নাইজেরিয়ার রাজধানী নাইরোবির যে বিপণিবিতানটিতে গতকাল শনিবার ইসলামপন্থী অস্ত্রধারীরা জিম্মিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল, তা আজ রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ছয়টা) চলছে। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় অন্তত ৫৯ জন নিহত ও কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ইসলামপন্থী ও কট্টর সংগঠন আল শাবাবের সদস্যরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সংগঠনটি সোমালিয়ার শান্তিরক্ষা মিশনে কেনিয়ার সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে আসছে।
শাবাবের সদস্যরা যে বিপণিবিতানটিতে হামলা চালিয়েছে, সেটির অনেকগুলো বিপণির মালিক ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত লোকজন।
এ বিতানটিতে বহু বিদেশি ও কেনীয় ক্রেতা ভিড় করেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী আজ রয়টার্সকে জানান, অনেকক্ষণ চুপচাপ থাকার পর আজ দুপুরে টানা ৩০ সেকেন্ড ধরে গোলাগুলি হয়েছে। এরপর ছদ্মবেশী সেনারা ক্রাউচ করে বিপণিবিতানটির এক রেস্তোরাঁর পেছনের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকেছে।
আল কায়েদার সহযোগী সোমালি ইসলামি সংগঠন শাবাব দাবি করেছে, গতকাল তারা ওয়েস্টগেট বিতানটিতে হামলা চালিয়ে কানাডা ও ঘানার দুজন কূটনীতিকসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে।
কেনিয়ার সরকার গতকালই মৃতের সংখ্যা ৩৯ বলে জানিয়েছিল।
আজ তা বাড়িয়ে ৫৯ জন করেছে। সরকার দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত এক হাজার জনকে জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছে। এখনো কতজন জিম্মি আছে, সেটি জানা সম্ভব হয়নি। তবে ১০-১৫ জন হামলাকারীর অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছেন কেনীয় সেনারা।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা জানিয়েছেন, নিহত লোকজনের মধ্যে তাঁর নিকটাত্মীয়রাও আছেন।
গত মার্চে নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি এখন সবচেয়ে জটিল সময় অতিক্রম করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগেও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলা করেছি। ’
নাইরোবিতে এর আগে এ ধরনের হামলা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সে সময় আল কায়েদার পূর্ব-আফ্রিকীয় শাখা শহরটিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়ে ২০০ জনকে হত্যা করেছিল। ২০০২ সালেও ইসলামপন্থীরা এক হোটেলে হামলা চালায়।
ওই হোটেলটির মালিক ছিলেন এক ইসরায়েলি ব্যক্তি।
কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ ওলে লেঙ্কু প্রতিবেদকদের বলেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জন হয়েছে। বিপণিবিতানটির ভেতর থেকে জিম্মিদের উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যথাসম্ভব সবকিছু করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।