বিশ্বের বৃহত্তম টেলিস্কোপ মহাকাশ গবেষকদের গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি হলো টেলিস্কোপ। ইটালির বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর তৈরি করা এই যন্ত্রটিও আধুনিক হচ্ছে দিন দিন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ চিলির আলমা টেলিস্কোপটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রে যত আধুনিক টেলিস্কোপ স্থাপন করা হয়েছে, দক্ষতায় এবং আকারে তাদের প্রায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।
আলমা টেলিস্কোপের পুরো নাম আতাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে। চিলির উত্তরাঞ্চলের আতাকামা মরুভূমিতে এর অবস্থান।
ভালো এবং পরিষ্কার ছবি পাওয়ার জন্য শুষ্ক জায়গা সহায়ক বলেই মরুভূমিকে বেছে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া স্প্যানিশ ভাষায় ‘আলমা’ শব্দের অর্থ আত্মা। মহাকাশের আরো কাছাকাছি গিয়ে তার আত্মা ভালোভাবে বোঝাই আলমা মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটির মূল ইদ্দেশ্যে।
আলমা মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি ইউরোপের, পূর্ব এশিয়ার এবং উত্তর আমেরিকার কয়েকটি দেশের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত। মহাকাশে তারাদের জন্ম এবং আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোর আরো পরিষ্কার ছবি পাওয়ার জন্যই এই টেলিস্কোপের উদ্যোগের সূত্রপাত।
২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আলমা মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি তার কাজ শুরু করে এবং আলমা টেলিস্কোপের মাধ্যমে তোলা প্রথম ছবিটি প্রকাশিত হয় ওই বছরের ৩ অক্টোবর। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্ভোধন করা হয়েছে চলতি বছরের মার্চে।
বড় আকারের বস্তুগুলোর ছবি তুলতে আলমা টেলিস্কোপের আছে ৬৬টি অ্যান্টেনা। তুলনা করে দেখা গেছে, হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ নিখুঁত ছবি তোলে আলমা টেলিস্কোপ।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে আলমার মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তারার উদ্ভবের সময়কার যে ছবি পেয়েছেন,তা বিষয়ের এখন পর্যন্ত তোলা সবচেয়ে নিখুঁত ছবি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।