যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি এখন পুরা ফ্রি ...
গতকাল ফাইনাল প্রেজেন্টেশান শেষ ...
জটিল রকম আনন্দে আছি ...
সবার সাথে এই আনন্দটা শেয়ারও করতে চাই ... ফলে যদি ফেলাডিং টাইপ কিছু করে ফেলি, ক্ষমা করে দেবেন সবাই ...
তবে একেবারে অখাদ্য ফেলাড করবনা ...
//////////////////////////////////////////
গত কয়েকদিন ব্লগে তেমন ঢুকিনি ... আজ ঢুকে প্রিয় ব্লগারদের পেজগুলো ভ্রমন করলাম ... কমেন্টসগুলো দেখলাম ... একটু কি মেঘ জমেছে কোথাও ...!!
কয়েকটা ব্লগ পড়ে মনে হলো, অতি প্রিয় দেশটাকে নিয়ে তার সন্তানেরা একটু হতাশায় আছেন ...
দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা যে দরদমাখা ভাষায় পোস্ট আর কমেন্ট করেছেন দেখে চোখের পানি আটকানো যায়না ...
মনে হয় এমনসব ছেলেমেয়ে যে দেশমাতা বুকে ধারণ করে আছে তার হতাশ হবার কিছু নেই ...
যারা বাংলাদেশটাকে নিয়ে দূশ্চিন্তা করেন,
যারা আশা হারিয়ে ফেলতে বসেছেন
এবং অবশ্যই যারা এখনও স্বপ্ন দেখেন দেশটাকে নিয়ে তাদের সবাইকে উৎসর্গ করে একটা গল্পের আকারে ধাঁধা বলব ...
পড়বেন মন দিয়ে ...
এটা আমার এযাবৎকালে শোনা ধাঁধাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সবচেয়ে প্রিয়
আফ্রিকার কালাহারিতে বসবাসরত বুশমেনদের নিয়ে ছোট্ট একটা গল্প --
ওদের এলাকায় একবছর ভয়াবহ খরা হলো;
কিছুতেই বৃষ্টি হয়না ...
একদিন বিকেলে গোত্রের সবচেয়ে বয়স্ক লোকটি সবাইকে এক খোলা ময়দানে ডেকে নিয়ে বলল, 'কাল সকাল থেকে আমরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করব; স্রষ্টাকে উদ্দেশ্য করে নাচ শুরু করব।'
যথারীতি পরদিন সকালে গোত্রের ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ সবাই মিলে এক খোলা মাঠে নাচা শুরু করল;
এবং বৃষ্টি পড়ল ...
//////////////////////////////////////////
আমার প্রিয় পাঠক,
ধারনা করতে পারেন কেন বৃষ্টি পড়া শুরু করল?
(ওহ, যারা দেশটাকে ভালবাসেননা, টান অনুভব করেননা, তাদেরকেও উৎসর্গ করলাম)
///////////////////////////////////////////////
উত্তর:
কারণটা হলো,
বুশমেনরা বৃষ্টি শুরু হবার আগ পর্যন্ত নাচ থামায়নি
বিশ্বাস, আত্নবিশ্বাস, আশা এসবই বেঁচে থাকে সার্থকতা পায় ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না আপনি 'গিভ আপ' করছেন ...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।