সুদুরে সকালের ডাক শোনা যায়, ভোরের লাল আভার পরেই শুভ সকাল
আমরা সবাই জানি মুন্নি সাহার সাথে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সখ্যতা, মুন্নিকে তিনি তুমি সম্বধন করেন এবং বিশেষ স্নেহও করেন। বর্তমানে মুন্নি সরকারী খরচে প্রধানমন্ত্রীর সফর সংগী হিসেবে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। এখন বাংলাদেশের গরম খবর হলো: আমেরিকায় এসএসএফ কর্তৃক মুন্নির ভিডিও ক্যাসেট জব্দ করা। ক্যাসেট জব্দ হওয়ার দু’টি কারন শোনা যাচ্ছে। সরকারী ভাবে বলা হচ্ছে মুন্নি প্রধানমন্ত্রীকে ব্লাক মেইলিং করার চেষ্টা করেছিলো আর বেসরকারী ভাবে অনেক পত্র পত্রিকায় এসেছে যে, মুন্নির প্রশ্নে রাগন্বিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতকার ছেড়ে উঠে যান এবং পরে এসএসএফ এসে তাকে (মুন্নিকে) চলে যেতে বলে এবং তার কাছ থেকে রেকর্ডেড ক্যাসেট নিয়ে নেয়।
এটি ছিল গতকালকের ঘটনা, আজ আবর অপমানিত হলেন মুন্নি। আজ ম্যানহাটন সেকেন্ড এভিনিউয়ে জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন কার্যালয়ে আমেরিকান স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং শুরু হয়। সাড়ে পাচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানতে চান যে, মুন্নি সাহার কোন প্রশ্ন আছে কিনা। মুন্নি সাহা গ্রীন সিগনাল পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান যে, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের সংগ ত্যাগ করলে আপনি প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে নির্বাচন দেবেন, আসলে দেবেন কি? এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তুমিই বলো। এর উত্তরে মুন্নি গঠমূলক কিছু বলতে পারেননি।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্রেসব্রিফিং থেকে উঠে চলে যান। এরপর মুন্নি সাহা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে দেয়া হয় না। তিনি বহু সময় ধরে এসএসএফকে অনুরোধ করেন যেন তাকে অল্প কিছুক্ষণের জন্য ভেতরে যেতে দেয়া হয়। কিন্তু এসএসএফ কোন ভাবেই তাকে ভেতরে যেতে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সে সময় মুন্নি দেখা করতে না পারলেও আনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেখা করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।