আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুরা অপরাধ করে না : ভুল করে

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

শিশুরা অপরাধ করে না। তারা ভুল করে। ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম জালাল আহমেদের এক ব্যতিত্রক্রমী আদেশে এ কথাই প্রমাণিত হলো। আর এ আদেশটি দেওয়া হয়েছে গত 15 জুন মিরপুরে চাঞ্চল্যকর ভিডিও গেম ডাকাতির ঘটনায়।

শিশুরা নয়, তাদের অভিভাবককে আদালতে জবাবদিহি করতে হবে কেন শিশুরা বখে গেল। বুধবার দেওয়া এ আদেশে শুধু জবাবদিহি করেই রেহাই পাবেন না অভিভাবক। প্রয়োজনে আদালত সুস্ট্থ পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য বখে যাওয়া শিশুকে তাদের হেফাজতে নেবেন। আর খরচ বহন করতে হবে শিশুর বাবা-মাকেই। ভিডিও গেম ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল মিরপুরের পহৃর্ব মণিপুরের 991/1 নল্ফ্বর বাসার তৃতীয় তলায়।

বাসার গৃহকর্তা এমএ হামিদ আর গৃহকর্ত্রী গোলেনহৃর বেগম নহৃরী। তাদের আগামী 6 সেপ্টেল্টল্ফ্বর সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সনস্নান বাঁধন মিরপুর প্রিপারেটরি স্ট্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্টস্নম শ্রেণীর ছাত্র। ওই বাসায় ডাকাতি করতে গিয়ে বাঁধনসহ তার তিন বল্পব্দুকে জবাই করে হত্যার চেষদ্বা করেছিল তাদেরই তিন বল্পব্দু জাহান, রাজীব ও মাসুদ। তারা এখন শিশু সংশোধন কেন্দ্রে রয়েছে।

আহত তিন বল্পব্দুও সুস্ট্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। কিন্তু মুখ্য মহানগর হাকিম এই অপরাধের কারণ অনুসল্পব্দান করার দায়িত্দ্ব দিয়েছিলেন ওই এলাকার সমাজকল্যাণ মন্পণালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা মাহফুজা পারভীন চৌধুরীকে। তদনস্নে বেরিয়ে এসেছে নগর জীবনে শিশুর প্রতি বাবা-মায়ের অবহেলার ভয়াবহ তথ্য। এমএ হামিদ একটি বায়িং হাউসে চাকরি করেন। আর তার স্ট্পী গোলেনহৃর বেগম নহৃরী স্ট্কুলশিক্ষিকা।

তারা দু'জনই সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যেতেন। আর কেউই রাতের আগে বাসায় ফিরতেন না। এই সুযোগে বাঁধন তার বল্পব্দু-বাল্পব্দবদের নিয়ে পহৃর্ব মণিপুরের বাসায় আড্ডা জমাত। সেখানে খেলত ভিডিও গেম, দেখত নানা ধরনের সিনেমা। করত হৈ-হুল্ক্নোড়।

দায়িত্দ্বহীনভাবে বাবা-মা শিশু বাঁধনকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় হোসদ্বেলেও রেখেছিলেন। আর এই পরিবেশের কারণেই তার বাসায় আসা শিশুদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার জন্ম নেয়। আর বাঁধনও যায় বখে। যার অনিবার্য পরিণতি ভিডিও গেম ডাকাতি। বাঁধনের এই বখে যাওয়ার খবর বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া তার বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু বাঁধনকে বখে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা না করে বাবা-মা উল্কেল্টা দারোয়ানকে ধমকিয়েছেন। যা সঙ্ষদ্বভাবে প্রমাণ করে ওই শিশুদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা তৈরিতে বাঁধনের বাবা-মা দায়ী। মুখ্য মহানগর হাকিম জালাল আহমেদ সমকালকে জানান, তিনি বাঁধনের বাবা-মাকে আগামী 6 সেপ্টেল্টল্ফ্বর সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের জবাব দিতে হবে, সনস্নানের প্রতি কেন সঠিক আচরণ করেননি। যদি তারা সনস্নোষজনক জবাব দিতে না পারেন তাহলে তাদের বিরুদব্দে শিশু আইনের 32 (খ) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্ট্থা নেওয়া হবে।

আদালত প্রয়োজন মনে করলে শিশু বাঁধনের সুস্ট্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অন্য জায়গায় সঠিক হেফাজতের নির্দেশ দিতে পারেন। আর এর খরচ বাবা-মাকেই বহন করতে হবে। মুখ্য মহানগর হাকিম বলেন, এ আদেশের মধ্য দিয়ে তিনি অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষদ্বি করতে চান। দেশের খ্যাতিমান আইনজীবী ড. শাহ দীন মালিক সমকালকে বলেন, এ ধরনের যুগানস্নকারী আদেশ বাংলাদেশে এই প্রথম দেওয়া হলো। তবে 30 বছর আগেই এ আদেশ হওয়া উচিত ছিল।

দেরিতে হলেও এই আদেশের মধ্য দিয়ে শিশু আইনের মহৃল চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিশুরা আইন ভঙ্গ করলে তাদের পারিবারিক সামাজিক ও পারিপাশির্্বক অবস্ট্থা বিবেচনায় নিয়ে সংশোধনের ব্যবস্ট্থা করতে হবে_ এ আদেশে তা প্রতিফলিত হয়েছে। *সমকাল**24 আগষ্ট 2006


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।