বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
সময় আর সুযোগ পেলেই মৌলবাদী জামাতীরা তাদের রক্তের ঋণ শোধের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে। তাদের পরিএাণের জন্য অন্তত: আওয়ামী লীগের কাছে তাদের প্রাথমিক দায়বদ্ধতার কথা চোখ বন্ধ করেই স্বীকার করে নেয়। কারণ, মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার পরে রাজাকার জামাতীদের কচুকাটা শুরু করলে এখনকার অনেক নব্য রাজাকারদের 23 বছরের দুনিয়ায় জামাতী তসবীহ জপার জন্য পৃথিবীর আলো দেখতে হতো না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের জন্ম সেনানিবাসে হয়নি বলে খড় কুটা ধরে কখনও তাদেরকে এগোতে হয় না।
বাংলাদেশের রাজনীতির হঠকারী মেরুকরণের সুবিধা জামাতী মৌলবাদীরা নিতে কখনও ভুল করেনি বলেই রাজনৈতিক শ্যাওলা ময়লারাও শাপলা ফুলের মর্যাদা নিয়ে জাতীয়তাবাদী তাসের প্রাসাদে বসে মোচে তা দিচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ ও এদেশের শহীদদেরকে নিয়ে তামাশা করতে গিয়ে এসব বেহায়ারা ভুলে যায় এই দেশ স্বাধীন না হলে এদের বাবা-চাচাদেরকে এখনও জেহাদী ওয়াজের ক্যাসেট বেচে আর পাকিস্তানী অফিসে চাপরাশির কাজ করেই বাকী জিন্দেগী নির্বাহ করতে হতো।
জামাতীদের ছাওয়াল-পাওয়ালদের কলরবে আজ ইসলাম আবার জিন্দা হয়েছে। ধর্ম ব্যবসায়ী মওদুদী আর তার সুযোগ্য শিষ্য গোলাম আজমের সৈনিকরা তালেবানী ইসলাম দিয়ে জেএমবি'র পয়দা দিচ্ছে। পয়দা দিচ্ছে সাদেকী আর সালেহীদের। ধর্ম তো কচু পাতার পানি যার দায় দায়িত্ব ও কন্ট্রাক্ট জামাতী বান্নারা নিলামে কিনে নিয়েছে।
তাই কখনও রগ কেটে কখনও বধ্য ভূমিতে তাদের ইসলামের বিকাশ পায়। ভারতের কাছে পাওনার হিসেব মুখস্থ রাখলেও পাকিস্তানীদের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনার কথা উচ্চারণ করলে তারা মুনাফেক হয়ে যায়। ধর্মের বিভক্তি দিয়ে আর ভারত ভীতি দিয়ে তারা ধর্মের ব্যবসার পসরা সাজায়। এই নির্বোধরা কখনও বুঝবে না যে, মানুষের ঈমান রাজনীতির পণ্য নয়, তাই যে দলই আসুক না কেন এদেশের মানুষ তাতে বেঈমান হয় না আর মসজিদেও উলুধ্বনি উঠে না।
ব্যক্তিগত আক্রমন আর খন্ডনে এদের রাজনীতির প্রাগৈতিহাসিক ভিওি ও বিস্তৃতি।
এতে নেই কোন আদর্শ বা ধর্মবোধের চিহ্ন। ধর্মভিওিক বিভক্তি দিয়ে এরা রক্তাত্ব করে জনপদ শুধু দলীয় স্বার্থের জন্য। তাই রক্তাত্ব হয় বাংলাদেশ, রক্তাত্ব হয় কাশ্মীর, রক্তাত্ব হয় আফগানিস্তান, রক্তাত্ব হয় ইরাক। এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, শুধু রাজনৈতিক ইসলামের সম্পর্ক। জেহাদী প্রেরণার আড়ালে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত।
এরা হচ্ছে সেই ষড়যন্ত্রের গুটি। বাহাওরটি বাতিল ফেরকার একটি। তাদের প্রলাপে নব্য মীর জাফরদের প্রশংসিত পদচারিতা জোগায় নুতন প্রজন্মের মাঝে পরিবর্তনের শক্তি। হয়তো বা আবার শুরু হবে এদের রক্ত দিয়ে এদের পূর্বসূরীদের ডিএনএ পরীক্ষা যারা ধর্মের নামে নৃশংসতা করেছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে। সময়ের দাবীকে অস্বীকার করি কিভাবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।