আমি কোন লেখিকা নই। সুতরাং এখানে এসে আপনার মূল্যবান সময় অপচয়ে আমি দায়ী নই। শিল্প সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি-মানুষ-প্রকৃতি পরিবেশ-পরিস্থিতি কাল সবই আমার জীবনের মহৎ অংশ।
'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর'_ একথা সর্বজনবিদিত। ধূমপানের ভয়াবহ পরিণতির কথা জেনেও আমরা এ মরণনেশায় অভ্যস্ত এবং ধূমপান করাকে অনেকে আভিজাত্য ও সভ্যতার প্রতীক বলে মনে করে।
কিন্তু ইসলাম ধর্মমতে যাবতীয় নেশা হারাম। ধূমপান মানবদেহে মারাত্দ্মক রোগের সৃষ্টি করে। ধূমপানের বিষক্রিয়ায় দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে দেখা দেয় মৃতু্যরোগ ক্যান্সার, যক্ষ্মা, দন্তক্ষয়, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ক্ষুধামান্দ্য, হূদরোগ, ফুসফুসে প্রদাহ, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, পাকস্থলীর প্রদাহ, দৃষ্টিশক্তিহীনতা ইত্যাদি রোগ।
বাল্যকাল থেকেই ধূমপানের বদ অভ্যাসটি সংক্রামক ব্যাধির মতো বিস্তার লাভ করে মানব শিশুর জীবনে পারিবারিক ও পরিচিত পরিবেশ থেকে। বাড়িতে পিতা, চাচা, ভাইসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, খেলার সাথী ও কুসঙ্গীদের সংস্রবে শিশু-কিশোররা এ বদ অভ্যাসের শিকার হয়।
ধূমপান বিষপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। বিষপানে শুধু বিষপানকারীরই ক্ষতি সাধিত হয়, কিন্তু ধূমপায়ী নিজের ক্ষতি তো করেই অধিকন্তু ধূমপান দ্বারা সে তার পরিবেশকে কলুষিত করে, এমনকি ভবিষ্যৎ বংশধরদের এ বদ অভ্যাসে সংক্রমিত করে।
বিলম্বে হলেও বর্তমান পৃথিবীর সভ্য ও বিবেকবান মানুষ ধূমপান প্রতিরোধের জন্য সোচ্চার হয়ে উঠছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'সবার জন্য স্বাস্থ্য' পরিকল্পনায় ধূমপান বর্জনের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে। এরই মধ্যে আমেরিকার ধূমপায়ীদের অন্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশে 2005 সালের 26 মার্চ থেকে ধূমপানবিরোধী আইন কার্যকর হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অফিস-আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধূমপানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ধূমপানবিরোধী সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু ছয় মাস পরই আইনটি ঝিমিয়ে পড়ে। বর্তমানে দেশে ধূমপান বিরোধী কোনো আইন আছে বলে মনে হয় না। আইন আছে তবে দেখার কেউ নেই।
ধূমপান বিরোধী আইনটি বাস্তবায়ন করতে কোনো অতিরিক্ত জনবল কাঠামোর প্রয়োজন নেই। শুধু আইন-শৃঙ্খখলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনটি মনিটরিং করলেই হয়। তাই ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সমাজ ও জাতিকে রক্ষার স্বার্থে ধূমপান আইনটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করা জরুরী। সেই সাথে সচেতন জনগনকে ধূমপান বিরোধী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।