বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
ঘটনাচক্রে আমার গতকালের পত্রিকা পড়া হয়নি। সাধারণত এরকমটি হয়না। তাই রাতে যখন খবরটি পেলাম যারপরনাই বিস্মিত হয়েছিলাম। খবরটি হচ্ছে আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ড: মইন খান বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেকটরের সামনে তাদেরই প্রণীত দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপপত্র ছুড়ে ফেলেছেন এবং সাংবাদিকদের কাছে ব্যক্ত পতিক্রিয়ায় এ দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপপত্র বা পি আর এস পি বাংলাদেশের জন্য কার্যকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন। পি আর এস পি নিয়ে ইতিমধ্যে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে।
দারিদ্র্য বিমোচন নয় বরং এ ফর্মূলা যে দারিদ্র্য অক্ষয় করার চিরস্থায়ী বন্দোবস্থ তাও পরিস্কার হয়েছে। দূর্বৃত্ত রাজনীতিবিদ আর তাদের দালাল কিছু অর্থনীতিবিদ যারা সামান্য কমিশনেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ বিদেশী দের কাছে বিকিয়ে দেন তারাই পি আর এস পি নিয়ে বাকবাকুম করেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেছেন, যদি ধরে নেয়া পি আর এস পি খুব ভাল এবং এ প্রক্রিয়া কাজে লাগবে তাতেও এ ফর্মূলায় দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সময় লাগবে মাত্র একশ পঞ্চান্ন বছর। প্রকৃতপক্ষে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ণ ধারণার সংগে আদৌ প্রাসঙ্গিক নয় এমন সব উদ্ভট এবং গোজামিলে পরামর্শেপূর্ণ হয়ে আছে পি আর এস পি। তাছাড়া অন্যকিছু হওয়ার কথাও নয়।
তৃতীয় বিশ্বে বিশ্বব্যাংকের ঐতিহাসিক ভূমিকার মাধ্যমে তা আগেই প্রমানিত হয়ে আছে। কিন্তু আসল প্রসঙ্গ হলো তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো আমাদের অসৎ রাজনীতিবিদদের সাথে বিশ্বব্যাংকের সখ্য একটি পুরোনো ঘটনা। অনেক গুরুতর জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত এর আগে অনেকবারই নেয়া হয়েছে। হঠাৎ করে এমনকি হলো যে এই সরকারেরই মন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে দাড়ালেন। একটুঅন্যরকমই মনে হয়! তারপরেও আমাদের ভাবতে ভাল লাগে যে আমাদের মন্ত্রী এমপিরা একদিন সত্যিই ভাল হয়ে যাবেন।
চোর হয়ত তারা তখনও থাকবেন কিন্তু গুরুত্বপূণর্ জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেবেন না। মইন খান কে দিয়েই শুরু হোক। আশা করতে দোষ কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।