আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীর্ষ নায়ক কে?

ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক কে? শাকিব খান নাকি অনন্ত। এই প্রশ্ন এখন সবার। শাকিব খান চলচ্চিত্রে আসেন ১৯৯৬ সালে। প্রায় ১০ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০০৬ সালে ঢালিউডের শীর্ষ নায়কের আসন লাভ করেন। ওই বছর মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত এফ আই মানিক পরিচালিত 'কোটি টাকার কাবিন'।

এ চলচ্চিত্রটি সুপার-ডুপার হিট হলে শাকিব খান হয়ে যান শীর্ষ নায়ক। এরপর এখন পর্যন্ত দক্ষ অভিনয়গুণে ঢালিউডের শীর্ষ আসনটি ধরে রেখেছেন তিনি। চলচ্চিত্রকারদের মতে, এ সময় বড় মাপের কোনো নায়ক না থাকায় দীর্ঘ সময় শাকিবের পক্ষে শীর্ষ নায়কের আসনটি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০১০ সালে মুক্তি পায় বিশাল বাজেট ও উন্নত প্রযুক্তির চলচ্চিত্র 'খোঁজ দ্য সার্চ'। ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত এ চলচ্চিত্রের নায়ক ছিলেন এম এ জলিল অনন্ত।

দীর্ঘদিন পর আধুনিক প্রযুক্তি ও নতুন নায়ক পেয়ে দর্শক এই নায়কের চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ দেখায়। উচ্চবিত্ত, শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণীর দর্শক যারা অশ্লীলতার কারণে চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল অনন্তর চলচ্চিত্র দেখতে তারা প্রেক্ষাগৃহে আসতে শুরু করে। এরপর গত ঈদ পর্যন্ত মুক্তি পায় অনন্ত'র 'দ্য স্পীড, 'হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ, 'মোস্ট ওয়েলকাম' এবং 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা'। অনন্তর এসব চলচ্চিত্র দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অনন্ত' ক্রেজ শুরু হয়।

স্বল্প সময়ে সফল হন তিনি। দীর্ঘদিন পর ঢাকার চলচ্চিত্র তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে। ২০১২ সালে তার 'মোস্ট ওয়েলকাম' চলচ্চিত্রটির ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার হয় ইংল্যান্ডে। এরপর অনন্ত পরিচালিত ও অভিনীত 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা' চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়। গত ঈদে দেশে এটি মুক্তি পেয়ে এখনো অভাবনীয় দর্শক চাহিদা নিয়ে চলছে।

স্টার সিনেপ্লেঙ্ েএকমাসেরও বেশি সময় ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে এ চলচ্চিত্রটির্। স্টার সিনেপ্লেঙ্রে কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন বলেন, অনন্তর সব চলচ্চিত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও নতুনত্ব থাকায় উচ্চবিত্ত থেকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ তার চলচ্চিত্র দেখতে আসে। এখন পর্যন্ত দুদিনের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সপরিবারে স্টার সিনেপ্লেঙ্ েএসেছেন 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা' দেখতে। তিনি বলেন, অনন্তর সব চলচ্চিত্রই দেখেছি।

তার উচ্চারণ ও অভিনয়ে পরিপক্বতা না থাকলেও বাকি সব মানসম্মত। দেখে খুব মজা পাওয়া যায়। নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র গোলাম কবির বলেন, আগে শাকিব খানের ছবি দেখতাম। একই অভিনয়ে টাইপড নায়কে পরিণত হয়েছেন শাকিব। দীর্ঘদিন পর নতুন নায়ক হিসেবে অনন্ত এসেছেন।

তার অভিনয়কে কেউ কেউ হাসির খোরাক বললেও আমি মনে করি নতুনত্ব থাকে তার চলচ্চিত্রে। তাই এখন অনন্তর ছবি দেখতেই ভালো লাগে।

নায়করাজ রাজ্জাক বলেন, শাকিব নাকি অনন্ত, কে শীর্ষ নায়ক। এই হিসাব-নিকাশের সময় এখনো আসেনি। কারণ শাকিব দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করে শীর্ষ অবস্থান তৈরি করেছে।

অন্যদিকে অনন্তর আগমন বেশি দিনের নয়। তাই তাদের মধ্যে তুলনা করতে আরও সময় প্রয়োজন। চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান প্রায় অভিন্ন সুরে বলেন, অভিনয় দক্ষতা দিয়ে শাকিব প্রচুর হিট ছবি উপহার দিয়ে শীর্ষ নায়ক হয়েছেন। অন্যদিকে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে দর্শক দৃষ্টি কেড়েছেন অনন্ত। দু'জনই এখন সুপার স্টার।

কিন্তু এ মুহূর্তে তাদের মধ্যে শীর্ষস্থান নিয়ে তুলনায় যাওয়া যাবে না। প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শাকিব খান এখনো শীর্ষ নায়ক। কারণ তার ছবি বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং সব শ্রেণী ও পেশার দর্শক দেখতে আসে। তবে সর্বক্ষেত্রে নতুনত্ব ও পরিবর্তন আছে বলে অনন্তর ছবির প্রতিও দর্শক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সময় বলে দেবে বর্তমান শীর্ষ নায়ক কে? চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও গবেষক অনুপম হায়াৎ বলেন, শীর্ষ নায়কের হিসাব কষতে গেলে সময়, কাল, ছবির সংখ্যা, পরিচালক, সহশিল্পী, ফিল্মিক ও মানবিক উপাদান এবং ব্যবসায়িক সফলতা সব কিছুই বিবেচনায় আনতে হবে।

শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার যথেষ্ট নয়। মানে চমৎকারিত্ব নয়, মানবিক আবেদন প্রধান। এ ক্ষেত্রে শাকিব খান এখনো এগিয়ে। অনন্ত দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এটিও সত্য। তবে বর্তমানে ঢালিউডের শীর্ষনায়ক কে? এই উত্তর পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.