আমি এটার ভুক্তভোগী তাই ৩/১০/০৯ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকায় লেখাটি দেখে কপি পোস্ট করলাম
যারা বহুদিন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছেন, তাদের হয়তো অজানা নয়। কিন্তু ইন্টারনেট বা ইমেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে যারা নতুন, তাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। নতুন ইমেল আইডি করার পর স্বভাবতই ইমেল আদান-প্রদান, চ্যাটিং বা বিভিন্ন কমার্শিয়াল, নন-কমার্শিয়াল সাইটে নিজের ইমেল আইডি সংযোগ করার আগ্রহ থাকে খুব বেশি। নতুন ইমেল পেলে তখন বেশ আনন্দই লাগে এবং শুরু হয় ইমেল আদান-প্রদান। নবীনরা না জেনেই তখন ইমেল ওপেন করে অথবা কিছু লিখে সেন্ড করে থাকে।
অপরিচিত ইমেল ওপেন করা ঠিক নয়, কারণ তাতে ভাইরাস থাকে এবং কম্পিউটার সিস্টেমে অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। । এটা পুরানো তথ্য। এর মধ্যে কিছু কিছু ইমেল আসে যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার বা লটারির কথা বলা হয়। লটারির ক্ষেত্রে (যেমন) ইয়াহু সার্ভার থেকে এক মিলিয়ন গ্রাহকের আইডি নিয়ে ‘অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল লটারি’ সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিবছর লটারি ড্র হয়ে থাকে।
এবছরও ড্র হয়েছে এবং আটজন সৌভাগ্যবান গ্রাহক দেড় মিলিয়ন ইউএস ডলার পেয়েছে। তার মধ্যে তুমি একজন। অতিসত্বর সাতদিনের মধ্যে তোমার লটারির অর্থ সংগ্রহের জন্য আমাদের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করো। ইমেল অ্যাড্রেস, ফোন নম্বর ইত্যাদি দেয়া থাকে এবং আরো বলা হয়। ।
সাতদিনের মধ্যে যোগাযোগ করা না হলে ঐ অর্থ চ্যারিটি সংস্থায় দান করা হবে। সতর্কবাণী থাকে। । বিষয়টা সম্পূর্ণ গোপনীয়, কারণ তোমার আইডি দিয়ে অন্য কেউ এই অর্থ দাবি করতে পারে, তুমি বঞ্চিত হবে ইত্যাদি। পরবর্তী সময়ে উত্তর পাঠানো হলে তারা এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করে যাতে পূর্ণ আস্থার সঙ্গে তাদের কথামতো কাজ করা হয়।
এক সময় তাদের ট্র্যাপে পা দিলেই ব্যাংকচার্জসহ টাকা চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে তারা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফার ব্যাংকটাকে ব্যবহার করে, যাতে দ্রুত হাতে পায়। তারপর ভাগোয়াট!
ইদানীং বিভিন্ন জবসাইট থেকে চাকরি প্রার্থীর ইমেল আইডি সংগ্রহ করে বিভিন্ন দেশ থেকে সুযোগ-সুবিধায় ভরপুর চাকরির লোভনীয় অফার পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বোঝার কোনো উপায় থাকে না যে, তা সত্যি নাকি মিথ্যা। সাড়া দিলেই অনলাইনে প্রসেসিং তথ্য বিনিময় হতে হতে এক সময় অজুহাত দেখিয়ে টাকা চায়।
টাকা পাঠালে আর খবর থাকে না। এইসব প্রতারকচক্র বিশ্বজুড়ে মাকড়শার জাল বিছিয়ে রেখেছে।
তবে সব ধরনের চাকরির অফার মিথ্যা নয়। অনেক জবসাইট আছে যারা সত্যিই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে এবং তারা কখনোই অর্থ দাবি করে না। সাধারণত চাকরির ক্ষেত্রে অফার পাওয়ার পর জবসাইটের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখার প্রয়োজন পড়ে না।
কারণ তখন নিয়োগকর্তার সঙ্গে প্রার্থীর সরাসরি যোগাযোগ হয়ে যায়।
উল্লিখিত প্রতারণাসমূহ থেকে মুক্ত থাকতে হলে প্রথমেই অবাঞ্ছিত, অজানা ইমেল এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া প্রস্তাবকারী ব্যক্তি বা কোম্পানি বা সংস্থার ওয়েবসাইট অথবা প্রোফাইল দেখা যেতে পারে। সেখানে স্পষ্ট না হলে কোম্পানির লেটার হেড, লোগো, সিআর বা কর্মাশিয়াল রেজিস্ট্রেশন নম্বর, আমাদের দেশে তাদের কোনো এজেন্ট আছে কিনা, টাকা প্রাপ্তির রশিদ কিভাবে পাওয়া যাবে। ।
এসব যাবতীয় প্রশ্ন করে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে। প্রতারকরা চারদিকেই ভারসাম্য রাখে। কাজেই আপনার চাওয়া অনুযায়ী তারা আপনাকে প্রাপ্তি রশিদ, লেটার হেড, লোগো এসব দিতে পারে। । কোনো ব্যাপার না।
কিন্তু লেনদেনের বিষয় এলেই মনে করবেন সন্দেহজনক। এসব বিবেচনা অবশ্যই লেনদেনের আগে করতে হবে।
মনে রাখতে হবে। । প্রমাণ বা সনদ ছাড়া তথা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের লেনদেনই বৈধ নয়।
মূলত দেশের বাইরে লিগ্যাল ছাড়পত্র ছাড়া টাকা পাঠানো সম্পূর্ণ অবৈধ, গুরুতর অপরাধ এবং ঝুঁকিপূর্ণও বটে। এতে যে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
আইয়ুব আহমেদ দুলাল,
সৌদিআরব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।