জীবনের উল্টো পিঠেও আমি বৃত্তের মত বাস্তবতার কাছে বন্ধী বাংলাদেশের বাতাস যখন ভারি হয়ে যাচ্ছিল শোক আর কান্নায়,আরেকটু কিছু করে হলেও আর একজন অসহায়ের জীবনকে বাচানোর জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষ যেখানে প্রানপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো,তখন অভিজ্ঞ উদ্ধারকারী দল সরবরাহের জাতিসংঘ এবং যুক্তরাজ্যের সহায়তা প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে দেশের প্রধানমন্ত্রী মানমর্জাদা আর ভাবমুর্তি নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন । ১৯৮১ সালে ফিলিপাইনে ম্যানিলা ফিল্ম সেন্টার তৈরির সময় স্বৈরাচারি ইমেল্দা মার্কোসের ভাবমূর্তি টিকিয়ে রাখার জন্য সিমেন্টে ঢাকা পড়েছিলো ১৬৯ জন মৃত ও অর্ধমৃত শ্রমিক। সাভার ট্রাজেডিতে প্রধানমন্ত্রীর মানমর্জাদা আর ভাবমুর্তি টিকিয়ে রাখার জন্য কনক্রিটের নিচে অসহায় শ্রমিকদের হারানো জীবনের সংখ্যা চারশ ছাড়িয়ে গেল।
রোববার ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফ খবর দিয়েছে, উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করতে ব্রিটেনসহ কয়েকটি উন্নত দেশের প্রস্তাব সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে। দুর্ঘটনার পরপরই জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তারা যখন বুঝতে পারলেন, বিপুলসংখ্যক লোক ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে আছেন, তখন বাংলাদেশ নিজের সামর্থ্যে উদ্ধারকাজ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে পশ্চিমা কূটনীতিকদের সাথে পরামর্শ করা হয়।
তারা একমত হন, বাংলাদেশ এই কাজ করতে পারবে না। তারা তখন ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশকে বিষয়টি অবগত করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিদেশী সাহায্য না নিয়ে সাভারের উদ্ধার কার্যক্রমে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর নির্ভর করা হয়। তাদের সুরক্ষাদায়ক পোশাক ছিল না, এমনকি অনেকে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল পরেও কাজে নেমেছিলেন। হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারে সরকারের প্রস্তুতির অভাব এর মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়ে।
লিংক
মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই প্রশ্ন,এই মেকি মানমর্যাদা অহংকার কিসের ? আপনার পিতার নাকি দেশের ? যদি মনে করে থাকেন এ আপনার পিতার মর্জাদা তাহলে চারশরও বেশি নিরিহ দরিদ্র অসহায় মানুষের বলিতে আপনার পিতার মর্জাদা আপনি যথেষ্ট উচু করেছেন,না জানি ভবিষ্যতে আপনার সন্তানের মর্জাদার বিষয় আসলে আরো কতো প্রানের বলি দেবেন ! আর মানমর্যাদা বিষয়টা যদি দেশের জন্য হয় তাহলে বিগত বিরধী দলে থাকাকালিন যখন বহির্বিশ্বে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশকে জংগীবাদি দেশ বলে বেড়িয়েছেন তখন কোথায় ছিল আপনার এই মিথ্যে মানমর্যাদা !
শুনেছি ইতিহাস নাকি ভিন্ন রূপে বার বার ফিরে আসে,ফিলিপাইনের সেই ফার্দিনান্দ মার্কোস ও ইমেল্দা মার্কোসকে সাধারণ মানুষের ঘাড় ধাক্কা খেয়ে ক্ষমতা থেকে নামতে হয়েছিলো। বাঙ্গালী জাতীর গনজাগরনের দেশাত্ববোধ আর দেশপ্রেমের অনুভুতি নিয়ে করা রাজনীতি আর সাভার ট্রাজেডির বাতাস ভারি হয়ে যাওয়া শোক নিয়ে করা রাজনীতি দুটোর উদ্দেশ্যই যদি হয়ে থাকে একমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা,তাহলে আর কিছ্ছু বলার নেই। চালিয়ে যান...জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।