যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি
নেক আমলের দ্বারা এর শক্তি বা নুর বৃদ্ধি পায়
আক্কীদার কিতাবসমুহে এ বিষয়টি খুব স্পষ্টভাবে বলা আছে, যে সমস্ত বিষয় বিশ্বাসের দ্বারা মানুষ কুফুর থেকে ইসলামে প্রবেশ করে, তাতে কম বেশী করার সুযোগ নেই, তবে নেক আমলের দ্বারা ইমানের শক্তি বা নূর বাড়ে । কুরাণ - হাদীসের অসংখ্য বর্ণনা দ্বারা বিষয়টা প্রমাণিত নেক আমলের দ্বারা এর শক্তি বা নুর বৃদ্ধি পায় এবং গোনাহ করার দ্বারা ইমান ক্ষতিগ্রস্হ হয়, অর্থাৎ ইমানের শক্তি বা নুর কমে যায় । আর গুনাহ যদি কুফর ও শিরকের পর্যায়ে হয় তবে ইমান একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় । কবীরা গুনাহর করলে মানুষ বেইমান হয়ে যায় না, বরং তওবা না করা পর্যন্ত ফাসেক থাকে। ফাসেক চীরদিন জাহান্নামে থাকবে না।
আক্কাইদ, হাদীস ও ফিকাহর ইমামরা এ বিষয়ে একমত ।
আল্লাহ ও রসুলের আনুগত্যের দ্বারাই ইমান পুর্ণতা পায়, নেক আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
O you who believe! Obey Allah and obey the Messenger and do not make your deeds vain. (Surah Muhammad 47:33)
49:14 The bedouins say, "We have believed." Say, "You have not [yet] believed; but say [instead], 'We have submitted,' for faith has not yet entered your hearts. And if you obey Allah and His Messenger, He will not deprive you from your deeds of anything. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful."
---------------------------------------------------------
all the Companions of the Prophet (sallallaahu alayhi wasallam) mentioned both the increase and the decrease of Iman. For example, people related on the authority of Hammad Ibn Salamah, on the authority of Abu Jafar, on the authority of his grandfather Umayr Ibn Habib al-Khatmi, one of the Companions of the Messenger (sallallaahu alayhi wasallam), that he [the Prophet] said: "Iman increases and diminishes." He was then asked: "How does it increase and diminish?" He replied: "If we hold Allah in remembrance, praise Him, and glorify Him, our Iman increases. But, if we hold Allah little in remembrance, our Iman diminishes. Similarly, Ismail Ibn Ayyaash relates on the authority of Jarir Ibn Uthman, on the authority of al-Harith Ibn Muhammad, on the authority of Abu al-Darda, who said: "Iman increases and diminishes."
কোন কোন মুসলমান ভাই না জানার কারণে ইমানকে কোন বিশেষ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট করেন। অথচ বিষয়টা এরূপ নয় । যে কোন নেক আমলের দ্বারাই ইমানের শক্তি বা নুর বৃদ্ধি পায়, যে কোন গুনাহর দ্বারাই এর শক্তি কমে যায় ।
এই লিন্কে বেশ কিছু দরকারী কথা আছে ইমানের বিষয়ে : http://www.salafipublications.com/sps/sp.cfm?subsecID=GSC05&articleID=GSC050001&articlePages=2
'Indeed, it is a part of a man's growth in knowledge to improve his Iman, make up for any decrease, know whether his Iman increases or diminishes, and know when and where Satan's temptations may come."' Also, Ismail Ibn Ayyaash narrated, on the authority of Safwan Ibn Amr, on the authority of Abd Allah Ibn Rabiah al-Hadrami, on the authority of Abu-Hurayrah, who said: "Iman increases and diminishes." Ahmad Ibn Hanbal related, on the authority of Yazid Ibn Harn, on the authority of Muhammad Ibn Talhah, on the authority of Zubayd, on the authority of Dharr said: Umar Ibn al-Khattab used to say to his companions:
'Let us increase our Iman [they hold Allah in remembrance]."' In the book of Gharib ul-Hadith, Abu Ubayd related the hadith of Ali which says: "Iman resembles a white spot on the heart; whenever Iman increases, the white spot increases as well." It was related on the authority of Uthman Ibn Abd Allah and Amr Ibn Hind al-Jumali that al-Asmai said: "A lamzah, spot, is like a speck or something similar."
Allmad Ibn Hanbal narrated, on the authority of Waki on the authority of Sharik, on the authority of Hilal and on the authority of Abd Allah Ibn Akim, who said:
"I heard Ibn Masud saying in his prayer: 'Oh, Allah, increase our Iman, our conviction, and our knowledge [about religion]."' Similarly, Sufyan al-Thawri narrated, on the authority of Jami Ibn Shaddad and al-Aswad Ibn Hilal, who said:
Muadh Ibn Jabal used to tell a man: 'Let us sit down to hold Allah in remembrance [in order to increase our Iman]."' Also, Abu al-Yaman narrated, on the authority of Safwan and Shurayh Ibn Ubayd who said that Abd Allah Ibn Rawahah used to take the hand of one of his companions and say: "Let us get up in order to increase our Iman for an hour in a posture that holds Allah in remembrance." This increase in Iman was affirmed by the Companions of the Prophet (sallallaahu alayhi wasallam) after his death and after the revelation of the whole Quran.
It was affirmed that Ammar Ibn Yasir said: "Three characteristics lead anyone who possesses them to have true Iman: to be just to oneself, to spend in spite of poverty, and to offer greetings to everybody [to those you know and to those you do not know]." Al-Bukhari recorded this in his Sahih. Also, Jundub Ibn Abd Allah, Ibn Umar, and others said: "We learned Iman, then we learned the Quran, and in turn increased our Iman. Indeed, there are many other sayings narrated on the authority of the Companions and their Successors that support the fact that Iman either increases or diminishes.
[Malik Ibn Dinar said that belief in one's heart appears as weak and as frail as a small herb plant. If one cares for it, watering it with useful knowledge and good works, removing the thick underbrush that grows up around it and anything else that might weaken or thwart its growth, then soon it will thrive and increase. First it will grow roots, then branches, then fruits, until at last it rivals the mountains in size, casting shade that extends out to infinity. If, however, one shows no concern for it and neglects it, goats will come and pull it out by the roots, some little boy will carry it off, or the thicket will grow up around it, weakening or perhaps destroying it or depriving it of its moisture. And as this plant is, so also is belief.
Khaythamah Ibn Abd al-Rahman said that belief grows fat in times of fertility, and wastes away in times of drought. Its times of fertility are provided by good works, while its times of drought are brought on by sins and acts of disobedience.
One of the pious ancestors was asked: "Is it possible for belief to increase and decrease?" "Yes," he replied, "it can grow until it towers like a mountain, or shrink until it is no larger than a particle of dust."
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল নামাজ, ইমান বৃদ্ধিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল নামাজ ।
তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা অনেক সময় ইমানের বৃদ্ধকে শুধু মাত্র দাওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট করেন, যেটা ঠিক না । আমাদের ধর্মে নামাজের গুরুত্ব দাওয়াত-তাবলীগ বা জিহাদ বা অন্য কোন দ্বীনি কাজ থেকে অনেক বেশী । তাই ইমান বৃদ্ধিতে নামাজের ভুমিকা এগুলোর চেয়ে অনেক বেশী।
নামাজের বিষয়ে পবিত্র কোরাণ শরীফে এসেছে নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, অর্থাৎ গুনাহ থেকে দূরে রাখে ! যে জিনিষ মানুষকে গুনাহ থেকে দূরে রাখছে - এটাকে আপনি ইমান বা ইমানের বৃদ্ধি বলবেন না ?
আর কোন আমলের ক্ষেত্রে, দাওয়াত বা জেহাদের ক্ষেত্রে এরূপ বলা নেই ।
ফাজায়েলে নামাজে বর্নিত আছে, যাকে নিয়মিত মসজিদে যাতায়াতে অভ্যস্ত দেখ তার ইমানদারীর সাক্ষী দাও ।
এরূপ কোন ফজীলত কি জিহাদ, তাবলীগ বা অন্য কোন আমল সম্পর্কে আছে ?
ফাজায়েলে নামাজে আরো আছে , যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত আল্লাহর ওয়াস্তে প্রথম তকবীরের সাথে নামাজ পড়বে সে দুটি পরওয়ানা পাবে । এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি, দুই মুনাফিকি থেকে মুক্তি ।
আর কোন আমলে কি এরূপ নিশ্চয়তা আছে? তাহলে কি নামাজ ইমানকে নিশ্চতভাবে শক্তিশালী ও নিরাপদ করার উপায় না ?
কোরাণ-হাদীসের অসংখ বর্নণা থেকে দেখা যায় নামজের সাথে ইমানের যে সম্পর্ক তা অন্য কোন আমলে নেই ।
তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইলিয়াস (রহ : ) অমর বাণীতে দেখা যায় নামাজকেই তিনি দ্বীনের মূল বিষয় বলছেন ।
১৫৩। ( তিনি আরোও বলেন) ছাত্রদিগকে সম্বোধন করিয়া তিন বলেন-
নামাজ কায়েম করা সমস্ত জেন্দেগী দুরস্তকারী কাজ। কিন্তু তখনই নামাজ কায়েম করা পূর্ণ হইবে যখন নামাজ সম্বন্ধে যে সব গুণের কথা কোরআন হাদীছে বলা হইয়াছে নামাজীর মধ্যে তাহা পয়দা হইবে।
১৯৪। তিনি বলেন-
নামাজকে হাদীছে ----- “দ্বীনের খুটি” বলা হইয়াছে।
ইহার মতলব এই যে, নামাজের উপর অবশিষ্ট দ্বীন নির্ভর করে ও নামাজ হইতেই দ্বীন পাওয়া যায়। নামাজের মধ্যে দ্বীনের বুঝও পাওয়া যায়। আমলের তওফীকও দেওয়া হয়। আবার যাহার নামাজ যেইরূপ হইবে সেইরূপ তাহার জন্য তওফীকও দেওয়া হইবে। এই জন্য নামাজের দাওয়াত দেওয়া ও অন্যের নামাজে “খুশুখুজু” (নম্রতা) পয়দা করিবার জন্য কোশেশ করা পরোক্ষভাবে পূর্ণ দ্বীনের জন্য কোশেশ করা।
রোজা ইমান বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকর একটি আমল :
আর নামজের পর রোজাও ইমান বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকর । যেমন রোজার বিষয়ে-ই কোরাণ শরীফে এরশাদ হচ্ছে, তোমাদের উপর রোজা নির্ধারইত করা হয়েছে যেন তোমরা তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করতে পার !
রোজার দ্বারা খোদা ভীতি অর্জন হয়, আর কোন আমলের ব্যাপারে কি এরূপ আছে ?
ইমান কমার বিষয়টা মূলত গুনাহর সাথে সম্পর্ক যুক্ত ।
তাবলীগী ভাইয়েরা অনেক সময় দাওয়াতের জজবায় বলে ফেলেন যত বেশী দাওয়াত দিবেন, তত ইমান বাড়বে, আর দাওয়াত না দিলে ইমান কমা শুরু হবে।
শরীয়তে ইমান কমার বিষয়টা প্রথমত গুনাহর সাথে সম্পর্ক যুক্ত । কোন বান্দা যখন কোন গুনাহ করে, তখন অন্তরে একটি কাল দাগ পরে ।
তওবা করলে সেটি আবার দূর হয়ে যায়। আর তওবা না করলে সেই ডাগ থেকে যায় । এমতবস্হায় আবার গুনাহ করলে আবার লাকো দাগ পরে। এভাবে গুলাহ করতে থাকলে (তওবা ছাড়া) অন্তর একেবারে কালো হয়ে যায় ।
এরূপ অন্তরে ইমানের শক্তি একদম কমে যায় ।
ভাল কথা - কাজ তখন অন্তর গ্রহণ করে না। এটাই ইমানহীনতা বা ইমানের শক্তিহীনতার অবস্হা।
তাই দাওয়াত না দিলে ইমান কমে যাবে এ কথা পাইকারী ভাবে বলা যাবে না । তবে যে সব ক্ষেত্রে সৎ কাজের আদেশ - অসৎ কাজের নিষেধ বাদ্যতা মুলক, সে সব ক্ষেত্রে তা না করলে ইমানের বিশেষ ক্ষতি হবে । যেমন কারো সামনে অন্যায় কাজ হলে তার যদি বাধা দানের সামর্থ থাকে, আর সে বাধা না দেয়, তার ইমানের বিশেষ ক্ষতি হবে ।
আর সামর্থ না থাকলে ঘৃণা করতে হবে, যেটা ইমানের শেষ দরজা!
শায়খ জাকারিয়া চাচা হজরত ইলিয়াস রহ: এর কাছে পড়তেন। তিনি চাচার একটা কথা নকল করেন, জাকারিয়া ! তুই ৬ সপ্তাহ কথা বন্ধ কর, আমি তোকে ওলী বানিয়ে দিব ! এই ঘটনায় ওলী হওয়ার উপায় দাওয়াত না বরং চুপ থাকা ! দাওয়াত না দিলে যদি ইমান কমেই যায়, তবে ৬ সপ্তাহ চুপ থেকে তো কারো পক্ষে ওলী হওয়া সম্ভব না! ( হায়াতে শয়খুল হাদীস জাকারিয়্যা রহ: ) - আবুল হাসান আলী নদভী, অধ্যায় : শায়েখের শিক্ষা জীবন ।
প্রসংগত আরো একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই না, তা হচ্ছে বিশেষ ভাবে ইমান বৃদ্ধির উপায় হচ্ছে, গুনাহ থেকে ফিরে আসা । গুনাহ ত্যাগ করা । এর দ্বারা যেরকম ইমান বাড়বে তা আর কোন কিছুতেই পাওয়া যায় না!
মেশকাত শরীফে কিতাবুন নিকাহতে একটি হাদীসে আছে, যে নজরের হেফাজত করবে আল্লাহতায়ালা তাকে এমন ইমান দান করবেন যে সে তার মিষ্টতা অন্তরে অনুভব করবে।
বলতে চাইছিলাম, তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভ্রান্তি : ইমান বৃদ্ধির উপায় শুধু দাওয়াত । কোন কোন ভাই এরূপ না বললেও ইমান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাওয়াতের সমকক্ষ কোন কিছুকেই তারা মানতে চান না! অথচ কোরাণ হাদীসের এমন কোন স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায় না যে দাওয়াত দিলে ইমান বাড়ে । অথবা তোমরা দাওয়াত দাও ইমান বাড়বে, বা ইমান বৃদ্ধির জন্য দাওয়াত দাও এমন কিছুও পাওয়া যায় না।
সব মুফাস্সির, ফকীহ, মুহাদ্দিসরা যেহেতু এ বিষয়ে একমত যে নেক আমলের দ্বারা ইমানের শক্তি, নুর ইত্যাদী বাড়ে, আর দাওয়াত -ও যেহেতু একটি নেক আমল, তাই দাওয়াতের দ্বারাও ইমান বাড়বে । এতে কোন আপত্তি নেই ।
কিন্তু দাওয়াত দিলে ইমান বেশী বারবে, নামাজ পড়লে সেরূপ বাড়বে না, এটার দললিল কি ?
বুখরী শরীফের একটি হাদীসে আছে, ফরমাবরদার বান্দা নফল এবাদতের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করে। ( এখানে 'ফরমাবরদার' কথাটা লক্ষনীয়, অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্ধারিত বিষয়গুলো আদায় করে ও নিষিদ্ধ বিষয় ত্যাগ করে, শুধু সে-ই নফল এবাদত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে । নির্ধারিত বিষয় বাড দিয়ে নফল কাজের দ্বারা নৈকট্য হাসিল হবে না । ) এমনকি আমি তার হাত হয়ে যাই যার দ্বারা সে ধরে, পা হয়ে যাই যার দ্বারা সে চলে .... ( অর্থাৎ তার সব কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টি মত হয় । )
উপর হাদীস দ্বারাও প্রমান হয় আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রথম ও প্রধান উপার ফরজ কাজগুলো।
এরপর নফল । তাই নামাজ - রোজা - হজ -জাকাত এসবের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য যতটুকু হাসিল হবে দাওয়াত- তাবলীগ - জেহাদ ইত্যাদীর দ্বারা ততটুকু হবে না , কেননা এগুলো সবসময় ফরজ না।
তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ওতার জবাব কিতাবে শায়খ জাকারিয়া খুব স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, নিয়মিত নামাজ আদায় জেহাদ থেকে উত্তম। হজরত শায়খ আল্লামা শামীর হাওয়ালাও দিয়েছেন এতে।
আর একথা তো খুবই সত্য ইমানের শক্তি বাড়লেই আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হেব, বা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল ইমানের শক্তি বাড়ার মাধ্যমেই হবে ।
তাই নামাজ রোজা ইত্যাদী পালনে ইমানের বৃদ্ধি দাওয়াত -তাবলীগ এসবের চেয়ে বেশী হবে।
ইমান বৃদ্ধির বিশেষ আমল কোরাণ তেলওয়াত
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آَيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
.... যখন তাদের সামনে কোরাণের আয়াত তেলওয়াত করা হয় তখন তাদের ইমান বেড়ে যায় ..
মুফতী মোহাম্মদ শফী সাহেব তার বিষ্ময়কর তাফসীর গ্রন্থ মারেফুল কুরাণে লিখেছেন সমস্ত ওলামারা এ বিষয়ে একমত ইমানের বৃদ্ধি মানে ইমানের শক্তি বা নূর বৃদ্ধি।
ওলামা-এ কেরাম কোরাণ তেলওয়াতের ৩ টি বিশেষ ফায়দার কথা বলেন :
অন্তরের মরিচা দূর হয়।
আল্লাহর মহব্বত হাসিল হয়
প্রতিটি হরফে কমপক্ষে ১০ নেকী হাসিল হয় ।
না বুঝে কোরাণ পড়লেও এই ফায়দা সমুহ হাসিল হবে ।
যে ব্যক্তি বলে না বুঝে পড়লে কোন ফায়দা নেই সে বদ্দ্বীন জাহেল বা উভয়টাই। এখানে লক্ষনীয় প্রথম দুটি ফায়দা 'অন্তরের মরিচা দূর ' এবং ' আল্লাহর মহব্বত হাসিল' সরাসরি ইমান বৃদ্ধি ।
নফল এবাদতের মধ্যে আর কোন কিছুতে এত স্পষ্ট ভাবে ইমান বৃ্দ্ধির কথা বলা নেই ।
ইমান বৃদ্ধির উপায় আল্লাহর জিকির :
বুখারী শরীফে হযরত মুয়াজ রা: এর একটি উক্তি কিতাবুল ইমানে এসেছে , ' ইজলিস - নু'মিনু সায়াতান ' : বস, কিছু সময় ইমান আনি । হযরত মুয়াজ রা: কামেল ইমানদার ছিলেন ।
তিনি কিছু সময় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে ইমানের নুর বাড়ানোর কথা বলেন।
বুখারী শরীফের সুপ্রসিদ্ধ ও প্রাচীন ব্যাক্ষা গ্রন্থ 'উমদাতুল ক্কারী ' এবং 'ফতথুল বারী' অথবা হালের ' নসরুল বারী ' সব জায়গায় -ই 'নু'মিনু ' এর মানে 'যিকরুল্লাহ' দ্বারা করা হয়েছে । আর আল্লাহর জিকিরের মাঝে তাসবীহ , তাহমিদ, তাকবির , তাজকেরায়ে আখেরাত সবই শামিল । 'উমদাতুল ক্কারী ' তে হযরত মুয়াজের উক্তিকে মুসান্নিফে ইবনে আবী শায়বা থেকে দুটি সুত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে রাবী নিজেই বলছেন ' ইয়ানী -যিকরুল্লাহ' । ' আল্লাহ থেকে হয় ' , 'আল্লাহ পালেন ' - এ জাতীয় আলোচনাও আল্লাহর জিকিরের অন্তর্ভুক্ত বিধায় এর দ্বারাও ইমানের শক্তি বাড়বে ।
তবে কেউ যদি ইমানের বৃদ্ধিকে শুধু এ জাতীয় আলোচনার মাঝেই সীমাবদ্ধ করেন, তবে সেটা মন গড়া কথা, কেননা হাদীসের কোন ব্যক্ষা গ্রন্থে -ই এ জাতীয় ' সীমাবদ্ধ' বা 'নির্দষ্টকারী ' কথা পাওয়া যায় না, যিকরুল্লাহ - তাহমীদ এসব কথা এসেছে যার অর্থ ও প্রয়োগ ব্যপক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।