সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তৎকালীন রাশিয়া ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন ১৯৯২ সালে ৭ মে সোভিয়েত আর্ম ফোর্সের সদস্য ও সরঞ্জাম নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন রাশিয়ান সামরিক বাহিনী।
আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, উভয় বিশ্বযুদ্ধ এবং শীতল যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল এই সামরিক বাহিনী। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের আগে এটি ছিল বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। যা সেই সময় সৈন্য এবং পারমাণবিক অস্ত্র সংখ্যার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে ছিল। রাশিয়ার সামরিক বাজেট ৯০ দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যা বিশ্বের মোট সামরিক বাজেটের পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ। স্থল বাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, স্ট্র্যাজিক রকেট ফোর্স, বিশেষ বাহিনী এবং এয়ারবোম ট্রুপস নিয়ে রাশিয়া ফেডারেশনের সামরিক বাহিনী গঠিত। নিয়মিত সেনা সদস্য ১০,৪০,০০০, রিজার্ভ আর্মি ২০,৩৫,০০০ এবং আধা-সামরিক বাহিনীতে রয়েছে ৪,৪৯,০০০ জন সদস্য। রাশিয়ার রয়েছে ২২,৭১০টি সাঁজোয়াা ট্যাংক, একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ১৫টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, পাঁচটি ক্রুজার, ১৪টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, পাঁচটি ফ্রিগেট, ৭০টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৩৩টি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন, ১৭টি সাবমেরিন, ১,২৬৪টি যুদ্ধবিমান, ১৯৫টি বোমারু বিমান, ১,২৬৭টি জঙ্গিবিমান, ১,৬৫৫টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ১২ হাজার পরমাণু অস্ত্র। রাশিয়া বিশ্বের অনেক দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে।
দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় অটোমেটিক রাইফেল একে-৪৭-এর নির্মাতা ও ডিজাইনার রাশিয়ার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিখাইল কালাশনিকভ। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটিরও অধিক এই অস্ত্র বিক্রি হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশের সামরিক বাহিনীতে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে যে কোনো দেশের বিদেশি নাগরিক অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। রাশীয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।