আমার মুখোশ . . . সবার মুখোশ
ফালতু একটা ব্যাপার।
পোলাপান আজকাল ইনক্রিসিং রেটে ইন্টারনেট ইউজ করছে। কোথায় ভালো কিছু হবার কথা . . . না ... ইন্টারনেটে হতভাগ্য কিছু মেয়েদের দূর্বল মূহুর্তের ছবি চালাচালি হয়ে পড়েছে এই জঘন্য মদন গুলোর পাসটাইম।
আমার মেইল বক্সে এক ব্যাটা মেইল করেছে । এটাচমেন্টে ...ছবি।
কেন?
স্যাডিস্টিক আনন্দ টা কোথায় ? যে খচ্চরটা ছবিটা ছেড়েছে তার সিকনেস বুঝলাম . . ( যদিও এটা এসিড নিক্ষেপের চেয়ে কোন অংশে কম জঘন্য না ) "আমি তোমাকে না পাইলে কেউ পাইবো না" । কিন্তু বাকিরা? এইটা চালাচালি করে লাভ টা কি?
আমি কলেজ জীবনে একে বারে সামনে থেকে দেখেছি কিভাবে একটা মেয়ের জীবন একটা সিংগেল খচ্চর শেষ করে দেয়। একটা মেয়ে একবার ভুল করতেই পারে। একবারে আপন মনে করে সংগ দেয়াটাই ছিল মেয়েটার একমাত্র ভুল। আর ব্রাভাডো ছিল ছেলেটার চাওয়া।
জীবনটা শেষ করে দেয়ার এই স্যাডিজমটা আমদানি হল কোথেথকে ?
এক সময় ভাবতে ভালোই লাগতো, সিক স্যাডিজম পশ্চিমে অনেক বেশি।
ভুল.. এটা বাংলাদেশেও ঢুকে পড়েছে।
আমরা যদি সক্রিয় না হই এটা চলতেই থাকবে। আমি এটা মানি যে, সেক্স এজুকেশনের অভাব আনেক পুঁজি ভুত এনার্জিঅনেক ডেস্ট্রাকটিভ রুপে প্রকাশ পায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরটা আমার কাছে হচ্ছে আরেকটা মানুষের প্রতি কমন এবং সিম্পল সম্মান .. .ডিসেনসি।
আমাদের ছেলেরা এই ইকুয়ালিটির যুগেও যদি এরকম ডিগ্রেডিং ধারনা নিয়ে বড় হতে থাকে.. তাহলে ব্যর্খতা টা কোথায়?
সমাজের কথা ছেড়েই দিন। এক্কেবারে মূলে হচ্ছে পরিবার। ছোট বেলা থেকেই ছেলে আর মেয়েদের এত ভাবে শেখানো হয় যে তোমরা এতো আলাদা . . এই অজানাটাই অসম্মান ডেকে আনে।
আমরা সচেতন হই । এবং এসব আপব্যবহার থেকে দুরে থাকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।