আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামপাল নিয়ে অপপ্রচার চলছে: প্রেসনোট

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেসনোটে বলা হয়েছে, কেন্দ্রটি সুন্দরবনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। রামপালের এই প্রকল্পটি সরকার জনস্বার্থে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। অহেতুক কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন সরকারের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।

উল্লেখ্য, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচদিন ব্যাপী সুন্দরবন অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

জাতীয় কমিটি দাবি করছে, এ কেন্দ্রটি হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র। ধ্বংস হয়ে যাবে একমাত্র ম্যানগ্রোভ বনটি। প্রথম থেকে তারা কেন্দ্রটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি করে আসছে।

প্রেসনোটে বলা হয়েছে, সুন্দরবন থেকে এই প্রকল্পটি ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধুনিক সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ও উন্নতমানের আমদানি নির্ভর কয়লা ব্যবহার করা হবে।

তাই কার্বন, সালফার ও অন্যান্য বায়ুদূষণের পরিমাণ ন্যূনতম পর্যায়ে থাকবে যা পরিবেশের উপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরের পরামর্শ অনুসরণ করা হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে দারিদ্রপীড়িত এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল উন্নতি হবে।

পেসনোটে বিদ্যুৎখাতে সরকারের সাফল্য উল্লেখ করে বলা হয়, বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতের ভিশন হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য যৌক্তিক মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। সরকারের রূপকল্প-২০২১ এবং বিদ্যুৎখাতের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজন  হবে।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বিগত পাঁচ বছরে ৫৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষগমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট হতে ৯ হাজার ৭১৩ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করেছে যা এক অনন্য সাধারণ ও অভূতপূর্ব সাফল্য। বর্তমানে গ্যাসের স্বল্পতা এবং গ্যাসের মজুদ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিকল্প জ্বালানির বিষয়টি বিবেচনা করতে হচ্ছে। সারা বিশ্বে স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কয়লাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করে।  



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।