আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?
প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইন ডে'তে
তোমাকে মনে করে
আকাশে উড়িয়ে দেই হাজারো বেলুন।
তুমি তখন ব্যস্ত থাকো কিচেনে,
বানাও পুডিং, পিজা, পটেটো ফ্রাই।
মধ্যরাতে তোমাকে ভেবে
পেগের হুইস্কিতে যখন মেশাই বরফ
তখন তুমি হয়তো বিছানায়
স্বামীকে নিয়ে খেলো এক্কা দোক্কা।
কিংবা স্লিপিং পিল খেয়ে ঘুমাও।
গভীর ঘুমে হেঁটে বেড়াও মিথুনের বাগানে।
বারবার হারিয়ে যাও সভ্য সঙ্গমের ঝড়ে।
আমি জানি,
তোমার কোথাও আজ আমি নেই।
অথচ এই আমিই একদা
তোমার সবকিছুতেই
প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াতাম।
ছিলাম তোমার কণ্ঠের রবীন্দ্র সঙ্গীতে।
রমনা পার্কের এক টাকার মুড়ির ঠোঙ্গায়।
ছিলাম তোমার পাঠ্য ও
গল্পের বইয়ের পাতায় পাতায়।
তুমি আজ,
বাংলাদেশের নদীর মত হয়ে গেছো।
নদীতে এখন পানি নেই,
ছেলেরা হা-ডু-ডু, ক্রিকেট খেলে
হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নীচে
তুমিও ঠিক তেমনি তাই হয়ে গেছো।
তোমার শরীর নামক
বিলিয়ার্ডের টেবিলে, স্টিক দিয়ে
গর্তে বল ফেলছে
তোমার বৃক্ষরুপী স্বামী।
প্রত্যেকটি স্বামীই
কোনো না কোনো বৃক্ষ হয়।
কারণ, মেয়েরা মুলত ছায়াই চায়;
কোনো মেয়েই ঝড় চায়না।
ঝড়-টর্ণেডোতে মেয়েদের বড় ভয়।
আজ কক্সবাজার, কাল ভোলায়
এমন ঘূর্ণিঝড় কোনো মেয়ের
ভালো লাগার কথাও নয়!
মেয়েরা চায় রিম ঝিম বৃষ্টি
যা তাকেই ভেজাবে শুধু বারবার।
এমন রিমঝিম বৃষ্টি
আমি আরও
দশ জনমেও হতে পারবোনা।
হ্যঁ, তুমি ঠিকই বলেছ
আমার মত টর্নেডোকে
তোমার দরকার নেই।
কিন্তু তুমি কি জানতে
টর্নেডো হয়ে আমি যেখানেই যেতাম
তোমাকে বুকে নিয়েই সেখানে ছুটতাম!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।