আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃক্ষরোপন কর্মসূচি - তারুন্য আজ শিকরের সন্ধানে

প্রতিটি রাতে স্বপ্ন দেখি একদিন সব আমারই হবে, আজ না হলেও কাল তো ঠিকই

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন উপাদান হচ্ছে এই বৃক্ষ। অথচ স্রষ্টা প্রদত্ত মানবজাতির এই বিশাল উপহার মানুষেরই অবহেলায় হারাতে বসেছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে গাছপালার পরিমান। হারাতে বসেছে পৃথিবীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য। এমনকি এর অভাবে আমাদের পৃথিবীর অস্তিত্ব এখন হুমকির সম্মুখিন।

সম্ভবত আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া থেকেই আমরা বৃক্ষরোপনে আগ্রহ বাড়ছে। দিনে দিনে এতে সম্পৃক্ত হচ্ছে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবুও প্রয়োজন এবং চাহিদার কথা বিবেচনা করলে এটা কিছুই না। তাই তরুন সংঘঠন "অভয়ারণ্য" দেশের এবং বৈশ্বিক প্রয়োজন অনুধাবন করে গেল কয়েক বছর ধরে আয়োজন করে আসছে এই বৃক্ষরোপনের আয়োজন। মূল আয়োজনে ছিলনা কোন বাহুল্য কিন্তু এতে ছিল না আগ্রহ বা আন্তরিকতার কমতি।

সবার ব্যাপক আগ্রহ উদ্দীপনাতেই গেল ১২ আশ্বিন ১৪২০ বঙ্গাব্দ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সামনে এবং হলসংলগ্ন পুকুড়পাড় ঘেষে রোপন করা হয় শতাধিক বনজ, ফলজ এবং ভেষজ চারা। "অভয়ারন্য" আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য আসিফ খান সম্রাট জানান, এ আয়োজনের উদ্দেশ্য শুধু শতাধিক চারা রোপন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এর মধ্য দিয়ে আমাদের তরুন সমাজে তৈরী হবে গাছের প্রতি এক ধরনের মমতা যা তরুন সমাজকে এ জাতীয় কাজে আরো উদ্বুদ্ধ করবে। এ আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত দশজন তরুনও যদি তার নিজের বাড়ি, বা এলাকায় এ কাজটি শুরু করে তাহলে এ ধরনের কর্মসূচি আরো দশগুন বেগবান হবে। অর্থ্যাৎ আরো দশটি গ্রাম বা শহরে একশজন একাজে সম্পৃক্ত হবে। মূলত এটাই আমাদের লক্ষ্য।

তরুন সমাজের মাঝে বৃক্ষ সচেতনতা কিংবা বৃক্ষের প্রতি দরদ তৈরী করাই অভয়ারণ্যের মূল উদ্দেশ্য। তরুন সমাজের এমন মহতী উদ্যেগের কারনেই হয়তোবা উপস্থিত ছিলেন ব্যস্ত এবং সমাজের গুনী কিছু ব্যাক্তি। যাদের উপস্থিতি "অভয়ারণ্য" নামের এই শিশু সংঘঠনকে দিয়েছে উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড: আব্দুল আজিজ, একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডঃ মোঃ জসীমউদ্দিন, প্রকৃতিবিদ অধ্যাপক বিপ্রদাশ বড়ুয়া, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ আয়েশা বেগম। আরো উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জেড, আই খান, বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ সামছুল আলম এবং বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ডঃ সলীমুল্লাহ খান প্রমুখ।

কর্মসূচীতে যেসব বৃক্ষ রোপন করা হয়: জারুল, কৃষ্ঞচূড়া, লটকন, হিজল, গাব, মহুয়া, সোনালু, জ্যাকারান্ডা, পানবিলাশ, ক্যাশিয়া, চন্দন, আগর, তমাল, তেলসূড়, আমচন্ডুল, বৈলামসহ দেশীয় প্রজাতী এমন বিলুপ্তপ্রায় ও অনাদ্রিত ফুল, ফল এবং ওষধি বৃক্ষের চারা। গাছ হোক মানুষের বন্ধু । আমাদের প্রকৃতির এই সবচেয়ে অকৃত্রিম ও নির্বিবাদী এই বন্ধুকে আমাদেরই লালন করতে হবে এবং সেটা আমাদেরই স্বার্থে। http://www.youtube.com/watch?v=Ewvqw443JzY সাইটটি শীঘ্রই আসছে http://www.vormenbd.com এখন শুধূমাত্র ফ্যানপেজেই কিনতে পারছেন http://facebook.com/vormenbd

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।