আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমকামি সাকার ফাঁসিতে বিএনপির কোন মাথা ব্যথা নেই। তারা জানে সাকা চরম অপরাধী


মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। রায়ে দলের শীর্ষ এই নেতার ফাঁসি বা যাবজ্জীবন হলে কী ভূমিকা হবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির-এটা সবার কৌতূহল। বিএনপি কি এর প্রতিবাদে হরতাল ডাকবে, নাকি চুপ থাকবে। উভয়টিই বিএনপির জন্য বিব্রতকর। এর আগে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রায় হলেও এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিএনপি।

এমনকি তাদের দেয়া কর্মসূচিতেও সমর্থন দেয়নি। ১ আগস্ট যুদ্ধাপরাধের দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হলেও বিএনপির জোরালো কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। কৌশলী একটি বিবৃতি দিয়ে দলটি বলেছে, বিচারাধীন বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। বরাবরই দলের কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলেছেন, পরে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। কিন্তু পরে আর কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

এবার দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক সদস্যের রায় ঘোষণায় দলটি কী প্রতিক্রিয়া দেখায় সেদিকে নজর সবার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সালাহউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা চান বিএনপি এ ব্যাপারে ‘শক্ত’ অবস্থান নিক। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য হিসেবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে ‘শক্ত’ অবস্থান নেয়ার পক্ষে আছেন দলীয় কয়েকজন নেতাও। তবে তার বিরোধী অবস্থানে থাকা নেতারা বলছেন, নির্বাচনের ঠিক আগে এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে দলের অবস্থান জনগণের মনোভাবের সঙ্গে মিল রেখেই হওয়া উচিত। ৪১ বছর পর যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যে জনমত সৃষ্টি হয়েছে, সেটা উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।

কারো কারো মতে, বিএনপি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষকের দল দাবি করে। এ দলে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। এমন বাস্তবতায় একজন যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে অবস্থান নেয়া ঠিক হবে না
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.