আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে নির্ভীক সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা.......

সযতনে খেয়ালী!

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতে এমনটাই মনে হয় যে দেশে আপাত দৃষ্টিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলেও সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার টুকু আর অবশিষ্ট নেই। অতি সাম্প্রতিক কুষ্টিয়ার ঘটনা সবারই গোচরে আছে। জনৈক সাংবাদিক কে থানার ভেতরে পেটানোর সময় "পুলিশের বিরুদ্ধে লেখার মজা দেখানো" হয়। উপঢৌকণ দেয়া হয় "আন্দোলনের বাজার" নামক পত্রিকাকে 24 ঘন্টার মধ্যে বন্ধ করে দেবার হুমকির মাধ্যমে। পত্রিকাটার কি রকম জুররত হয় স্থানীয় সাংসদ (ধোয়া তুলসী পাতা) শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার! তো এমন বেয়াদবি করলে কি নেতার চেলা, চামুন্ডারা বসে বসে তামাকে ফুঁৎকার দিতে থাকবেন? ছাত্রদল নেত্রী, নিশিতা- যিনি সাংবাদিকদের নাড়ি-ভুড়ি বের করে প্যাক করে পাঠিয়ে দেবার আহবান জানিয়েছিলেন অনুগামীদের।

সেই নিশিতার দলই নাকি সংবাদপত্র আর সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করণে সচেষ্ট! আমাদের দেশের সুনাম করার মতো যে হাতে গোনা কয়েকটা জিনিষ আছে, ক্রিকেট টা অন্যতম তার মধ্যে। আর এই ক্রিকেটের মাঠেই কিনা ঘটে গেলো সবচেয়ে বর্বর ঘটনা। যে কয়েকটা দেশ বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখনো সন্দেহের চোখে দেখে তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। আরেকটু স্প্যাসিফিকলী বল্লে রিকি পন্টিং। এই রিকি পন্টিং তার নিজস্ব হ্যান্ডি ক্যামেরায় ধারণ করে নিয়ে গেছেন চট্টগ্রামের সেই বর্বর দৃশ্যগুলো।

পরবর্তিতে যখন আইসিসির কোন গুরুত্বপূর্ণ সভায়, কোন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হবে, বাংলাদেশ কি পারবে মাথা উঁচু করে আয়োজক হবার দাবী জানাতে? সাংবাদিকদের ওপর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্বরোচিত এই আক্রমনের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান আজ কোথায় দাড়ালো ক্রিকেট দুনিয়ায়? এ সবকিছু ছাড়িয়ে যে ইসু্যটা সবার আগে সামনে চলে আসে তা হলো, নিরাপদ সাংবাদিকতা। বস্তনিষ্ঠ আর সত্যিকার সংবাদ পরিবেশন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান করলে যদি সাংবাদিকদের ক্ষমতাবানদের রোষাণলে পড়তে হয়, তাহলে "সাংবাদিকতা একটি স্বাধীন, সম্মানজনক পেশা" - কথাটার মর্মার্থ ব্যহত হয়। এখন প্রশ্ন হলো, নতুন যারা, এ পেশায় আসতে চাইছেন তারা কি খানিকটা দ্্বিধান্বিত হয়ে পড়বেন, সাংবাদিকদের ওপর এহেন আক্রমন ও নির্বিচারের ফলে? সমপ্রতি ভয়েস অব আমেরিকা তাদের "হ্যালো ওয়াশিংটন" ( যা মূলত প্রশ্নোত্তর মূলক অনুষ্ঠান) অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানটি অনলাইনে পাওয়া যাবে 14ই জুন, বুধবার, বাংলাদেশ সময় রাত 10টা থেকে। http://tinyurl.com/h37bo - এখানে ডানদিকে ওপরে "Listen to the Latest Show" -তে ক্লিক করলেই অনুষ্ঠানটি শুনতে পাবেন আশা করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.