আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমিউনিষ্ট জোকস্ (না পড়লে মিস্) পর্ব-৩

আমি কি রকম ভাবে বেঁচে আছি, তুইএসে দেখে যা নিখিলেষ.... কমিউনিষ্ট জোকস্ (না পড়লে মিস) পর্ব ১ কমিউনিষ্ট জোকস্ (না পড়লে মিস্) পর্ব-২ জোকস-১ সোভিয়েত বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা : -- মস্কোয় এখন সময় বেলা তিনটে, স্‌ভের্দলোভাস্কে বিকেল চারটে, তোমস্কে পাঁচটা, ইরকুতস্কে সন্ধে ছ’টা, ভ্লাদিভস্তকে রাত এগারোটা.... বেতার বিবরণী শুনতে শুনতে মন্তব্য করলেন এক বৃদ্ধ : -- যে দেশে এত অব্যবস্থা, এত অরাজকতা, এত বিশৃঙ্খলা,- সে দেশের উন্নতি হবে কি করে ? জোকস-২ ক্রুশ্চেভ আমলের ঘটনা : সরকারের ধামাধরা লেখক ও সাংবাদিক করনেইচুক সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন । সঙ্গে সঙ্গে এলেন সরকারি ডাক্তার । ডাক্তারকে বলা হল, মনে হচ্ছে কমরেড করনেইচুকের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে । ঘোর প্রতিবাদ করে ডাক্তার বললেন : -- অসম্ভব ! আমি কমরেড করনেইচুককে বহু বছর ধরে চিনি । তাঁর মেরুদণ্ডই নেই ।

জোকস-৩ --হ্যালো এটা কি কেজিবি ? -- না, কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে । আবার ফোন : -- হ্যালো, এটা কি কেজিবি ? -- না, কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে । কিছুক্ষন পর আবার একই ফোন -- হ্যালো, এটা কি কেজিবির সদর দপ্তর ? -- না । আপনি কে মশাই ? ক’বার আপনাকে বলতে হবে যে কেজিবি ধ্বংস হয়ে গেছে ? -- আহা, এত চটছেন কেন ? ভাল খবরটা বার বার শুনতে কার না ভাল লাগে, বলুন ? জোকস-৪ কেজিবি অফিসে ফোন : -- হ্যালো, আমাদের তোতাপাখিটা হারিয়ে গেছে । -- আঃ ! এটা কেজিবি অফিস, এ নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই ।

আপনি বরং স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করুন । -- তা আমরা জানি । কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখতে চাই যে, পাখিটি যা বলে, সেটা ওর একান্ত ব্যক্তিগত (বা পক্ষীগত) নিজস্ব মতামত । আমাদের মতামতের সঙ্গে তার কোন মিল নেই । জোকস-৫ প্রশ্ন : পাউণ্ড, ডলার ও রুবলের পারস্পরিক বিনিময় হার কত ? উত্তর : এই পাউণ্ড ওজনের রুবলের দাম এক ডলার ।

জোকস-৬ বঁড়শিতে মাছ ধরছে একজন । ফাৎনা ডুবছে । টেনে তুলে সে দেখল, সুন্দর একটা সোনালি মাছ । লোকটিকে কাতর অনুনয় বিনয় করে মাছটি বলল : -- আমাকে ছেড়ে দাও, তোমার যে কোন ইচ্ছে আমি পূরণ করে দেব । -- যে কোনও ইচ্ছে ? ঠিক আছে, তাহলে সব কমিউনিস্টকে কফিনে ভরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দাও ।

-- সব কমিউনিস্টকে ? তাদের মধ্যে তো অনেক ভালো কমিউনিস্ট আছে । -- বেশ । তাহলে ভাল কমিউনিস্টদের ভাল কফিনে ভরো, আর খারাপ কমিউনিস্টদের ভরো খারাপ কফিনে । জোকস-৭ মাছের দোকানে গিয়ে ক্রেতা বলছেন : -- ওহে, আমাকে ওই রাষ্ট্রনায়ক মাছটা দাও তো হে । -- রাষ্ট্রনায়ক মাছ ? সেটা আবার কি ? -- ওই যে, মোটাসোটা, চর্বিওয়ালা, মাথাবিহীন মাছটা ।

জোকস-৮ ব্রেঝনেভ আমল । সোভিয়েত অর্থনীতিতে তখন ধস শুরু হয়ে গেছে । সেই আমলের শেষের দিকে সোশ্যালিস্ট, ক্যাপিটালিস্ট এবং কমিউনিস্ট এই তিন জনের একটা নির্দিষ্ট স্থানে দেখা করার কথা । নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে এল সোশ্যালিস্ট । বলল : -- মাছের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম বলে আসতে দেরি হয়ে গেল ।

খুব দুঃখিত । -- লাইন ? সেটা আবার কি ? -- ক্যাপিটালিস্টের প্রশ্ন । -- মাছ ? সেটা আবার কি ? -- প্রশ্নকর্তা কমিউনিস্ট । জোকস-৯ গর্বাচভের জমানা । রুবলের দাম তখন কানাকড়িও নয় ।

গোটা সোভিয়েত ইউনিয়ন জুড়ে নিত্যপণ্যের অবিশ্বাস্য দুষ্প্রাপ্যতা । সেই সময় মাছের দোকানে শোনা গেল নিম্নোক্ত কথোপকথন : ক্রেতা : কড মাছ আছে ? বিক্রেতা : নেই । ক্রেতা : হেরিং আছে ? বিক্রেতা : নেই । ক্রেতা : স্যামন আছে ? বিক্রেতা : নেই । ক্রেতা : ম্যাকারেল আছে ? বিক্রেতা : শুনুন মশাই, এটা মাছের দোকান ।

ইনফর্মেশন ব্যুরো নয় । জোকস-১০ জাতীয় উৎসব চলছে । বেরিয়েছে বিশাল শোভযাত্রা । বিরাট এক পোস্টার হাতে নিয়ে পায়ে পা মিলিয়ে চলেছে রাবিনোভিচ । পোস্টারে লেখা : ‘আনন্দময় শৈশবের জন্য কমরেড স্তালিনকে ধন্যবাদ ।

’ পোস্টারটা দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন পার্টির এক হোমরা চোপরা । ধমক দিয়ে তিনি বললেন : কমরেড রাবিনোভিচ, এটা কি আপনি ফাজলামি পেয়েছেন ? এই পোস্টারের মানে কি ? আপনি যখন শিশু ছিলেন, কমরেড স্তালিনের তখন তো জন্মই হয়নি । -- ধন্যবাদ তাঁকে সে কারণেই -- রাবিনোভিচের নির্বিকার উত্তর । জোকস-১১ স্ত্রীর সঙ্গে ট্রামে চড়ে যাচ্ছে রাবিনোভিচ । নিজের দুর্দশার কথা ভেবেই সম্ভবত সে হঠাৎ সশব্দে এক গভীর দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করল ।

ট্রামের অন্যান্য যাত্রীরা সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়ে ক্রূর দৃষ্টিতে রাবিনোভিচকে দেখতে লাগলেন । ভীত সন্ত্রস্ত স্ত্রী তাকে কানে কানে বলল : -- কতবার তোমাকে বলেছি, লোকজনের সামনে রাজনীতি নিয়ে টুঁ শব্দটিও করবে না ! জোকস-১২ একদিন অস্ফূটে বলেই ফেলল রাবিনোভিচ : -- শালার অভিশপ্ত জীবন সাদা পোশাকে কেজিবির লোক ছিল আশেপাশেই । খপ করে ধরল এবং বলল : -- চলুন আপনাকে যেতে হবে আমার সঙ্গে । ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গিয়ে তোতলাতে তোতলাতে রাবিনোভিচ বলে : -- আমি তো খারাপ কিছু বলিনি । বলছিলাম পশ্চিমি পুঁজিবাদী দেশগুলোর অভিশপ্ত জীবনের কথা ।

-- আপনি বললেন আর আমি বিশ্বাস করলাম, এতটাই নিরেট নাই আমি ? অভিশপ্ত জীবন কোথায়, তা ভালো করেই জানা আছে আমাদের । চলুন আমার সঙ্গে । জোকস-১৩ রাবিনোভিচ প্রশ্ন করল তার বন্ধুকে : -- স্তালিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কত খরচ হল ? -- পঞ্চাশ লক্ষ রুবল । -- আঃ ওই টাকা দিয়ে গোটা সরকারকে কবর দিতে পারতাম আমি ! জোকস-১৪ রাবিনোভিচকে প্রশ্ন করা হল: -- জাতি হিসাবে ইহুদিরা এত আশাবাদী কেন ? -- ইতিহাস আমাদের বাধ্য করেছে আশাবাদী হতে । -- কি রকম ? -- যেমন ধরুন, মিশরের ফারাওরা যখন ছিল, ইহুদিরাও তখন ছিল ।

আজ ফারাওরা নেই । কিন্তু ইহুদিরা আছে । ছিল প্রাচীন গ্রীকরা, তখন ইহুদিরাও ছিল । প্রাচীন গ্রিকরা আজ নেই, কিন্তু ইহুদিরা আছে । ছিল রাশিয়ার জার, ছিল ইহুদিরা ।

আজ জার নেই, কিন্তু ইহুদিরা আছে । স্তালিন ছিল, ইহুদিরা ছিল । স্তালিন নেই, ইহুদিরা আছে । নাসের ছিল, ইহুদিরা ছিল । নাসের নেই, ইহুদিরা আছে ।

এখন আছে কমিউনিস্টরা, আছে ইহুদিরা । -- আপনি কি কিছু ইঙ্গিত করতে চাইছেন ? -- মোটেও না । আমি শুধু বলতে চাই, আমরা ফাইনালে উঠেছি । জোকস-১৫ কেজিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রাবিনোভিচকে । -- আমাদের কাছে খবর এসেছে, আপনি হিব্রু ভাষা শিখছেন ।

তার মানে ইজরায়েল যাওয়ার প্ল্যান আছে আপনার । -- মোটেও না । আমি ধর্মীয় গ্রন্থে পড়েছি, স্বর্গে হিব্রু ভাষায় কথা বলতে হবে ঈশ্বরের সঙ্গে । তাই হিব্রু ভাষাটা শিখে রাখছি । -- মৃত্যুর পর আপনি স্বর্গে যাবেন, এই ধারনা আপনার হল কোথা থেকে ? -- তা নিশ্চিত করে বলতে পারি না ঠিকই ।

তবে নরকে যদি যেতেই হয়, তার জন্য রুশ ভাষাটা তো শেখাই আছে ! জোকস-১৬ অবশেষে রাবিনোভিচ অনুমতি পেল বিদেশ ভ্রমনের । বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে সে টেলিগ্রাম পাঠাতে শুরু করল । টেলিগ্রামগুলি এরকম : স্বাধীন বুলগেরিয়া থেকে শুভেচ্ছা । -- রাবিনোভিচ স্বাধীন রুমানিয়া থেকে শুভেচ্ছা । -- রাবিনোভিচ স্বাধীন হাঙ্গেরি থেকে শুভেচ্ছা ।

-- রাবিনোভিচ অষ্ট্রিয়া থেকে শুভেচ্ছা । -- স্বাধীন রাবিনোভিচ জোকস-১৭ ইমিগ্রশন নিয়ে যেসব সোভিয়েত ইহুদি ইজরায়েলে চলে এসেছে, তাদের নস্টালজিয়া দূর করার একটা উপায় বাতলেছে রাবিনোভিচ । উপায়টি এরকম : তেল আবিবে ‘জন্মভূমির টান’ নামে একটা রেস্তোরা খুলতে হবে । সেখানে খদ্দের গিয়ে চেয়ারে বসবে, কিন্তু অর্ডার নেওয়ার জন্য বহুক্ষন কেউ আসবে না । খেতে দেবে যাচ্ছেতাই ।

দুর্ব্যবহার করবে, বিল মেটাবার সময় ঠকাবে এবং বেরবার সময় পেছন থেকে কেউ গজগজ করে করে বলেব, শালা ইহুদির বাচ্চা ! ভাগ্ ব্যাটা ইজরায়েলে ! জোকস-১৮ রাবিনোভিচ মারা যাওয়ার পর তাকে নরকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল । যমদূতদের কাছে সে তীব্র প্রতিবাদ জানাল । বলল : -- সোভিয়েত দেশে এত বছর কাটানোর পরেও কি আমার স্বর্গে যাওয়ার সৌভাগ্য হতে পারে না ? -- যে জীবন তুমি সোভিয়েত দেশে কাটিয়ে এসেছো, হে রাবিনোভিচ, যমদূত বলল, তারপর নরকই তোমার কাছে মনে হবে স্বর্গের মতো ! জোকস-১৯ এক বস্তা রুবল নিয়ে গ্রাম থেকে এক কৃষক এল মস্কো শহরে । শহরে পৌঁছে সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল । পুরনো রুবলের বদলে নতুন রুবল কোথায় দিচ্ছে, তার হদিশ অনেক জিজ্ঞাসা করেও কারও কাছ থেকে পেল না ।

ঘাড়ে ওই ভারি বস্তা নিয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করাও সম্ভব হচ্ছে না । তাই সে ফুটপাতে তার বস্তাটা রেখে নিজেই খোঁজ নিতে গেল কোথায় মুদ্রা বদলের কাউন্টার খোলা হয়েছে । সব জেনে ফিরে এসে দেখে তার রুবলগুলি সব ফুটপাতে গড়াগড়ি যাচ্ছে, আর বস্তাটা হাওয়া ! জোকস-২০ দেশলাই ফ্যাক্টরির ডিরেক্টর বিশেষ পুরস্কার পেলেন । কারণটা কি ? কারণ হল প্রতিবিপ্লবীরা সামরিক বিমান বন্দরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিতে চেয়েছিল । তাদের কাছে ছিল ওই ফ্যাক্টরির দেশলাই ।

অনেক চেষ্টা করেও তারা সেই দেশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাতে পারেনি ! জোকস-২১ যৌথ খামারে জুতোর সরবরাহ এসেছে মাত্র একজোড়া । সেই জুতো জোড়া কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে মিটিং চলছে । অনেকে দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন । সবার শেষে উঠলেন যৌথ খামারের ডিরেক্টর । তিনি বললেন : আমি প্রস্তাব করছি, জুতোজোড়া আমাকে দিয়ে দেওয়া হোক ।

এই প্রস্তাবের পক্ষে যারা, তাঁরা চুপ করে বসে থাকুন । আর সোভিয়েত শাসনব্যবস্থার বিপক্ষে যাঁরা, তাঁরা হাত তুলুন ! জোকস-২২ স্তালিন ফোন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে : -- গমের সরবরাহ আসতে দেরি হচ্ছে কেন ? -- বন্দর শ্রমিকরা লাগাতার ধর্মঘটে নেমেছে । বেতন বাড়ানোর দাবি করছে তারা । -- কেন, আপনাদের দেশে কি পুলিশ নেই ? জোকস-২৩ যৌথ খামার পরিদর্শনে বেরিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ক্রুশ্চেভ । ইচ্ছে খামারের অন্দরমহলটা নিজের চোখে দেখবেন ।

তাই বিশাল নিরাপত্তা বাহিনীকে বাইরে রেখে খামরের এক কর্মীর সঙ্গে ঘুরে ঘুরে দেখছেন । হঠাৎ ম্যানহোলের মুখ খোলা এক সার পচানোর গর্তে পড়ে গেলেন তিনি । খামারের কর্মী কোনও রকমে তাঁকে টেনে তুললেন । মোটামুটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ক্রুশ্চেভ সেই কর্মীকে চুপিচুপি বললেন: -- দ্যাখো, আমি যে গর্তে পড়ে গিয়েছিলাম, সেটা কাউকে বোলো না । দারুন লজ্জার ব্যাপার হবে সেটা ।

-- তা বলব না কমরেড ক্রুশ্চেভ । কিন্তু আপনিও ভুলেও কাউকে বলবেন না যে আমিই আপনাকে গর্ত থেকে তুলে বাঁচিয়েছি । তাহলে, আমাকে আর আস্ত রাখবে না কেউ ! জোকস-২৪ ছেলে প্রশ্ন করছে বাবাকে : -- বাবা এখন কি দেশে কমিউনিজম ? না কি, অবস্থা আরও খারাপ হবে ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.