বিক্ষিপ্ত জীবন. . . কখনো হাসায় . . . কখনো কাদাঁয় . . . আবার কখনো নির্ভেজাল অন্ধকার ঘিরে ফেলে চারদিক থেকে . . .
রিপোর্ট : আরাফাতুল ইসলাম
বুশরা। 1993 সালের 10 মহরম জন্ম হয় শিশুটির। 40 দিন বয়স থেকেই বাবার কোলে স্থান হয় তার। বুশরার মা পারভীন আক্তার রম্নহি কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। রম্নহির ধারণা ছিল, তিনি বেশি দিন বাঁচবেন না।
এ জন্য ছোট্ট বুশরাকে দিয়ে দেন বাবা মেজবাহউদ্দিন আহমেদ ওয়াসিমের কাছে। যাতে ভবিষ্যতে মেয়ে পুরোটাই বাবার ওপর নির্ভরশীল থাকে। বাসত্দবে হয়েছিলও তাই। বুশরার ছোট্টবেলার ফিডার, ন্যাপকিন, জামা-কাপড় সবই থাকত তার বাবার গাড়িতে। ছোট্ট বুশরা বাবার সাথে ঘুরে ঘুরেই পৃথিবীর সাথে পরিচিত হয়েছিল।
2006 সালে সবে 13 বছরে পড়েছিল বুশরা। বাবার আদর আর ভাইয়ের সঙ্গেই কাটত তার সারা দিন। শুধু স্কুলের সময়টাই বাবা ছাড়া থাকত বুশরা। তাও বাবা স্কুলে দিয়ে আসত, আবার নিয়েও আসত। এভাবেই চলছিল বুশরার সারাদিনমান।
বাদ সাধল 4 মে, রোববার। বুশরা গুলশানের মানারাত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর শিৰার্থী ছিল। ওই দিন অর্থনীতি পরীৰার শেষ দিকে নকল করার অভিযোগে শিৰিকা জলি তার খাতা নিয়ে যান। শুধু খাতা নিয়েই ৰানত্দ হননি; শিৰিকা জলি বুশরাকে শিৰক রম্নমে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ভয়ভীতি দেখানো শুরম্ন করেন। জলির সঙ্গে যোগ দেন আরো তিন শিৰিকা জেসমিন, জেরিন ও লায়লা।
তারা চারজন মিলে বুশরাকে তার বাবাকে দিয়ে সায়েসত্দা করার ও স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার ভয় দেখান। বেশ কিছুৰণ ধরে গালমন্দ করে বুশরাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেন তারা। বুশরা জানত না যে, একজন শিৰিকা চাইলেই তাকে টিসি দিতে পারবে না। বরং আত্মসম্মানবোধে ও নকলের অপবাদ নিয়ে বাবার সামনে না যাওয়ার মানসিকতা নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বুশরা। সম্পুর্ন প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে এই লিংকে: http://www.ekattor.com/bushra.pdf
প্রকাশিত: একাত্তর (12তম সংখ্যা)।
ডেট: 14-06-06।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।