে বেশ বড় একটা মিউজিক ট্রেন্ড হলো ধর্মপ্রধান গানের, আমার নিজেরও চমৎকার লাগে এসব গান, কনটেম্পোরারি এবং ক্ল্যাসিকাল এই 2 ধারায় সব চার্চেই উপাসনার সাথে বাদ্য বাজে। এবং এই চার্চে গাওয়ার জন্য শিল্পিও আছে অনেকেই গান গায়, বিখ্যাত অনেক ব্যান্ডও আছে যারা বিভিন্ন চার্চে গিয়ে গান গায়। ইউসুফ ইসলাম ঠিক এই কাজটাই করছে আসলে, চার্চের গানের ধাঁচটাকে অক্ষুন্ন রেখেই সে শুধু কথা বদল করেছে, পরিবেশনায় কোনো পার্থক্য নেই, পরিবেশনা সঙ্গিতযোজনা, সবই সেই চার্চ সঙ্গিতের আদলে তবে এটা ইসলামি মতে( আমি জানি না বিস্তারিত, আস্ত মেয়ে যেহেতু বলেছে ইউসুফ ইসলামের গান ইসলাম সম্মত তাই) সঠিক। যদি ভক্তিমুলক গান শুনতেই হয় তাহলে কীর্তন কি দোষ করলো, কি দোষ করলো ভজন, ইংরেজী ভক্তিমুলক গান যেখানে যীশুর নাম নেওয়া হচ্ছে সেটা শুনতেও খারাপ না, শুধু যীশুর বদলে মুহাম্মদ বসিয়ে দিলেই সেটার ভক্তিরস বেড়ে যায় এমনও না। ভক্তিরসের জন্মও হয় ভাবনায়।

সমস্যাটা বোধ হয় ভাবনার স্থবিরতা, কিংবা আমদের মাথায় গেঁড়ে বসা ধর্মবিভাজন, যার রেখাগুলো আমরা এমন গভীর ভাবে খোদাই করেছি , এখন সেখানে খাদ হয়ে গেছে, আর সেই খাদের অপারের বিষয়গুলো আমাদের স্পর্শ করে আজ। ইউসুফ ইসলাম এই চার্চের গানে মুহাম্মদ লাগিয়ে বাজারে ছাড়ার পর সবার ভেতরে একটা আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো, আহা কি সুমধুর বিষয় এটা। হামদ নাত ছিলো, আমার দেখা মতে প্রতি বছর রোজার মাসে এক বেচারা ইফটারীর সময় ইফতারী ফেলে একা একা গান গায়, আল্লাহ আমার প্রভু আমার নাহি নাহি ভয়, আমরা ইফতারীর থালা নিয়ে তার সামনে বসে ঘুগনি, মুড়ি, শরবত নিয়ে পেট পূজা করি আর বেচারা গান গাইতে গাইতে হয়রান হয়ে যায়, তবে টিভির মানুষের ভেতরেও দয়া আছে, সাধারনত একটা গানের পর তাকে ইফতারি ব্রেক দেওয়া হয়। তখন সে হয়তো খায় কিংবা নাও খাইতে পারে। অবশ্য বেশ অনেকেই আছে যাদের গলায় নজরূল চমৎকার লাগে, তাদের কেউ কেউ অন্যধর্মের মানুষ, ওরা যদি হামদ নাত গায় তাহলে কি সেটা রোজার মাসে টিভিতে দেখানো হবে? আমি জানি না আসলে, তবে সমস্যা তো নেই , নজরূল, কীর্তন লিখেছে, শ্যামা সঙ্গিত লিখেছে ,সেসব গাওয়ার সময় কেউ লেখকের নাম মনে রাখে না, মনে রাখে কে সুর দিয়েছে।

শিল্প সার্বজনীন আবেদন নিয়ে আসে। ঐ যে প্রথমেই বললাম কথাটা, আমাদের ভেতরে ধর্মের গোঁড়ামি এমন ভাবে চেপে বসেছে যে সুন্নতে খাৎনা না হলে ভক্তিমুলক গানের সুধা আমাদের কানে প্রবেশ করতে চায় না। যদিও গানের স্পষ্ট শিশ্ন নেই, যোনীও নেই, থাকলে কি হতো বলা যায় না, মানে স্পষ্ট দেখা গেলে হয়তো সেসবের অগ্রছেদন, কিংবা ঢেকে রাখার বন্দোবস্তের দাবিতে আন্দোলন হতো। যারা কৌতুক শুনে মজা পান তারা হয়তো এই কৌতুকের বিষয় নিয়ে আপত্তি করতে পারেন তবে এটা একেবারে ইউনিক, আমিই বাংলাদেশের প্রথম শুরু করছি- এর কপিরাইট রাখলাম না নিজের কাছে, অবশ্যই স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান জাকের নায়েকির কল্যানে মনে আসলো, তাই তাকে ভার্চুয়াল ধন্যবাদ। কোরানে মেয়েদের পর্দা করার আগে ছেলেদের পর্দার কথা বলে হয়েছে, বলা হয়েছে যদি কোনো মেয়ের উপরে চোখ পড়ে তাহলে দৃষ্টি নীচে নামাও।

পোশাকের বিষয়ে বলা হয়েছে এমন পোশাক পরিধান করবে না যাতে শরীরের ভাঁজ বোঝা যায়, ছেলেদেরও ঢলঢলে কাপড় পড়ার নির্দেশ আছে। এসবের কার্যকরন কি? যেসব মেয়ের দিকে চোখ যায় তাদের চেহারা আকর্ষনীয় বলেই চোখ যায়, সহজ বাংলায় যাকে বলে যাদের প্রতি মানুষের আকর্ষন জাগে সেব মেয়েদের দেখলেই মানুষ তাকিয়ে থাকে, তাই এই পোশাকের বিষয়টা আর মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির বিষয়টা খেয়াল রাখলেই বোঝা যায় কেনো এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোরানে। এটা একটা ঈমানোমিটার। একটা মেয়ের দিকে তাকাও তার পর নীচের দিকে তাকাও, যদি আঁটোসাটো পোশাক পড়ো, তাহলে আরও গভীর ভাবে তাকাও, দেখো কোমড়ের কাছটা বিশ্র ী রকম ফুলে উঠেছে কি না, যদি ফুলে না উঠে তাহলে দ্্ব ীতিয় বার তাকাতে পারো কারন তার সাথে জেনা করার কোনো আগ্রহ তোমার নাই। অবশ্য আঁটোসাটো পোশাক না পড়লে গভীর ভাবে তাকাতে পারো কোনো ভাবেই বাইরে থেকে বোঝা যাবে না ঈমান শক্ত হয়েছে কি হয় নি।

অন্যটা একটা হাদিস, মানুষ কতটা নির্বোধ ছিলো তার একটা উদাহরন এ হাদিসটা। এক জন মদীনায় ক্ষেতির কাজ করছিলো, এমন সময় মুহাম্মদ এসেছে এ খবর পেয়ে কাজ কাম ছেড়ে লৌড়াতে লৌড়াতে হাজির হলো, এসেই বললো আমি 3টা প্রশ্ন করবো যার উত্তর পয়গম্বর ছাড়া কেউ জানে না। মজা হলো উত্তরটা কি ওটা সে নিজেও জানে না। বেহেশতে গেলে কি খাইতে দেওয়া হবে। মুহাম্মদের উত্তর ছিলো মাছের কলিজা, শালার যদি বলতো আখরোট খাইতে দেওয়া হবে তাহলেই বা সেই বেকুব ডিফেন্ড করতো কিভাবে, এইটা ওপেন একটা প্রশ্ন যার উত্তর যেকোনো কিছুই হতে পারে।

অন্য যেই প্রশ্নটা আমার কাছে আরও হাস্যকর লেগেছে তা হলো ছেলে মেয়ের চেহারা কেনো বাবা মায়ের মতো হয়। মুহাম্মদের গম্ভ ীর উত্তর যদি সঙ্গমের সময় নারীর বীর্যপাত ঘটে আগে তাহলে সন্তানের চেহারা হবে মাতার মতো, যদি পুরুষের বীর্যস্খলন হয় আগে তাহলে সন্তানের চেহারা হবে বাবার মতো। যদি একত্রেই ঘটনাটা ঘটে তাহলে কি হবে? বকচ্ছপ? তবে সহায়ক প্রশ্নটা আমি করি, যদি ছেলে ময়ের চেহারা প্রতিবেশীর মতো হয় ? তাহলে সেই প্রতিবেশী তোমাদের সঙ্গম দেখে হাত মারতেছিলো, শেষ হওয়ার আগেই তার বীর্যপাত ঘটেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।