ঘুম আসেনা আমার চিন্তায় চিন্তায়.... কেন এই লেখা এবং কাদের জন্য চারপাশ নিস্থব্ধ আমার, রাত-ও গভীর, স্নিগ্ধ ও সুন্দর । ঠিক এমন সময়ে আমি যা লিখছি তা আপনাদের ভাল না-ও লাগতে পারে, ভাল লাগবে তার আশাও আমি করিনা । ধর্ম ও রাজনীতি বর্তমানে একই নিক্তিতে মাপার এক সুগভীর পন্থা দেখা যায় সর্বত্র...আদৌ কি ধর্ম ও রাজনীতি একই পাল্লায় মাপার বিষয়, বিস্ময় জাগে আমাদের মতো সাধারণদের দেখে; আমরা ভুল করছি আমাদের উপস্থাপনে নাকি অন্য কোনো শক্তি আমাদের ধার্মিকতাকে রাজনীতির মোড়কে মুড়ে আমাদের পুতুল বানিয়ে নিজেরা খেলছে রাজনীতির রাঙা খেলা ...!? আপনাদের কাছেই আমার এ লেখা যারা তাদের বিবেক-কে অথর্ব না রেখে ভাবেন সূক্ষ্ম অথচ মর্মপীড়াদায়ক কিছু বিষয় নিয়ে।
ধর্ম : আত্মার শান্তির একমাত্র পথ বলেই আমি ধর্মকে মনে করি , সেই শান্তি যে কেউ যে কোনো পথে যে কোনো মতে পেতে পারেন এবং সেটা সম্পূর্ণই তার আত্মিক ব্যাপার। আমি একজন মুসলমান এবং মনে করি একজন মুসলমানের সবচেয়ে বড় পরিচয় সে মুসলমান।
কোরআন এবং হাদিস তার জীবন বিধান, পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান । সেই বিধান আমাদের ধার্মিক হতে বলে, খোদা-ভীরু হতে শিক্ষা দেয় , মানুষকে সম্মান করতে আদেশ করে, অন্যায় এর বিরুদ্ধে জীবন - বাজী ধরতে নির্দেশ প্রদান করে । আমি একজন মুসলমান, ইসলাম আমার ধর্ম, মহান আল্লাহ আমার খোদা এবং আমি মোহাম্মাদ ( সা: ) এর উম্মত ...আমি গর্বিত আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন আমাকে মুসলমান এর সন্তানরূপে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং আমাকে ধর্ম সম্পর্কে, ইসলাম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানার তৌফিক দিয়েছেন । আমি পর্দা করি যা আমার রব এর নির্দেশ, আমি নামায পড়ার চেষ্টা করি দিনে পাঁচবার, আমার রবের সন্তুষ্টির জন্য, আমি নিজেকে তাদের মধ্যে দেখতে চাই যাদের আমার রব সম্মানিত করবেন জান্নাহ GIFT করে । কোনো Person অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান এর সন্তুষ্টির জন্য নয়, জামায়াতে ইসলামী তো নয়-ই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী , সম্পূর্ণরূপেই একটি রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস ইসলাম-ভিত্তিক, ইসলাম - কেন্দ্রিক। তাদের কার্যক্রম তাই রাজনৈতিক বলাই যৌক্তিক । "জামায়াতে ইসলামী প্রচলিত অর্থে শুধুমাত্র ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক দল নয়। ইসলামে ধর্মীয় জীবনের গুরম্নত্ব আছে বলেই জামায়াত ধর্মীয় দলের দায়িত্ব পালন করে।
রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া ইসলামী আইন চালু হতে পারে না বলেই জামায়াত রাজনৈতিক ময়দানে কাজ করে। " (http://www.jamaat-e-islami.org)জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতার অভিযোগ আছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী সূচিত এই সংগঠনটির মূল নাম ছিল জামায়াতে ইসলামী হিন্দ। ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট এর প্রতিষ্ঠা।
১৯৬২ সালে আইয়ুব খান প্রণিত মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশের বিরোধিতা করার কারণে ১৯৬৪ সালের ৪ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মওদুদী সহ ৬০ জন জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ১৩ জন জামায়াত নেতা ছিলেন। অধ্যাপক গোলাম আযম তাদের একজন। ঐ বছর অক্টোবরেই আবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ প্রদত্ত ছয় দফা এবং মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঘোষিত ১১ দফার তারা তীব্র বিরোধিতা করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পশ্চিম পাকিস্তানে ৪ টি আসন লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডাঃ আব্দুল মালিককে গভর্নর করে ১৭ই সেপ্টেম্বার একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়। সে সরকারের মন্ত্রী সভায় পরবর্তীকালে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করে।
এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে কাজ করে। ১৯৭১ সালের পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াত ও এর আওতায় পড়ে। ১৯৭৬ সালের আগস্টে জিয়াউর রহমান সরকার সকল ধরণের রাজনৈতিক দলের রাজনীতি উন্মুক্ত করে রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশ ঘোষণা করেন। এ সময় ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামক একটি দলের সাথে জামায়াতে ইসলামী যুক্ত ছিল। পরে গোলাম আযম বাংলাদেশে ফিরে এলে ১৯৭৯ সালের মে মাসে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ গঠিত হয়।
এর ভারপ্রাপ্ত আমীর পদ লাভ করেন আব্বাস আলি খান।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যই যদি তাদের রাজনীতি তবে আমার কিছু প্রশ্ন আছে; প্রথমত আমার প্রশ্ন হলো বিগত এই চারটি সংসদে তারা কোন কোন ইসলামী আইন পাশ করিয়েছেন?? অথবা পাশ করার জন্য উপস্থাপন করেছেন??? অথবা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন??? করে থাকলে কোন কোন আইন??? না করে করে থাকলে কেন করেননি???পৃথিবীতে যে সকল দেশে পতিতাবৃত্তি অনুমোদিত তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তা আইন সিদ্ধ নয়। স্বাধীনতার পর থেকে জামায়াত এতোগুলো এমপি হলো, মন্ত্রী হলো কিন্তু এতোবড় একটি বিষয় তারা চোখেই দেখলো না??? তাহলে কিভাবে তারা ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করবে??? তারা যদি একবারও সংসদে বিষয়টি তুলতো তাহলেও তাদের আন্তরিকতা বুঝা যেতো। জামায়াতের অন্যতম নেতা আলী আহসান মুজাহিদ ছিলেন সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের।
তিনি কি করেছেন এ বিষয়ে ???
খুব ছোটবেলা থেকেই বিভিন্নজনের কাছে বিশেষকরে জামায়াতের লোকের কাছে বা সাঈদীর ওয়াজে শুনেছি ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। সাম্প্রতি এ বিষয়ে শিবিরের একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি উল্টো আমার কাছে জানতে চান কোরআনে বা হাদীসের কোথায় আছে ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম?? এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য নীচে তুলে দিলাম:
"যখন রাসুল (সাঃ) এর কাছে খবর পৌছাল যে পারসিয়ান রা খচরুর মেয়েকে তাদের রুলার হিসাবে নির্বাচিত করেছে তখন তিনি (রাসুল (সাঃ)) বলেছিলেন যে জাতি তাদের রাষ্ট্রের কতৃত্ব একজন মহিলার হাতে দেয় তারা কখন উন্নতি করতে পারে না"। (বুখারী) ইসলামিক স্কলাররা কেন একে হারাম ফতোয়া দিয়েছেন ? কারনগুলো ,
ক) "ইসলামে নারী নেত্রীত্ব হারাম। " ঢালাও ভাবে এই কথা ঠিক না। আসলে, ইসলামিক রাষ্ট্রে কোন নারী রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবে না।
যেকোন দল, সংগঠনের প্রধান হতে কোন বাধা নেই কিন্তু উক্ত সংগঠনটি অবশ্যই ইসলামিক রীতির ভিতরে হতে হবে। এই ব্যাপারে উম্মে আয়েশা (রাঃ) দৃষ্টান্ত দেখতে পারেন।
খ) নারী রাষ্ট্রপ্রধান হলে তা ইসলামের পর্দা প্রথার ফান্ডামেন্টালের সাথে কনফ্লিক্ট করবে।
গ) ইসলামের বিধান মতে রাষ্ট্রপ্রধান ইসলামিক রাষ্ট্রের জামাতের নামাজে ইমামতি করবে আবার নারী জামাতের নামাজে ইমামতি করতে পারবে না। নারী জামাতের নামাজে ইমামতি করতে পারবে শুধুমাত্র নারীদের জামাত যদি হয়।
উপরের কথার সাথে আমি নিজের কিছু মতামত বলতে চাই-ইসলামে কোরআনে সরাসরি ছেলেদের সোনা-রেশম ব্যবহার নিষেধ নেই কিন্তু হাদিসে রয়েছে এবং তার উপর ভিত্তি করে ইসরামী স্কলারগন ছেলেদের জন্য সোনা-রেশম ব্যবহার হারাম বলে থাকেন। কোরআনে কোথাও নারী নেতৃত্বের বিপক্ষে বলা নেই কিন্তু পক্ষেও নেই এবং কোরআনে বলাই হয়েছে পুরুষেরা নারীর উপর কর্তৃত্বশীল। নারীদেরদেরকে অপ্রয়োজনে বাড়ীর বাহিরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে সংসারের পাশাপাশি শরীয়তের সীমার মধ্যে একটি দল বা দেশ চালানো কতটুকু সম্ভব? নারী নেতৃত্বের বিষয়ে জামায়াতের বর্তমান অবস্থান কি শরীয়তের অনুশাসনকে নতুন করে অনুধাবন করে তারা মনে করছে নারী নেতৃত্ব জায়েজ নাকি নিজেদের প্রয়োজনে শরীয়তের ব্যাখ্যাকে নিজেদের মতো করে নিচ্ছে??অন্যদিকে, জামায়াত একদা নারী নেতৃত্বের বিরোধিতায় সরব ছিল। বিশেষ করে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জামায়াত নেতা সাঈদীর ওয়াজ মাহফিলের ক্যাসেটগুলো শুনলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে যোগদান ও পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী সভায় জামায়াতের দুই নেতার মন্ত্রীত্ব গ্রহণের পর সাঈদী সাহেব উক্ত বিষয়ে চুপ হয়ে যান। তখন জামায়াতের কোন নেতাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলত এটি হুদায়বিয়ার সন্ধির অনুরূপ। মহানবী (স.) যেমন হুদায়বিদাতে ’কাফেরদের’ সাথে চুক্তি করছিলেন। ইসলামের স্সর্থে তেমনি জামায়াত বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে গমন ও মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছে। আমার বিশ্বাস বিএনপির সাথে কোয়ালিশন ভেঙে গেলে জামায়াত আবারও এমন আওয়াজ তুলবে্ন যে, ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম।
জামায়াতের প্রধান টার্গেট বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও পত্রিকা এবং চ্যানেলে তার সামান্যতম প্রতিফলনও দেখা যায় না। পত্রিকাতেও প্রথমআলোর নকশার মতো অর্ধনগ্ন নারীদের দেখা যায়। আর চ্যানেলে শুধুমাত্র সংবাদ পাঠিকারা হিজাব পরে সংবাদ পাঠ করেন। সংবাদ পাঠের জন্য মহিলাদেরই কেন আসতে হবে সে প্রশ্ন না হয় করলামই না। প্রতিদিন রাত ১০টার পরে ব্যান্ড সংগীত বা অনুরোধের আসর টাইপের অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় যেখানে দেশের স্বনামধণ্য শিল্পিগন গান পরিবেশন করে থাকেন।
তারা প্রতিনিয়তই সাধারন লোকের কাছে বলে যাচ্ছে বাজনা সহ গান হারাম, অথচ তাদেরই চ্যানেলে সেটাই প্রচার করছে। পত্রিকায় ফ্যাশন বা বিভিন্ন উপলক্ষে অর্ধনগ্ন নারীদের ছবি প্রকাশ করছে। এগুলি কতটুকু ইসলাম সম্মত?? নাকি তারা নিজেদেরকে মডারেট মুসলিম নামে নবধারার মুসলিম হিসেবে পরিচিত করতে চাচ্ছে??? দিগন্ত টেলিভিশন বা নয়া দিগন্তকে আমি জামায়াতের মুখপাত্র হিসেবে নয় জামায়াতের অন্যতম ডিসিশান মেকার এবং অর্থজোগানদাতার প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। জামায়াতের অন্যতম নেতার প্রতিষ্ঠান যদি এমন বেহাল দশা হয় শরীয়তের দিক দিয়ে তাহলে ক্ষমতায় গেলে জামায়াত কোন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে??
গনতন্ত্র, জামায়াত তার গঠনতন্ত্রের একদিকে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও আল্লাহর আইন মান্য করার কথা বলেছে। অন্যদিকে গণতন্ত্রের কথা বলেছে।
জামায়াতের এই ধরণের বিরোধিতা অনেকটা “ধরি মাছ না ছুঁই পানি”র মতো। একদিকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের এই কথা বোঝানো যে তারা ইসলামী আইন বাস্তবায়নে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে, পুঁজিবাদীদের সৃষ্টি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সর্মথন করছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ। ইসলামী আইনে সার্বভৌম একমাত্র আল্লাহর এবং ইসলামের সংবিধান আল-কুরআন।
কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধান মানব সৃষ্ট। তাই জামায়াতের উপরোক্ত ইসলাম রক্ষার স্বার্থে রাজনীতি করার তত্ত্ব প্রকৃতপক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সাথে কি বলে আপনাদের মনে হয় ???
দল প্রীতি, জামায়াতের প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে শতকরা ৯৯% ভাগ জামায়াত শিবিরের লোক। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান এই দলীয়করণের নীতিতে প্রতিষ্ঠিত , সর্বত্র তাদের দলীয় কর্মী ভাই-বোনেদের শীর্ষতম আসন, সেটা যোগ্যতায় হোক বা অযোগ্যতায় । অবাক হবার কি আছে তাতে? এটাই তো হবার কথা তাই না??? জ্বী, তাই। তাহলে বলুন আওয়ামীলীগ যদি ক্ষমতায় গিয়ে নিজের দলের লোক ক্ষমতায় বসায়, বিএনপি বসায় সেখানে তাদের দোষ হয় আর জামায়াত করলে দোষ হবে না? জামায়াত ক্ষমতায় না গিয়েই দলীয়করণের অসাধারন উদাহরন তাদের প্রতিস্ঠাণে করে রেখেছে।
তাদের দল ক্ষমতায় গেলে কারা দেশে চাকরি পাবে নতুন করে বলতে হবে ???
সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটলো কিছুদিন আগেই...দলের নিবন্ধন টিকিয়ে রাখতে আদর্শিক অবস্থান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। ২০০৮ সালে দলের গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের কথা বাদ দিয়েছিল দলটি। এবার সমাজের সর্বস্তরে ‘খোদাভীরু’ নেতৃত্ব কায়েমের চেষ্টা বাদ দিয়ে ‘চরিত্রবান’ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে তারা। গত রোববার নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দলের সর্বশেষ সংশোধিত ও মুদ্রিত গঠনতন্ত্রে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শগত এ পরিবর্তন স্থান পেয়েছে। একই সঙ্গে নতুন গঠনতন্ত্রে ‘ইসলামী শাসন’ কায়েমের কথা বাদ দিয়ে ‘গণতান্ত্রিক’ পদ্ধতির ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে দলটি।
দুই বছর আগে জামায়াত তাদের গঠনতন্ত্রের প্রচ্ছদ থেকে ‘আল্লাহ্’ ও ‘আক্বিমুদ্দীন’, অর্থাৎ ‘তোমরা দ্বীন (ইসলাম) প্রতিষ্ঠা করো’—এই লেখাসংবলিত লোগোটিও তুলে দিয়েছিল। সে সময় দীর্ঘদিনের আদর্শিক অবস্থান পরিবর্তন করে তিন শর্তে অমুসলিমদের দলে নেওয়ার নীতি নিয়েছিল জামায়াত। এবার সেই শর্তগুলোও তুলে দিয়েছে দলটি। (http://www.bdtoday.net : 07 dec 2012, প্রথম আলো )
আমার প্রশ্ন , কোন ইসলামের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ?? ধর্মভীরু মানুষগুলোর ধর্মবিশ্বাস নিয়ে এ কেমন প্রবঞ্চনা ??? বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার অধিকাংশ মানুষ মুসলমান ... ধর্ম সম্পর্কে কট্টরপন্থী না হলেও উদাসীন নন এইসব শিক্ষিত-অশিক্ষিত মুসলমান ...প্রত্যেকের রয়েছে্ নিজধর্ম ইসলাম সম্পর্কে গভীর অনুরাগ ... ধর্ম জীবন এর আহ্বান তাদের কাছে তাই আন্তরিকতার সাথেই গৃহীত হয় ... আর এই সুযোগ-টাই গ্রহন করতে দেরী করেনা ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী । ধর্মপালন করা, ধার্মিক জীবনযাপন করা আর জামায়াতে ইসলামী করা এক নয় কোন দিক দিয়েই , কোনক্রমেই দুটি হতে পারেনা একে অপরের সমার্থক ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।