আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাশিয়া কি ন্যাটো জোটে যোগ দিবে? প্রসঙ্গঃ মার্কিন সামরিক বাহিনী কে আকাশসীমার ট্রানজিট দিতে রাশিয়া সম্মত

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন যে আফগানিস্তানে নিযূক্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীকে রাশিয়ার আকাশসীমা ট্রানজিট হিসেবে ব্যাবহার করতে দিতে সেই দেশের সরকার সম্মত হয়েছে। এই ঘটনা সত্যি হলে বুঝতে হবে যে মার্কিন সরকার রাশিয়া কে যেকোন উপায়ে সম্মত করতে বাধ্য করেছে। এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। স্নায়ু যু্দ্ধের অবসানের পর পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ জোট তো ভাঙ্গেই খোদ পোল্যান্ড পর্যন্ত এখন ন্যাটো জোটের সক্রিয় সদস্য। আমেরিকা ওয়ারশ জোটের সাবেক সদস্যদের ন্যাটো জোটে অন্তর্ভূক্ত করেই ক্ষান্ত হয় নি ইরান সহ তার বিভিন্ন শত্রু দেশের সম্ভাব্য মিসাইল হামলার অজুহাতে চেক রিপাবলিক সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মিসাইল বিরোধী প্রতিরক্ষা শিল্ড বা বর্ম গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ জুনিয়রের আমলে।

সেই একই নীতি ওবামার প্রশাসনও অনুসরণ করছে। ৯/১১ নাটকের মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্য এশিয়ার তেল, গ্যাস উত্তোলন ও সরবারাহ সুবিধা প্রাপ্তি। কারণ তালেবানরা কোন প্রকার পাইপ লাইন দিতে ক্লিনটন প্রশাসনের আমল হতেই অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু চতুর বুশ জুনিয়র ছলে বলে কৌশলে আফগানিস্তান কবজা করে নেন। আর ঐ দিকে পাকিস্তান তো আছেই।

পাকিস্তান তার সমুদ্র দিয়ে মার্কিন জাহাজ সমূহ কে মধ্য এশিয়ার তেল-গ্যাস সংগ্রহ করার সুযোগ দিবে। যা ইরান কখনই দিবে না। কিন্তু পাকিস্তানের উপর দিয়ে সামরিক শক্তির যাতায়াত ভবিষ্যতে যেকোন কারণেই বাধাগ্রস্থ হতে পারে। উজবেকিস্তান, কাজাখকিস্তান সহ মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশের সহায়তায় মার্কিনিরা কিছু সুবিধা পেলেও রাশিয়ার চাপে এরা বন্ধ করে দেয়। তখনই আমেরিকা ইচ্ছাকৃত ভাবে মিসাইল ডিফেন্স শীল্ডের পাশাপাশি জর্জিয়া কে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়।

রাশিয়া সাময়িক জয়ী হলেও সময়ের আবর্তে তাকে আমেরিকার শর্ত মানতে হচ্ছে। একদা যে দেশ আমেরিকার কাছে লোহার পর্দার আড়ালে ছিল আজকে সেই দেশ মার্কিন সামরিক শক্তি কে তার দেশের আকাশ সীমা ব্যাবহারের অনুমতি দিবে। ১৯৬২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় পরমাণু মিসাইল প্রেরণ করে মার্কিনিদের কে মানসিক চাপে রাখতে চেয়েছিল। এখন উল্টা মার্কিনিরা রাশিয়া কে প্রায় বশ করে ফেলেছে। এর সবকিছুর মূলে হল অশুভ মার্কিন কর্পোরেট।

তাই দেখা গেছে ওবামা পরিবর্তনের কথা বললেও বুশের আমলের বহু নীতি ও কার্যক্রম এখনও বহাল রেখেছেন। আসলে কর্পোরেট এগুলো রাখতে বাধ্য করেছে। কারণ পৃথিবীর বেশীর ভাগ জ্বালানি সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ তাদের চাই-ই-চাই। তাই স্থিতিশীল আফগানিস্তানের লক্ষ্যে দেশটির উত্তর দিক দিয়ে যাতে সহজেই মার্কিন বাহিনী আসা যাওয়া করতে পারে তাই এই বিশাল আয়োজন। আমি অবাক হব না যদি রাশিয়া শীঘ্রই ন্যাটো জোটে যোগ দেয়।

Click This Link http://news.bbc.co.uk/2/hi/europe/8133343.stm
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।