বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
মৌলবাদী জামাতী রাজনীতির সাথে সংশ্লিস্টতার অভিযোগে সরকারী কর্মকর্তাদেরকে বিদেশী রাস্ট্রগুলো কালো তালিকাবদ্ধ করে রেখেছে। সচিব পর্যায় থেকে সহকারী সচিব পর্যায়ের প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা এই কালো তালিকার অন্তভর্ূক্ত। দৈনিক জনকন্ঠের জুনের 20 তারিখের প্রতিবেদনে বলা হয় এসব সরকারী কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জামাতের সাথে সংশ্লি্লস্ট বলে বিদেশী গোয়েন্দাদের অভিযোগের কারণে তাদেরকে তালিকাবদ্ধ করা হয়। এ তালিকায় রয়েছে বিচারপতিদের নামও। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ভিসা দেওয়া হয়নি সংস্থাপন সচিব ড: মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, প্রধান মন্ত্রীর একান্ত সচিব-1 মনিরুল ইসলাম ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বেগম সুলতানা আফরোজকে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালকেও মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ভিসা দেওয়া হয়নি। জানা গেছে এই তালিকায় আছে বিয়ামের মহাপরিচালক শহীদুল আলম, বিআরটিসি'র চেয়ারম্যান মো: ওমর ফারুক, রাস্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব বিতর্কিত জেলা প্রশাসক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীসহ আরও অনেকে। মুল প্রতিবেদনটি পড়তে চাইলে: http://www.dailyjanakantha.com/p1/html5
এধরণের ঘটনা সত্যি আশংকাজনক। বর্তমান জোট সরকার প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রশাসন ব্যবস্থার এতোটা ন্যাক্কারজনক দলীয়করণ আর কখনও হয়নি।
এর আগে কখনও বিদেশী দূতাবাসগুলোও সরকারী কর্মকর্তাদেরকে এভাবে কালো তালিকায় নেয়নি। পুলিশ কর্মকর্তা কোহিনুর মিয়া অথবা আকবরকে পশ্চিমের অনেক দেশে পেলে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে লালকুঠিতে ঢোকাবে না, এরকম কোন গ্যারান্টী নেই। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ওগ্লানিকর ঘটনা। কাজেই সাধু সাবধান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।