আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বকাপ দেখলাম, ইংল্যান্ড বনাম ট্রিনিদাদ টোবাগো

সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার

মিউনিখ থেকে নুরনবার্গের দুরত্ব দেড়শো কিলোমিটার। তেমন বড় কিছু নয়। কিন্তু গরমের মাঝে এটাই অনেক বড় মনে হলো। ঘেমে নেয়ে উঠলাম চারজনেই। যদিও বিকেল ছ'টায় খেলা শুরু হবার কথা, দুপুর একটার মাঝেই পৌছে গেলাম নুরনবার্গে।

স্টেডিয়ামের সামান্য দুরে গাড়ী পার্ক করে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেনে শহরকেন্দ্রে চলে গেলাম। সেখানে দুই দলের সমর্থক ও ফ্যানদের গিজ গিজে ভীড়। একদিকে মাটিতে বিশাল চাদর বিছিয়ে বৃটিশ ফ্যানদের অটোগ্রাফ নেয়া চলছে, অন্যদিকে বর্নাট্য, উচ্ছল শোভাযাত্রায় ত্রিনিদাদ ফ্যান। রণপা দাঁড়িয়ে বিচিত্র সাজে সেজে ড্রামের দ্রুতবীটে নেচে চলেছে তারা। জার্মানরা ত্রিনিদাদকেই সমর্থন করেছে।

ফুটবলের শত্রু ইংল্যান্ড ঘায়েল হলে ওদের নিজেদের পথ প্রসস্ত হয় আরো। কঠিন নিরপত্তা তল্লাসীর পর ঢোকা গেল স্টেডিয়ামে। আধ লিটারের পানির বোতল ছিল সাথে। সেটা নিতে পারলাম না। বোতল দিয়ে নাকি কাউকে আঘাত করা যেতে পারে।

খেলার বিবরণ দিয়ে লাভ নেই। সবাই টিভিতেই দেখেছেন। স্টেডিয়ামের পরিবেশ বেশ সুশৃঙ্খল। টিকিট নিয়ে যে যার নম্বরে বসছে। তাছাড়া খেলা শুরু হবার বেশ আগেই আমরা নিজেদের জায়গা নিয়ে নিয়েছিলাম।

ভেতরে দর্শকদের আওয়াজের চেয়ে বড় পর্দায় বিজ্ঞাপনের আওয়াজ আরো বেশী জোর। তার সাথে চড়া বীটের মিউজিক। কানের পর্দা ফেটে যাবার জোগাড়। তবে খেলা চলাকালীন সময়ে এমন মিউজিক থাকে না। পরে দেখলাম ভেতরেই সবাই কিনে আনছে একই পানির বোতল।

আধ ইউরো দামের যে বোতল বাইরে পাওয়া যায়, ভেতরে তা কিনতে হলো তিন ইউরো খরচ করে। আসলে নিরাপত্তার দোহাই মিথ্যে। স্পনসরদের উদ্দেশ্যপুরনই আসল। ফ্যানদের চোখে সবসময়ই একটা মারমুখী ভাব। অন্যদলের মাঝে সারানই শত্রু খোজা হচ্ছে।

এসবকে, সাধারন মানুষের আনন্দ উল্লাসকে পুজি করে আরো বিস্তারিত হচ্ছে পুজিবাদের হাত। আমরা এদের কোটি কোটি কনজ্যুমারের একটা অংশ মাত্র।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.