সাফ ফুটবলে ব্যর্থতার তদন্তে গঠিত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ডি ক্রুইফকে দলের প্রতি ‘উদাসীন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। কারণ হিসেবে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, সাফ ফুটবলের জন্য প্রস্তুতি চলার সময়ে ১০ দিনের ছুটি নিয়ে স্বদেশ নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন তিনি। কাঠমান্ডুর বিমান মিস করার জন্যও তাকে দায়ী করা হয়।
এই অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে ডি ক্রুইফ বলেন, “সাফ ফুটবলে দলের প্রতি আমি শতভাগ দায়বদ্ধ ছিলাম। আমার কোথাও কোনো ত্রুটি ছিল না।
দুর্ভাগ্যের কারণে আমরা সাফল্য পাইনি। ব্যর্থতার জন্য শুধু কোচকে দায়ী করা অনুচিৎ। আমি যতো পরিশ্রম করেছি কোনো বিদেশি কোচ এতো পরিশ্রম করবেন না। ”
তদন্ত কমিটির মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটি আমাকে উদাসীন বলতে পারে না। এ ধরনের মন্তব্য করার অধিকার তাদের নেই।
এভাবে কোনো রায়ও দিতে পারে না তারা। ”
তদন্ত কমিটি অবশ্য কোনো রায় দেয়নি। তারা সুপারিশ করেছে মাত্র। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাফুফে নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রশিক্ষণ চলার সময়ে ছুটিতে দেশে যাওয়া সম্পর্কে ডি ক্রুইফ বলেন, “বাফুফে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমার আবাসন ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি।
তাই আমি আমার পরিবারকে ঢাকায় আনতে পারিনি। পারিবারিক সমস্যা সমাধানে আমাকে তো দেশে যেতেই হবে। তাই আমি গিয়েছি। ”
“কাঠমান্ডুর ফ্লাইট মিস করার পেছনেও আমার কোনো দোষ ছিল না। রাস্তায় তখন শ্রমিকরা আন্দোলন করছিল।
গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে দেরি হয়ে যায়। ”
বাংলাদেশ দলের চোট সমস্যা সম্পর্কে ডি ক্রুইফ বলেন, “চোটের কারণে কয়েক জনকে আমি নিতে চাইনি। কিন্তু তারা আমার কাছে দলে থাকার জন্য কাকুতি-মিনতি করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমি মামুনুল ইসলাম ও সোহেল রানাকে দলে রেখেছি। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।