জানতে চাই জানাতে চাই বন্ধুর প্রেম ও তাহাদের রোমাঞ্চ দেখিয়া সদ্য ছেকা খাওয়া জৈিনক যুবকের পুনরায় প্রেমে পড়িবার সাধ জাগিল। বাড়ি ফিরিয়া এই ব্যাপারে গভীর চিন্তা করিবার জন্য সিদ্ধান্ত নিল। হটাৎ তাহার মনে হইলো আজ কে তাহার নাপিতের কাছে চুল দাড়ি কাটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তাই নতুন করিয়া কোন কিছু না ভাবিয়া যুবক নাপিতের কাছে চুল দাড়ি কাটিতে চলিয়া গেলো।
চুল যখন অর্ধাংশ কাটা হইলো তখন যুবক তাহার সামনে রাখা আয়নাতে দেখিতে পাইলেন অদ্ভুত ধরনের চুল দাড়ি ওয়ালা এক যুবক আধুনিক বাংলায় যাহাকে বলে ডিজুস পোলাপাইন, তাহার পিছনে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে।
সেই ডিজুস যুবক এক নাপিত কে জিজ্ঞাসা করিলেন “ ওই মামা ছিট খালি আছে” তখন নাপিত মামা কহিলেন “আছে মামা বছেন”। ডিজুস যুবক বসার পর নাপিত মামা জিজ্ঞাসা করিলেন “মামা কোন স্টাইল এ চুল কাটুম, নতুন কুনো স্টাইল আনছেননি মামা? ডিজুস যুবক বলিলেন “ মামা আগাগোড়া ছোব ছাইছা দেও” নাপিত জিজ্ঞাসা করিলেন “ বুঝি নাই মামা, আবার কন” ডিজুস যুবক কহিলেন “খাজ বাংলায় কইছি বুঝো নাই,মাথার চুল দাড়ি সব ন্যাড়া কইরা দিতে কইতাছি” তাহার কথা শুনিয়া নাপিত মামা মূর্ছা যাবার উপক্রম হইলেন। বলিলেন “ কি কইতাছেন মামা, আপনের মাথা ঠিক আছে, আপনে ছোব ন্যাড়া করবেন কেলা?” ডিজুস যুবক কিঞ্চিৎ গম্ভীর হইয়া গেলেন। তারপর কহিলেন “ মামা আমার গার্ল ফেরেন্ড ছাইরা গেছে গা, অয় আমার চুল দারিতে বহুত বার ছুইছে, আমারে আদর করছে, তাই সিদ্ধান্ত নিছি যে ওর কোন স্পরছ সঙ্গে রাখুম না”
জৈিনক যুবক এই সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করিতে ছিলেন, এবং তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি আর প্রেমের কথা ভুলে মনে আনিবেন না। তাহার কারন এই শীতে প্রেম করিয়া ছেকা খাইয়া ন্যাড়া হওয়ার চাইতে কম্বল জড়াইয়া ফেসবুক এ বইসা থাকা অতি উত্তম এবং প্রেম সম্পর্কে তাহার নতুন দর্শন হইলো
“গ্রীষ্মে যেমন বিপদ বেলতলায়, শীতে তেমন প্রেমতলায়”
অনুগ্রহ পূর্বক কেউ জৈিনক যুবক ও তাহার বন্ধুর পরিচয় জানিতে চাহিবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।