আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘লংমার্চ’ এখন বাগেরহাটে

যাক কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হইসে । রায় নিয়ে এত জল ঘোলা না করলে গনজাগরণ মঞ্চ আসতনা , আস্তিক নাস্তিক আসতনা, না আসত হেফাজত । সব ই রাজনীতি , একদল ভোটের আগে আবার পালে বাতাস দিবে আরেকদল একেবারে চুপ রায়ের ব্যাপারে । হায়রে দেশ

‘সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সুন্দরবন অভিমুখী লংমার্চ এখন বাগেরহাটে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় লংমার্চ বহরকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানায় বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডে জাতীয় মহিলা পরিষদের সম্পাদিকা শিল্পী সমার্দ্দার।

এছাড়া বাগেরহাটসহ উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, মাদারীপুর, ঝালকাঠি থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে লংমার্চকে স্বাগত জানানো হয়। পায়ে হেটে লংমার্চ বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট প্রাঙ্গনে সমাবেশে জড়ো হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন প্রকৌশলী মো. শহিদুল্লাহ, প্রফেসর আনু মোহাম্মদসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা। এ সময়ে প্রকৌশলী মো. শহিদুল্লাহ বলেন, “সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়েছে। কেউ সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে পারবে না।

পদে পদে বাধা দেওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়লেও কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে লংমার্চ বহরকে সহায়তা করা হয়। ” তিনি আরও বলেন, "ভারত নিজের মাটিতে ফিরে যাও। সুন্দরবন ধ্বংস করতে এদেশে এসো না। বিদেশি কোনো কোম্পানিকে এদেশের সম্পদের ক্ষতি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ইজারা দেওয়া হবে না।

ভারত তার নিজের দেশে পর্যন্ত ৩ বার চেষ্টা করেও এ ধরনের কোম্পানি তৈরি করতে পারেনি। এখন বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় জনগণ ও পরিবেশকে ধ্বংসের জন্য বেঁছে নিয়েছে। বাংলার প্রতিটি মানুষ সুন্দরবন ধ্বংস করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। " জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মোহাম্মদ বলেন, “সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

শুধু ভারত নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশ এই চক্রান্ত করলে তা প্রতিহত করা হবে। সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে লংমার্চকে সহায়তা করা হচ্ছে। পথে পথে জনগনের স্বতস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া গেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই লংমার্চ বহরে অংশ নিচ্ছে। ” শনিবার বিকেলে সুন্দরবনের পাদদেশ বাগেরহাটের মংলা উপজেলার দ্বিগরাজ বাজারে সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে লংমার্চের সমাপ্ত হবে।

কিছু দালাল ছাড়া সবার প্রাণের দাবি , সুন্দরবন ধ্বংস করে টাকা লোটার জন্য ভারতীও কোম্পানিকে সুবিধা দিতে রাম্পাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাইনা আমরা সাধারণ জনগণ । সরকার এটাকে করবেই , বিরোধীদল ও আশ্চর্য জনকভাবে নিরব , কিন্তু যেভাবেই হোক এটা রুখতেই হবে , নাইলে পরে হাজার কান্নাকাটি করেও সুন্দরবন ফেরত পাওয়া যাবেনা , এই শেষ সুযোগ !!!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.