আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাদীস অনুসারে নারী-পুরুষ নামাজ ভিন্ন,যদিও কিছু ' আধুনিক ইসলাম ' বাদীরা তা মানেনা !



বহু বহু হাদীসে বার বার নারী -পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ণিত হওয়া সত্ত্বেও আলবানী আর লা-মাজহাবীরা তা মানবেন না। নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করা সত্ত্বেও এখানে তারা হাদীস মানতে নারাজ ! অথচ তাদের এই পুরাপুরী মনগড়া দাবীর পক্ষে তারা একটি হাদীসও দেখাতে পারেন না, না সহিহ না হাসান না জয়ীফ! একজন সাহাবীর মতও তাদের অনুকুলে নয় ! অথচ বহু সাহাবী স্পষ্ট ভাবে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য বর্ননা করেছেন । আর সাহাবীদের মানতেও তারা নারাজ! কোন হাদীস, অথবা একজনও সাহাবীর রায় বা ফতোয়া না পেলেও আলবানী আর লা-মাজহাবীদের দাবী: নারী-পুরুষের নামাজ এক! হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য, হাদীস ১ : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা: ) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : মহিলারা যখন নামাজের মধ্যে বসবে তখন এক উরুর সাথে অন্য উরু মিলিয়ে রাখবে, আর যখন সিজদা করবে তখন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে, কেননা তা সতর ঢাকার জন্য অধিক উপযোগী । এরূপ নামাজ আদায়কারী মহিলাদের দেখে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন: হে আমার ফেরেশতারা তোমরা সাক্ষী থাক, আমি তাকে মাফ করে দিলাম। সুনানে কুবরা, বাইহাকী খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৩।

عن عبدالله بن عمر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه و سلم : إذا جلست المراة فى الصلاة وضعت فخذها على فخذها الاخرى، و اذا سجدت الصقت بطنها فى فخذيها كاستر ما يكون لها، و انا الله تعل لى ينظر اليها و يقول: يا ملائكتي اشهدكم اني قد غفرت لها. হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ২ : হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রা: বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : তুমি যখন হাত উঠাবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে আর মহিলারা বুক বরাবর হাত উঠাবে । মুজামে কবীর, তাবরাণী খন্ড ২২, পৃষ্ঠা ২৭২ عن وائل بن حجر قال: جئت النبي صلى الله عليه و سلم فقال: فساق الحديث، وفيه : يا وائل بن حجر! اذا صليت فاجعل يديك حذاء اذنيك، و المراة تجعل يدها هذاء ثدييها. ঊপরের হাদীস এবং এই হাদীস দুটাই হাসান । হাদিসের আলোকে নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য , হাদীস ৩ : রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজরত মহিলাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাদেরকে বললেন : যখন সেজদা করবে তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে রাখবে । কেননা নামাজের ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষের মত না। عن يزيد بن ابي حبيب ان رسول الله صلى الله عليه و سلم مر على امراتين تصليان، فقال: اذا سجدتما فضما بعض اللحم الى الارض، فإن المراة ليست فى ذلك كا لرجل. কিতাবুল মারাসিল, ইমাম আবু দাউদ, পৃষ্ঠা ৫৫, হাদীস ৮০ সাহাবাদের ফতোয়ায় নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য : ফতোয়া ১: হযরত আলী রা: বলেন , মহিলা যখন সিজদা করবে , তখন খুব জড়সড় হয়ে সিজদা করবে এবং উভয় উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে ।

ফতোয়া ২: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: কে প্রশ্ন করা হল মহিলারা কিভাবে নামাজ আদায় করবে ? তিনি বলেন , খুব জড়সড় হয়ে এক অংগের সাথে আরেক অংগ মিলিয়ে করবে । চার মাজহাবের প্রতিটির ইমামদের ফতোয়ায়ই নারী- পুরুষের নামাজ ভিন্ন । ফিকহে হানাফী : " আমাদের নিকট নামাজে বসার পছন্দনীয় পদ্ধতি হল উভয় পা একপাশে মিলিয়ে রাখবে, পুরুষের মত একপাশে দাড় করিয়ে রাখবে না । " ( কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মাদ খন্ড - ১, পৃষ্ঠা ৬০৯ ) ফিকহে মালেকী : ইামাম মালেক রহ: থেকে বর্নিত : মহিলা ডান উরু বাম উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে, খুব জড়সড় হয়ে বসবে, রুকু, সিজদা, বৈঠক কোন সময়ই ফাক ফাক হয়ে থাকবে না, পুরুষের পদ্ধতি ভিন্ন । আযযাখীরা, ইমাম কারাফী, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৯৩ ।

ফিকহে শাফেয়ী ইমাম শাফেয়ী বলেন : আল্লাহ পাক মহিলাদের পুরাপুরি আবৃত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন । রসুলের শিক্ষাও অূরূপ । তাই আমার নিকট পছন্দণীয় হল, সিজদায় মহিলারা এক অংগ আরেক অংগের সাথে মিলিয়ে রাখবে, পেট উরূর সাথে মিলিয়ে রাখবে, সিজদা এমনভাবে করবে যেন সতর চুরান্ত হেফাজত হয় । একই ভাবে রূকু - বৈঠক - গোটা নামাজ এমনভাবে থাকবে যেন পুরাপুরি সতরের হেফাজত হয় । কিতাবুল উম্ম, ইমাম শাফেয়ী, খন্ড ১, পৃষ্ঠা - ১৩৮।

ফিকহে হাম্বলী : ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল থেকে দুটি মত বর্নিত আছে, উভয় মতেই নারী পুরুষের নামাজ ভিন্ন ! ১। তাকবীর বলার সময় মহিলারা তুলনামুলক কম হাত উঠাবে । ২। মহিলাদের হাত উঠানোর হুকুমই নেই ! কেননা এতে কোন না কোন অংগ ফাক হয়েই যায়! উভয় বর্নণা সুত্রেই নারী পুরুষের নামাজ ভিন্ন! কোরাণ - হাদীস না মেনেও যারা আলবানীকে মানতে চান, দয়া করে তারা কি কোন রেফারেন্স - প্রমান কিছু একটা হাজির করবেন ???????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।