বাগেরহাটে ভুপাল ব্রহ্ম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসি ও অন্য একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম সোলায়মান এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কালশিরা গ্রামের সত্যানন্দ বাড়ৈ ওরফে সত্য বাড়ৈ, একই গ্রামের তপন মজুমদার এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মুশফিকুর রহমান মুকুল। তাঁরা সবাই পলাতক।
আর যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিটি হলেন চিতলমারী উপজেলার কালশিরা গ্রামের দিলীপ বিশ্বাস।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বাবুরাম ব্রহ্ম, বীথিকা বাড়ৈ, গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও সঞ্জয় সরকার। তাঁদের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার কালশিরা ও ভেন্নাবাড়ি গ্রামে।
আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে প্রতিপক্ষরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে চিতলমারী উপজেলার রুবাইয়ারকুল গ্রামের ভুপাল ব্রহ্মের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। এই ঘটনার পরদিন ভুপালের ভাই অভিষেক ব্রহ্ম বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
চিতলমারী থানার উপপরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র বণিক ২০০৪ সালের ৩০ জুন ওই মামলার এজাহারনামীয় আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে আজ দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিপক্ষে এ কে আজাদ ফিরোজ ও রাষ্ট্রপক্ষে মোহম্মদ আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।